Homeজাতীয়উত্তর প্রদেশআগ্রায় ৪৮ ঘন্টায় করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত ২৮, কো-মর্বিডিটিতে মৃত্যুর দাবি যোগী...

আগ্রায় ৪৮ ঘন্টায় করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত ২৮, কো-মর্বিডিটিতে মৃত্যুর দাবি যোগী সরকারের

ওয়েব ডেস্ক : দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রতিদিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বিশেষত, মহারাষ্ট্র, নয়া দিল্লিত, উত্তর প্রদেশে এই মূহুর্তে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক৷ কয়েকদিন আগেই আগ্রার মেয়রের তরফে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে শহরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন আগ্রার মেয়র। এবার আরও এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হল আগ্রা শহরকে। রাজ্যের ডেথ অডিট রিপোর্টে জানা গিয়েছে আগ্রার এসএন মেডিক্যাল কলেজে করোনা আক্রান্ত ২৮ জন রোগী মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২ দিনে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই গোটা উত্তর ভারতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, আগ্রার পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার পর থেকেউ সেখানে ডেথ অডিট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানকার শীর্ষ আধিকারিক হিসেবে বসানো হয়েছে এম দেবরাজকে। এদিকে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আগ্রায় নোডাল অফিসার পদেও এম দেবরাজকে বসানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে দেবরাজকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এই ডেথ অডিট কমিটি যে ২৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে তার শারীরিক পরিস্থিতি, চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকঠাক পেয়েছে কিনা তা খোঁজখবর করছে।

তবে এবিষয়ে স্বাস্থ্যদফতর জানিয়েছে, রিপোর্ট অনুযায়ী যে ২৮ জন রোগী মারা গিয়েছেন তার মধ্যে অধিকাংশ রোগীরই অন্যান্য অসুখ অর্থাৎ শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, কিডনির অসুখের মতো সমস্যা ছিল। ফলে প্রত্যেকেই কো-মরবিডিটির জন্য মারা গিয়েছেন। অনেকে আবার হাসপাতালে ভরতি হতে অনেকটা দেরি করে ফেলেছে ফলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

এর আগে বাংলাতেও কো-মর্বিডিটির কারণে বহু মানুষ মারা গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরোধী দলের তরফে বারংবার দাবি করা হয়েছিল করোনার কারণেই তারা মারা গিয়েছেন। এমনকি কেন্দ্রঈয় প্রতিনিধি দল যখন করোনা পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে বাংলায় এসেছিলেন তখন তারা জানিয়েছিলেন, অন্যান্য অসুখ থাকলেও রোগীর শরীরে যদি করোনা সংক্রমণ থাকে তবে সেক্ষেত্রে কো-মর্বিডিটি নয়, রোগী করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন বলেই ধরা হবে। তাই যদি হয় তবে সেই একই দাবি করছেন যোগী সরকারও। এর থেকে একথা স্পষ্ট যে সব রাজ্য বাংলাকে অনুসরণ করেই তাদের নিজ নিজ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলছেন কিন্তু কেন্দ্রের কাছে স্বভাবতই ‘চোখের কাঁটা’ বাংলা।

RELATED ARTICLES

Most Popular