Homeএখন খবর'কন্যাশ্রী'র টাকা পেতেও দিতে কাটমানি! ভিডিও ভাইরাল হতেই তোলপাড় জেলা, তদন্তের নির্দেশ...

‘কন্যাশ্রী’র টাকা পেতেও দিতে কাটমানি! ভিডিও ভাইরাল হতেই তোলপাড় জেলা, তদন্তের নির্দেশ প্রশাসনের

ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যজুড়ে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে সাধারণ মানুষকে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে নেতা নেত্রীদের কাটমানি নেওয়ার খবর এর আগে একাধিকবার শিরোনামে উঠেছে। এবার সেই তালিকায় নাম উঠে এল রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের নাম। ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রীদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী চালু হয় ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’। সেই টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে কাটমানি নেওয়ার মারাত্মক অভিযোগ উঠল খোদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচোল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর হাই মাদ্রাসায়। ইতিমধ্যেই চতুর্থ শ্রেণীর ওই কর্মীর ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করার সাথে সাথেই সেটি মূহুর্তে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এবিষয়ে ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও অভিভাবকদের তরফে চাঁচোলের বিডিও এবং মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, চাঁচোল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর হাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাফাজ্জল হোসেন ও স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী মোহাম্মদ হারুন ছাত্রীদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫ টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রত্যেক ছাত্রী পিছু তাদের ৫ হাজার টাকা করে কাটমানি দেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকি কাটমানি না দিলে কোনোভাবেই কন্যাশ্রীর টাকা মিলবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। যদিও ছাত্রীদের করা অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাফাজ্জল হোসেন। তবে যেহেতু ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পড়ুয়াদের তরফে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেকারণে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।

এদিকে ইতিমধ্যেই ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর কাটমানি নেওয়ার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেন স্থানীয় প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। শুধু তাই নয়, এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও নাকি একেবারেই মিথ্যা। যদিও ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি মালদহের জেলাশাসকের তরফে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular