Homeএখন খবরগোঁসা মিটল কী! আপাতত দিল্লী যাচ্ছেন না বলেই জানালেন শতাব্দী

গোঁসা মিটল কী! আপাতত দিল্লী যাচ্ছেন না বলেই জানালেন শতাব্দী

অশ্লেষা চৌধুরী: কাল দিল্লী যাচ্ছেন না শতাব্দী। অভিষেকের সাথে বৈঠক শেষে এমনতাই জানালেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি জানান, দলেই থাকছেন এবং নিজের অভিযোগ তিনি অভিষেককে জানিয়েছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই যে তৃণমূলে রয়েছেন, সেকথা জানাতে ভুললেন না সাংসদ।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, বৃহস্পতিবার শতাব্দী রায়ের ফ্যান ক্লাবের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে, যেখানে একরাশ ক্ষোভ উগরে সাংসদ জানিয়েছিলেন যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেন, শনিবার জানাবেন। কি এমন জানাবেন, কী বা সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে উত্তপ্ত হতে থাকে বঙ্গ রাজনীতি। এরই মাঝে শতাব্দীর ঘোষণা দিল্লী যাওয়ার এবং সেই সাথেই অমিত শাহের সাথে দেখা করার ইঙ্গিতও দেন তারকা সাংসদ। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে তারাপীঠ–রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, আবার এরই মাঝে দিল্লিতে বৈঠক চেয়ে শতাব্দীকে ফোনও করেন মুকুল। এই জল্পনার আগুনে আবার ঘি ঢালেন শতাব্দীর স্বামী, তিনি বলেন, ‘ক্ষোভ আছে, কাল দিল্লি যাচ্ছেন।‘

তারপর থেকেই তারকা সাংসদের মান ভঞ্জনে ময়দানে নামেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সাংসদকে ফোন করেন সৌগত, সুদীপ, ডেরেক। শতাব্দীর মানভঞ্জনে তার বাড়ীতেও যান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে তাতেও খুব একটা সুবিধে না হওয়ায়, শতাব্দীকে নিয়ে সোজা অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যান কুণাল ঘোষ। যদিও সাংসদের বাড়ীতে যাওয়া নিয়ে কুনালের মন্তব্য, ‘শতাব্দী রায় পুরনো বন্ধু, কিছুক্ষণ গল্প করেছি। এও বলেন, শতাব্দী রায় এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। শতাব্দী নিয়ে সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেতৃত্বের। দল তাঁর সঙ্গে কথা বলবে। দুজন বন্ধু একসঙ্গে থেকে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি।‘

এরপরেই অভিষেকের অফিসে আলোচনায় বসেন তারা। জানা যায়, এদিন বৈঠক চলাকালীন সৌগত রায়ের সঙ্গে টেলিফোনে ১৫ মিনিট কথা হয় শতাব্দীর। এই ব্যাপারে সৌগত বাবু জানান, ‘শতাব্দী আমার সঙ্গে প্রায় ১২ বছর লোকসভায় আছে ৷ তিনবার ও জিতেছে নির্বাচনে ৷ দলের সম্পদ ৷ গতকাল রাত থেকেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলাম ৷ আজকে দুপুরে ওকে ফোনে পেয়েছি ৷ তাঁর সঙ্গে ১৫ মিনিট কথাও হয়েছে ৷ ও নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছে ৷ ও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি ৷ আমি বলেছি, তুমি এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিও না, যাতে আমার সঙ্গে ফারাক হয় ৷ আমাদের দলে অন্য নেতারাও তোমার সঙ্গে কথা বলবে ৷ এই পর্যন্ত কথা হয়েছে শতাব্দীর সঙ্গে ৷ আমি দলের অন্য নেতাদের জানিয়েছি ৷ আমার ধারণা অন্য নেতারাও ওঁর সঙ্গে কথা বলবেন ৷ শতাব্দী যাতে কোনওরকম পদক্ষেপ না নেয়, তা নিয়ে আমাদের শেষপর্যন্ত চেষ্টা থাকবে।‘

অবশেষে, অভিষেকের সঙ্গে আলোচনার পর বেরিয়ে এসে দিল্লী যাবেন না বলেই জানালেন বীরভূমের তারকা সাংসদ। তবে গোঁসা মিটল কী? তা অবশ্য এখুনি বলার নয়। কারন অনেকের চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখে ফের নিজের পথেই হেঁটেছেন তৃণমূলে এমন নেতার অভাব নেই।

RELATED ARTICLES

Most Popular