Homeঅন্যান্যস্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান নাড়াজোল রাজবাড়িতে ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে ছাত্র সমাজ ও ছাত্র...

স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান নাড়াজোল রাজবাড়িতে ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে ছাত্র সমাজ ও ছাত্র দলের কর্মসূচী

নিজস্ব সংবাদদাতা: ইংরেজ শাসনের ভিত্তিই ছিল সাবেক ভারতের রাজা রাজড়া, জমিদার ও ভূম্যাধিকারীরাই। ব্রিটিশের দেওয়া উপাধি আর সুবিধা গ্রহনের বিনিময়ে দেশে ইংরেজ শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে সাহায্য করেছে তারা। ব্যতিক্রমী যে ছিলনা তা নয়, তবে সংখ্যায় তারা ছিল অল্প। যেমনটি ছিল সাবেক মেদিনীপুরের নাড়াজোল রাজ পরিবার।

বিপ্লবের তীর্থভূমি মেদিনীপুরে বিদ্রোহের মাটিকে ধারাবাহিক ভাবে প্রান সিঞ্চিত করতে নাড়াজোলের খান রাজাদের ভূমিকা চির উজ্জ্বল যাঁর উজ্জ্বল উত্তরাধিকার ছিলেন রাজা নরেন্দ্রলাল খাঁন। দেশের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে মেদিনীপুর ছাত্র সমাজ তাই এদিনের কর্মসূচী পালনে ছুটে গিয়েছিল মেদিনীপুর শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দুরে নাড়াজোল রাজ পরিবারের পুণ্য মাটিতে, সঙ্গী ছিল নাড়াজোল ছাত্রদল সংস্থা।

বিগত বছর গুলির মতই নাড়াজোল আর্কিওলজিক্যাল প্রিজার্ভেশন সমিতির উদ্যোগে নাড়াজোল রাজবাড়িতে স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন আয়োজন করা হয়ে ছিল যাতে এবছরের বাড়তি সংযোগ হিসেবে উপস্থিত ছিলো নাড়াজোল ছাত্রদল সংস্থা ও মেদিনীপুর ছাত্রসমাজ সংগঠনের সদস্যগণ। নাড়াজোল রাজবাড়ির সামনেই রয়েছে দেশনায়ক নেতাজীর পূর্ণাবয়ব মূর্তি। স্বাধীনতা দিবসে তাই বীর দেশপ্রেমিক সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের পর মেদিনীপুর ছাত্রসমাজের উদ্যোগে বৃক্ষরোপনের কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। রাজবাড়ি সংলগ্ন পরিখার পাড় বরাবর ১৫০টি চারাগাছ রোপন করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন নাড়াজোল আর্কিওলজিক্যাল প্রিজার্ভেশন সমিতির সম্পাদক সন্দীপ খাঁন ,সহ সভাপতি মানবেন্দ্র খাঁন ,অরিজিৎ খাঁন মহাশয়,বিশিষ্ট সাহিত্যিক, “নাড়াজোল এক অনন্য জনপথ” বইটির লেখক দেবাশিস ভট্টাচার্য ,মেদিনীপুর ছাত্রসমাজের কোষাধ্যক্ষ কৌশিক কঁচ,নন্দদুলাল মানিক নাড়াজোল ছাত্রদলের সভাপতি সুব্রত বটব্যাল প্রমুখেরা।

নাড়াজোল আর্কিওলজিক্যাল প্রিজার্ভেশন সমিতির সহ সভাপতি মানবেন্দ্র খাঁন বলেন,” আমাদের দেশের স্বাধীনতা,গনতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করতে আমদের সকলে সমবেত প্রচেষ্টা একান্তভাবে জরুরি। সেইসঙ্গে আমাদের দেশের মূল ঐতিহ্য ‘ বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ‘ এই ধারা বজায় রাখতেও আমরা একসাথে সব বাধা দূর করে এগিয়ে চলতে হবে।” কৌশিক কঁচ জানান, “শুধুই স্বাধীনতা সংগ্রাম নয়, পাশাপাশি দেশ গঠনে এই রাজ পরিবারের ভূমিকাও দৃষ্টনীয়। মেদিনীপুর শহরের প্রাচীন জল সরবরাহ ব্যবস্থা যা কিনা আজও স্থাপত্য শৈলীর নজির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শহরের স্টেশন পাড়ায়, মহিলা কলেজ ও সাধারন কলেজ গড়ে তোলার জন্য নিজেদের বাসভূমি ছেড়ে দিয়েছে এই রাজ পরিবার। বৃক্ষ রোপনের মত একটি পবিত্র কর্মসূচীর জন্য আমরা তাই বেছে নিয়েছিলাম সেই রাজবাড়িরই এলাকাকে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular