Homeরাজ্যবাড়ছে সংক্রমণ, কলকাতা পুলিশকর্মীদের অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ইডেন গার্ডেন্সকে নিল রাজ্য

বাড়ছে সংক্রমণ, কলকাতা পুলিশকর্মীদের অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ইডেন গার্ডেন্সকে নিল রাজ্য

ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধমুখী। তার মধ্যে কলকাতার পরিস্থিতি খুবই সঙ্কটজনক। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। তার মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ কর্মী। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় পুলিশকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের প্রয়োজন পড়ায় অবশেষে ইডেন গার্ডেনকে পুলিশকর্মীদের কোয়ারেন্টাইন হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শুরুতেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার প্রয়োজনে ইডেন গার্ডেন্সকে অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু এতদিন পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় তার প্রয়োজন না পড়লেও এবার কলকাতা পুলিশ কর্মীদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে পুলিশের তরফে সিএবির কাছ থেকে সাময়িকভাবে ইডেনের গ্যালারি চেয়ে নেওয়া হল। সেখানেই জরুরীকালীন ভিত্তিতে গড়ে উঠতে চলেছে অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। যেভাবে দ্রুত ইডেনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের রূপ দেওয়া হচ্ছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে শুধুমাত্র কলকাতাতেই বহু পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত। যদি তাই হয় তবে সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার এবিষয়ে লালবাজারে সিএবি কর্তাদের সঙ্গে আপৎকালীন বৈঠকে বসেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বৈঠকের পর যুগ্মভাবে ইডেনের গ্যালারি পরিদর্শন করে কোন জায়গায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরী করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এদিন পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ইডেন পরিদর্শন করেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ও সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। পরিদর্শনের পর পকলকাতা পুলিশের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আপাতত E, F, G ও H ব্লকের গ্যালারির নিচের অংশটি পুলিশ কর্মীদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পরে প্রয়োজনে J ব্লকের নিচের জায়গাটিও কলকাতা পুলিশের তরফেও অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে নেওয়া হতে পারে।

জানা গিয়েছে এই ব্লকগুলির নীচের অংশগুলি খুব একটা ক্রিকেট ও সিএবির প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য ব্যবহার করা হয় না। তবে এই ব্লকগুলিতে মাঠ কর্মীদের জন্য থাকার বন্দোবস্ত করা হয়ে থাকে। এছাড়া ক্লাব হাউস সংলগ্ন B, C, D, K ও L ব্লকেই ক্রিকেটারদের নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ফলে খেলা থাকাকালীনও এই ব্লকগুলি সাধারণত ফাঁকাই থাকে। তবে যেহেতু মাঠকর্মীদের থাকার জায়গায় আপাতত কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে, সেহেতু আপাতত কর্তৃপক্ষের তরফে মাঠ কর্মীদের জন্য B, C, K ও L ব্লকে গ্যালারির নিচে থাকার বন্দোবস্ত করা হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular