Homeএখন খবরদলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে দুর্নীতিগ্রস্তদের শোকজ তৃণমূলের

দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে দুর্নীতিগ্রস্তদের শোকজ তৃণমূলের

ওয়েব ডেস্ক : সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক দলের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। এই পরিস্থিতিতে দলেরই কিছু নেতা কর্মীর জন্য জণগণের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নারাজ শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে দলের বেশ কিছু নেতা কর্মীদের দল থেকে ছেঁটে ফেলতে উদ্যোগী শাসকদল। করোনা ও আমফান পরিস্থিতিতে রেশন ও ত্রাণ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে বারংবার নানা দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এর জেরে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে চেপে ধরেছেন বিরোধীরা। এরপর থেকেই ভাবমূর্তি রক্ষা করতে অভিযুক্ত নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সে প্রক্রিয়া চলছিল। শনিবার একসাথে প্রায় ১২ জন নেতাকে শো-কজ করেছে শাসকদল। তার মধ্যে একজন প্রাক্তন মন্ত্রীও রয়েছেন।

বর্ধমানে ৩ জন, বাঁকুড়ায় ৬ জন ও হুগলিতে ৩ জন নেতার কাছে ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতিদের তরফে শো-কজের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে৷ সে সকল নেতাদের কাছে শো কজের চিঠি গিয়েছে তাদের মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও পূর্ব বর্ধমানের শ্রমিক নেতা ইফতেকার আহমেদের নামও রয়েছে। শাসকদলের তরফে আগামী ২ দিনের মধ্যে তাদের চিঠির জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রেও হার স্বীকার করতে নারাজ শাসকদল। দলের এতজন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হলেও দলের তরফে জানানো হয়, কাউকে শো কজ করা হয়েছে মানেই সে দোষী নয়।

এদিকে তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তকে চরম কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এবিষয়ে বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের শোকজ হলো ঢপের কেত্তন। শো-কজ করার হলে যারা কোটি কোটি টাকা সরিয়েছেন তাঁদের করুন। তাহলে তৃণমূল খালি হয়ে যাবে।” এদিকে এবিষয়ে বিজেপির দাবি, “শুধু শো-কজ করলে হবে না। জনসেবার শপথ নিয়ে যে সব জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতি করেছে তাদের জেলে ভরার ব্যবস্থা করতে হবে। তা করতে পারবে না তৃণমূল।”

এবিষয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানান, বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের আত্মসমীক্ষা করতে চেয়েছে তৃণমূল। সিপিএম এর বিদায়ের সময়ও তারা এই পথই বেছে ছিলেন। কিন্তু আসলের লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এদিকে মাঝখান থেকে লাভবান হচ্ছে বিজেপি। এমনিতেই যেনতেন প্রকারে তৃণমূল ভাঙানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছে বিজেপি। তার ওপর এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে শাসকদল এতজন নেতা ও কর্মীদের দল থেকে বহিষ্কার করলে আজ নয় তো কাল তাদের ঠিক নিজেদের দলে লুফে নেবে বিজেপি। এইভাবেই একেরপর এক শাসকদলের নেতা কর্মীদের নিজেদের দিকে টেনে ধীরে ধীরে তৃণমূলীদের দিয়ে তৃণমূলেরই দফারফা করবে গেরুয়া শিবির।

RELATED ARTICLES

Most Popular