Homeএখন খবরশিল্প ও শিল্পীদের স্বার্থে পথে নামল শিল্প-কলা সংগঠন গুলি

শিল্প ও শিল্পীদের স্বার্থে পথে নামল শিল্প-কলা সংগঠন গুলি

নিজস্ব সংবাদদাতা: এই একটা জগৎ যেখানে মনে হচ্ছে কোনোও সরকার নেই, এঁদের জন্য ভাবার কেউ নেই, নেই কোনও পরিকল্পনা। মনে হচ্ছে যেন যাত্রা, সিনেমা, থিয়েটারের, সঙ্গীত, নাটকের প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছে সরকার। ভেতরে যে হাজারে হাজারে কাতারে কাতারে শিল্পী কলাকুশলী বন্ধ হয়ে ক্ষুধা যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন স্ত্রী পুত্র পরিবার সহ সবাই ভুলেই গেছে।
আর্ট গ্যালারি কিংবা গ্রামের প্রত্যন্ত প্রান্তরে কুঁকড়ে যাচ্ছে শিল্পী জীবন। এখন বিনোদন নয় বলে আগে বাড়োর মত ভিখিরি তাড়াচ্ছেন সরকার। বিনোদনের আড়ালে থাকা দেশের লাখ লাখ শিল্পী কলা কুশলীর কী হবে? কোনও সরকারই ভাবছে না।

সেই সব বিপন্ন শিল্পীদের হয়ে এবার পথে নামলেন কয়েকটি শিল্পী সংগঠনের সদস্য সদস্যরা। নির্দিষ্ট কিছু দাবী সনদ নিয়ে মেদিনীপুর শহরে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পী, কলাকুশলীদের পদযাত্রার পাশাপাশি সেই দাবি সনদ পেশ করা হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিকের কাছে।
করোনা অতিমারি ও লকডাউন পরিস্থিতিতে বিপন্ন শিল্পী, নেপথ্য শিল্পীদের রুটি রুজির সংকটে সরকারের উদাসীনতার প্রতিবাদে শিল্প জগতের বহু ক্ষেত্রের কলা কুশলী সহ তিনটি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয় এই কর্মসূচিতে।

দাবি ছিল, লোকশিল্পী, নাট্য,সংগীত, নৃত্য, বাচিক, চিত্রাঙ্কন, ভাস্কর্য, যন্ত্র, শব্দ -আলো প্রক্ষেপণ,মঞ্চসজ্জা, মৃতশিল্পী, অংকন এমনো বহুবিধ মাধ্যমের শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে। ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ ও ভারতীয় গণসংস্কৃতি সংঘ যৌথ ভাবে জেলা শাসক ও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক কে ডেপুটেশন দেয়। উপস্থিত ছিলেন দেড় শতাধিক শিল্পী।

দাবি সনদে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাস থেকে ৫ হাজার টাকা ভাতা, স্বাস্থ্যবিমা,পরিচয় পত্র,লিটল ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন, ২০১০ সাল থেকে জেলা রবীন্দ্র ভবনের জন্য পড়ে থাকা ১০ কোটি টাকার সদ্ব্যবহার, জেলাপরিষদের প্রদ্যোত স্মৃতি সদনের ভাড়া অবাণিজ্যিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরজন্য ৫০% ছাড় দিতে হবে। নেতৃত্বে ছিলেন বিজয় পাল, কামরুজ্জামান, জয়ন্ত চক্রবর্তী প্রমুখরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular