Homeএখন খবরকরোনার ধার কমাতে গোয়ায় চালু হল আইভারমেকটিন! খেতে হবে ১৮ উর্দ্ধ সবাইকেই

করোনার ধার কমাতে গোয়ায় চালু হল আইভারমেকটিন! খেতে হবে ১৮ উর্দ্ধ সবাইকেই

নিউজ ডেস্ক: যদি সফল হয় তবে করোনা যুদ্ধে আসতে পারে নতুন বিপ্লব, অন্ততঃ মৃত্যুকে ঠেকিয়ে দেবে এই ওষুধ। এমনটাই দাবি করে ভারতের ক্ষুদ্রতম রাজ্যটি ছাড়পত্র দিল আইভারমেকটিন নামে একটি ওষুধকে। ছোটো রাজ্য হলেও রাজ্যের সংক্রমন ঘোরাফেরা করছে দৈনিক আড়াই-তিন হাজার মানুষের মধ্যে শতাংশের হারে সংক্রমন হার ৪৮ থেকে ৫০ শতাংশ। রীতিমত চমকে যাওয়ার মতই সংক্রমন। আর সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতেই গোয়া সরকারের নয়া দাওয়াই এই আইভারমেকটিন।

ইতিমধ্যেই এই আইভারমেকটিন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়ে ফেলেছে পর্যটন রাজ্যের সরকার। বলা হয়েছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ এই ওষুধটি খেতে পারবেন। মোট ৫টি ওষুধ খেলে করোনায় সংক্রমিত মানুষের রোগের অভিঘাত অনেকটাই কমবে।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে বলছেন, ‘‘করোনা থেকে রক্ষা পেতে আগে থেকেই এই ওষুধ খাওয়ার কথা বলা হয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকেই। সমস্ত সরকারি দফতরে এই ওষুধ পাওয়া যাবে।“ স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ওষুধটি পাওয়া যাবে। কারও করোনার উপসর্গ থাক বা না থাক এই ওষুধ খেতে হবে।

দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে গোয়া এই ওষুধের প্রয়োগ করছে। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে করোনা সংক্রমণ হবে না এমন নয়। তবে শরীরে রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমবে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ওষুধটি খেলে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে না এমন নয়। তাই আগের মতোই দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে।

কয়েক দিন আগেই একটি গবেষণায় দাবী করা হয়েছে, আইভারমেকটিন করোনা প্রকোপ কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ওষুধের প্রয়োগে করোনাকে প্রাণঘাতী হওয়া থেকে আটকানো যেতে পারে। এতে ফুসফুসের বড়ো সমস্যা আটকানো সম্ভব বলেও দাবী করা হয়। সারা পৃথিবীর চিকিৎসকরাই এই ওষুধ ব্যবহার করছেন বলেও খবর আসে।

গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘১২ মিলিগ্রামের আইভারমেকটিন খেতে হবে পাঁচ দিন ধরে। এই ওষুধ খাওয়ার ফলে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর সম্ভাবনা কমে যাবে, সেরে ওঠার সময়সীমাও কমে যাবে। এছাড়া আরও অনেকগুলি সুবিধা হচ্ছে। ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন ও জাপানের বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা এই বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখেছেন।“

RELATED ARTICLES

Most Popular