Homeএখন খবরসবুজ মুকুট হাতছাড়া ঝাড়গ্রামের, ২৪ ঘন্টায় তিন করোনা আক্রান্ত নিয়ে কমলা জোনে...

সবুজ মুকুট হাতছাড়া ঝাড়গ্রামের, ২৪ ঘন্টায় তিন করোনা আক্রান্ত নিয়ে কমলা জোনে জেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা: এগরা সূত্রে ১জন আর কলকাতা সূত্রে ২ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও স্বস্তি ছিল ঝাড়গ্রামের কারন এরা জেলার অধিবাসী হলেও থাকত জেলার বাইরে এবং সেখান থেকেই আক্রান্ত হয়েছিল এবং তাঁদের সূত্রে জেলায় কেউ আক্রান্ত হয়নি কিন্তু শনিবার সেই স্বস্তি উড়ে গেল কয়েকজন জেলাবাসীরই করোনা পরীক্ষায়। গতকাল পর্যন্ত গ্রিন জোনে থেকে রাজ্যের আরও ৫ টি  জেলার সাথেই সবুজ মুকুটের অধিকারি ছিল ঝাড়গ্রাম জেলা। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘন্টায় জেলার তিন জনের করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে রবিবার জানিয়ে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। আর তার সাথেই গ্রীন জোনের সবুজ মুকুট হারাল ঝাড়গ্রাম।

জানা গেছে ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি যিনি ঝাড়গ্রাম শহরের জুবিলি মার্কেটে মুদির দোকানের এক কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন এবং ওই দোকানের মালিকের বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরেই থাকতেন তাঁর করোনা পজিটিভ। ৮ই মে পরীক্ষা হয়েছিল। ৯ই মে রাতেই পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যায়। সিল করে দেওয়া হয় গোটা জুবিলী মার্কেট। মার্কেট বন্ধ করে বাজারে ঢোকার প্রতিটি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়া হয় বাজার। ঝাঁপ বন্ধ প্রতিটি দোকান। রবিবার বিকেলে জুবিলি মার্কেট জীবাণুনাশক দিয়ে স্যানিটাইজ়ও করেন দমকল বিভাগের কর্মীরা।

সূত্র মারফৎ জানা গেছে ওই ব্যক্তি বিনপুরে নিজের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা বাড়ির লোককে জানান। কিন্তু গ্রামের লোক তার পরিবারকে জানিয়ে দেয় যেহেতু ওই ব্যক্তি ঝাড়গ্রামে থাকেন তাই এখুনি গ্রামে আসতে দেওয়া যাবেনা। যদি গ্রামে যেতেই হয় তবে করোনা পরীক্ষা করেই যেতে হবে। এরপরই ওই ব্যক্তি ৮ মে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে লালারসের নমুনা জমা দেন ওই কর্মচারী। তার পরে তিনি বাড়ি চলেও যান।

এর পরেই পুলিশ ও প্রশাসনের লোকেরা তাঁর বাড়িতে পৌঁছে তাঁকে বিনপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে মেচগ্রামের বড়মা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখনই জানা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এরপর ওই মুদি
দোকানের মালিক এবং মালিকের পরিবার ও দোকানের অন্যান্য কর্মীদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠিয়ে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়।

রবিবার সকাল থেকেই গোটা এলাকায় পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির সামনে পুলিশি পাহারা শুরু হয়েছে। গোটা এলাকা স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও জামবনী ও ঝাড়গ্রাম গ্রামীন এলাকায় দুটি পজিটিভ পাওয়া গেছে। জামবনীর এক তরুণী গৃহবধূ তাঁর তিন বছরের শিশু কন্যা সহ মেদিনীপুরের খড়গপুরের বাপের বাাড়ি থেকে ও ঝাড়গ্রাম ব্লকের এক শ্রমিক ওড়িশা থেকে ফিরেছিলেন।  ওই শিশু কন্যা ও শ্রমিকের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে ঝাড়গ্রাম জেলায় ৩ আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে যা আগের দিন ছিলনা। সব মিলিয়ে সবুজ জেলার তকমা হারালো ঝাড়গ্রাম। এখন কেবলমাত্র পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার আর দক্ষিণ দিনাজপুর রইল সবুজ জেলা হিসাবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular