Homeএখন খবরএবার অরন্য শহরেও দীর্ঘ কন্টেনমেন্ট জোন! আগামী ৭দিন বন্ধ করে দেওয়া হল...

এবার অরন্য শহরেও দীর্ঘ কন্টেনমেন্ট জোন! আগামী ৭দিন বন্ধ করে দেওয়া হল জুবলি মার্কেট

ভবানী গিরি : করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত আগে থেকেই প্রতিহত করতে আগামী ৭দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল ঝাড়গ্রামের জনবহুল বাজার জুবলি মার্কেট। মঙ্গলবার পুরো মার্কেট এলাকাকেই কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষনা করল ঝাড়গ্রাম প্রশাসন। এদিন দুপুর দুটো নাগাদ হঠাৎ করেই জুবলি মার্কেট, কোর্ট রোড,  সুভাষ পার্ক সংলগ্ন বাজার, সবজি মার্কেট, মাছ মার্কেট এবং ফ্লাইওভারের নিচের সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ও প্রশাসনের একটি দল এই প্রক্রিয়া শুরু করে দেন। ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই পাকাপোক্ত নিষেধাজ্ঞা বেষ্টনির আওতায় নিয়ে চলে আসা জুবলি মার্কেটকে।

মাস দুয়েক আগে ঝাড়গ্রাম শহর ও শহরতলিতে কয়েকজন করোনা আক্রান্ত চিহ্নিত হলেও পরবর্তীকালে প্রায় করোনা মুক্ত হয়ে যায় শহর তথা জেলা। বেশ কিছু দিন নতুন আক্রান্তের সন্ধান না মেলায় স্বস্তি মিলেছিল সবুজ জেলায়। কিন্তু ১৫ জুলাই এর পর থেকে ফের করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলতে শুরু করে। একেবারে সম্প্রতি এ মাসের শুরুতেই, ১ ই আগস্ট দুজন , ২ ই আগস্ট দুজন এবং ৪ ই আগস্ট চারজন করোনা আক্রান্তের হদিস মেলে । তিন দিনে ঝাড়গ্রামে মোট আটজন করোনা আক্রান্ত হয় । এরপরেই নড়েচড়ে বসে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন । ঝাড়গ্রামের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হল ঝাড়গ্রামের জুবলি মার্কেট তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই জুবলী মার্কেট ৪ ই আগস্ট থেকে ১০ ই আগস্ট পর্যন্ত ৭ দিন কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষনা করা হল বলেই জানা গেছে।

মঙ্গলবার নজির বিহীন তৎপরতায় জুবলি মার্কেট প্রবেশ ও বাহির হওয়ার প্রতিটি রাস্তাকে পুলিশি ব্যারিকেড এবং বাঁশ দিয়ে সিল করে দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে জুবলী মার্কেট, কোর্ট রোড , সুভাষ পার্ক এলাকা এবং সবজি মার্কেট জীবাণুনাশক দিয়ে স্যানিটাইজেশন করা হয় ।

এমনিতেই আগামীকাল রাজ্যজুড়ে সপ্তাহিক লকডাউন রয়েছে সেই কারণে এদিন সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম বাজারের জুবলী মার্কেট , কোর্ট রোড সহ সবজি মার্কেট ব্যাপক সংখ্যক মানুষের ভিড় ছিল । হোটেল গুলিতে দুপুরের খাবার খাবার জন্য ব্যাপক সংখ্যক খদ্দেরও ছিল । কিন্তু হঠাৎ করে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ফলের দোকান ও হোটেল গুলিকে । প্রদীপ দত্ত নামে এক হোটেল মালিক বলেন, হোটেলের সমস্ত রান্না হয়ে গিয়েছিল ভালো খদ্দেরও ছিল কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে হোটেলের সমস্ত খাবার এবার ফেলে দিতে হবে।  আগে থেকে বললে এত ক্ষতি হতো না আমাদের ।

ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায় বলেন , “জেলাশাসকের নির্দেশ ক্রমেই এই এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছেন। এখান দিয়ে কোনও গাড়ি বা পায়ে হেঁটেও যাতায়ত নিষিদ্ধ। এখানে কোনও মানুষই আসতে পারবেননা। আগামী ১০ অগস্ট পর্যন্ত এই অবস্থা বহাল থাকবে।” ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত ১০তারিখ অবধি এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে পরে পর্যালোচনা করে দেখা হবে কন্টেনমেন্ট জোনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা।

RELATED ARTICLES

Most Popular