Homeএখন খবরপাটকাঠির মশালেই বিসর্জন কাটোয়ার বোলতলা কালীর

পাটকাঠির মশালেই বিসর্জন কাটোয়ার বোলতলা কালীর

               
গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার মুস্থূলী গ্রামের জাগ্রত মা-কালী “মেজঠাকরুন “নামে পরিচিত।মুস্থূলী গ্রামের এই মা-কালী এলাকায় “বোলতলা “কালী নামে খ্যাত। বোলতলা কালীমায়ের পুজো প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো।সেই সময় এক তন্ত্রসাধক বকুল গাছের তলায় ছোট মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন।সাধক মারা যাবার পর তার নির্দেশ মতো এখানেই তাকে সমাধি দেওয়া হয়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এখানে ভক্তদের অনুদানে দেবীর বিরাট মন্দির তৈরি হয়েছে। সেই সাধক মারা যাবার পর স্থানীয় জমিদাররা বেশ কিছুদিন পুজো করেছিলেন। জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর তারা স্থানীয় বাসিন্দা রানি দাসকে পুজোর দায়িত্ব দিয়ে যান।রাণি দাসের উত্তরসূরি অশোক কুমার দাস জানালেন চার পুরুষ ধরে আমরা এই পুজো চালাচ্ছি। এখন বারোয়ারি পুজো।বর্তমানে পুজো কমিটির একটি ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে এবং এই ট্রাস্ট এই দুই বছর দায়িত্ব নিয়ে পুজো পরিচালনা করেছেন।

এলাকার বর্ষীয়ান প্রাক্তন শিক্ষক দিলীপ চ্যাটার্জ্জী বললেন,ঘোড়ানাশ, মুস্থূলী, আমডাঙ্গা ও একড়েলা গ্রামের গৃহবধূরা দল বেধেঁ কালীপূজোর দিন বেলা তিনটে থেকে বোলতলা মায়ের মন্দির প্রাঙ্গণে  জড়ো হন সিদুঁর খেলতে।স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে এই সিদুঁর খেলার নাম”এয়োতি বরণ” বা” ঠারোগো পান”।মাকে পান,সুপারি কলা দিয়ে বরণ করার পর দু-তিন ঘণ্টা ধরে চলে সিদুঁর উৎসব।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুজোর দিন রাত্রিতে মায়ের রঙ হয়।রাত বারোটার পর পুজো শুরু হয়।মাযের গায়ে পড়ানো প্রচুর স্বর্ণ  ও রৌপ্য অলঙ্কার। সারা বছর ব্যাঙ্কের লকারে মায়ের গহণা রাখা হয়।পুজোর সময় নিয়ে এসে মাকে পড়ানো হয়।প্রায় ১১ফুট উঁচু প্রতিমাকে আটনে বসানো হয়। তারপর যথাবিহিত পুজো শুরু হয়।ভোরে মানত রাখা ভক্তদের প্রায় ৮০-১০০টি ছাগ বলি হয়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মুস্থূলী গ্রামের বাসিন্দারা জানালেন, বোলতলা মায়ের পুজোর সব থেকে আকর্ষণ হল বিসর্জন। সেইজন্য প্রতিমা বিসর্জনের সময় বেহারা ঠিক করতে হয় না।মাকে কাঁধে নেওয়ার জন্য বাসিন্দাদের মধ্যে হুডোহুডি পড়ে যায়।পাটকাঠির মশালের আলোয় প্রতিমাকে নিয়ে বাহকরা দৌড়াতে দৌড়াতে পাশের গ্রাম আমডাঙ্গায় নিয়ে যান।সেখানে বুড়ো শিবের সঙ্গে দেখা করে আসার পর মন্দিরের পাশের পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।এটাই রীতি।প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular