Homeএখন খবরবালিভূমি সাহিত্য পুরস্কারে সম্মানিত খড়গপুরের কামরুজ্জামান, সম্মানিত খড়গপুরের সাহিত্য জগৎ

বালিভূমি সাহিত্য পুরস্কারে সম্মানিত খড়গপুরের কামরুজ্জামান, সম্মানিত খড়গপুরের সাহিত্য জগৎ

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক সময় পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের মতই উচ্চমানের গল্পকার অনিল ঘড়াইয়ের শহর খড়গপুর। বাংলা কবিতাকে শাসন করেন কবি সুনীল মাজী। সাহিত্য জগতের কবি গল্পকারের মত মনিমুক্তা ছড়ানো শহরের আরও এক অহংকার প্রাবন্ধিক কামরুজ্জামান। স্বল্পবাক মিতভাষী মানুষটির কলমে জাদুর ছোঁয়া। কামরুজ্জামানের সম্পাদনায় দারুন দক্ষতার পাশাপাশি নীরব অথচ বলিষ্ঠ প্রবন্ধ রচনা নজর কেড়েছে জ্ঞানিগুনী জনেদের।

কামরুজ্জামানের খ্যাতি এপার বাংলা ছড়িয়ে ওপার বাংলা এমনকি বৃহত্তর বঙ্গভাষাভাষি দুনিয়ায়। সেই কামরুজ্জামানকে বালিভূমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ প্রদান করল বালিচক সাহিত্য সংসদ। ৭ই মার্চ বালিচকের ব্রাহ্মণশাসন কমলা বিদ্যাপীঠে বালিচক সাহিত্য সংসদের ২৮ তম সাহিত্য সম্মেলনে এই সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হল খড়গপুর সন্তান কামরুজ্জামানের হাতে।

বালিচকের মত একটি মফস্বল এলাকায় সাহিত্য চর্চায় নিরলস যাত্রা এই বালিচক সাহিত্য সংসদের। প্রায় তিন দশকের এই যাত্রায় তাঁদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছেন সাহিত্যের এরকমই নিষ্ঠাবান সাধকরা। ২০২১য়ে সেই খোঁজে কামরুজ্জামানের পাশাপাশি সম্মানিত করা হয়েছে কবি লক্ষীকান্ত ঘোষ,গল্পকার চিত্রলেখা দাসকেও। প্রতি ক্ষেত্রেই পুরস্কার মূল‍্য ৫০০০ টাকা , স্মারক ও মানপত্র দিয়ে সম্মান জানানো হয়। অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দেড়শতাধিক কবি সাহিত্যিক কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। খড়গপুর থেকে জয়শ্রী সরকার, রাখহরি পাল, কামরুজ্জামান, মহুয়া ব্যানার্জী, অমিত দেব, মিঠু মন্ডল, প্রিয়াঙ্কা মজুমদার, বৈশাখী পান্ডা, সবিতা পাত্র, তাপস কুমার মুখোপাধ্যায়, মনোজ মোহন চক্রবর্তী ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশিষ্ট কবি কবিতাপাঠে অংশ নেন।

ওইদিন অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় মঙ্গল দীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক শ্রী বানীরঞ্জন দে। তিনি অনুষ্ঠানের সূচনা ও ‘বালিভূমি’ সাহিত্য পত্রিকার বার্ষিক সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ক্ষিতিশ সাঁতরা, প্রাবন্ধিক অচিন্ত্য মারিক, কবি প্রফুল্ল পাল, জাতীয় শিক্ষক শ্রী দিলীপ দাস, গল্পকার কাশীনাথ সাহা, ঔপন্যাসিক সুকুমার কলা এবং সংসদের সভাপতি শ্রী মোহিনীমোহন মাইতি মহাশয়ের উজ্বল উপস্থিতি মঞ্চকে আলোকিত করে তুলেছিল। বালিচক সাহিত্য সংসদের পক্ষ থেকে স্বাগত ভাষণ দেন তরুণ গোস্বামী। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন নিত্য দত্ত( সম্পাদক, বালিভূমি) ও অর্পিতা দে।

উল্লেখ্য বিভিন্ন সম্পাদনার পাশাপাশি কামরুজ্জামানের একটি বিশেষ ভালো লাগা বিষয় হল খড়গপুর চর্চা। ইতিমধ্যে খড়গপুর বিষয়ক দুটি গ্রন্থ সম্পাদনা করে তা প্রকাশ করেছেন। খড়গপুর বিষয়ক সেই পুস্তক দুটিতে প্রাচীন খড়গপুর থেকে অধুনা এই শহর বিষয়ক ভিন্ন ভিন্ন প্রবন্ধ গ্রন্থিত করেছেন সেই দুটি পুস্তকের দুই মলাটে যা খড়গপুর চর্চায় আকর হিসাবে কাজ করবে। খড়গপুরকে নিয়ে আরও কয়েকটি এই ধরনের গবেষণা ধর্মী পুস্তক প্রকাশের ইচ্ছা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

RELATED ARTICLES

Most Popular