Homeঅন্যান্যক্রান্তিকালের মনীষা-২ ।। অনিন্দিতা নন্দী মাইতি

ক্রান্তিকালের মনীষা-২ ।। অনিন্দিতা নন্দী মাইতি

আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু: হৃদয়ে সাহিত্য চেতনায় বিজ্ঞান -১                                                                                 অনিন্দিতা নন্দী মাইতি(জ্ঞান পিপাসু জগদীশ ও মার্কনী সাহেবের মার্কেটিং)               

ভারতবর্ষে প্রায় দু’হাজার বছর আগে বিজ্ঞানের এক স্বর্ণযুগের সূচনা হয়েছিল আর্যভট্ট,
ভাস্কর, ব্রহ্মগুপ্তদের মতো স্বনামধন্য
বিজ্ঞানী দের হাত ধরে জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি
বা জ্যোতির্বিদ্যায় এরা বিশেষ অবদান রাখেন।ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে জন্মনিলেন এমন এক প্রতিভা সম্পন্ন  বৈজ্ঞানিক  যিনি একাই
বিজ্ঞানকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করে  ভারতবর্ষে বিজ্ঞানের  নবজাগরণ  ঘটালেন এই তরুণ  বৈজ্ঞানিক প্রমাণ করে দিলেন, ”বিজ্ঞান- প্রাচ্যের নহে, পাশ্চাত্যের ও নহে, ইহা বিশ্বজনীন।” তার সমস্ত মননে ধ্বনিত হয়, ”বিজ্ঞান অনুশীলন সম্পূর্ণ পাশ্চাত্য, ভারতীয় সভ্যতার সহিত তাহার সামঞ্জস্য নাই   এই  সমস্ত  উক্তি  অজ্ঞতাপ্রসূত এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

তিনি সবসময় বিশ্বাস করতেন যে মানুষ  যখন তার জীবন ও আরাধনা কোনো উদ্দেশ্যে নিবেদন করে তখন সেই উদ্দেশ্য কখনোই বিফলে যায় না ,তখন অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যায় প্রখ্যাত  এই তরুণ বৈজ্ঞানিক আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৫৮ খ্রী ৩০ শে নভেম্বর জন্ম নিলেন  অধুনা  বাংলাদেশের বিক্রমপুরে। তাঁর  বাবা  ভগবানচন্দ্র বসু ছিলেন উচ্চপদস্থ  সরকারী কর্মচারী- ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। বাংলাদেশের এই ময়মনসিংহের  বিক্রমপুর  একসময়ে হিন্দু এবং বৌদ্ধধৰ্ম  আলোচনার পীঠস্থান ছিল। জগদীশচন্দ্র তাঁর বাবার কর্মস্থল
ফরিদপুরেই প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু করেন। গ্রামের পড়া  শেষ হবার পর আসেন সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে। মূলত বাবা ও মায়ের স্নেহ ও শিক্ষায় লালিত এই বিজ্ঞানী পরবর্তীকালে তাঁর স্মৃতিচারণায় বলেছেন,  ‘The inventive bent of my mind received its first impetus from the industrial and technical school”।

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু নামবললেই  সাধারণভাবে দুটি কথা প্রচলিত ,  আচার্য রেডিও আবিষ্কার করেন ও তিনি প্রথম প্রমান করেন যে গাছের প্রাণ আছে। আবার এটাও শোনা  যায়  যে মার্কনি (Marconi) সাহেব আচার্য জগদীশচন্দ্রের কাজটি নিজের নামে করে
নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। আচার্য  জগদীশচন্দ্র বসু কাজ করেছেন অতি স্বল্প দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ নিয়ে আর মার্কনিসাহেব অতিদীর্ঘ বেতার তরঙ্গ নিয়ে তাঁর কাজ করেছেন। জগদীশচন্দ্র বসু মাইক্রোওয়েভের আবিষ্কার করেন   যা পরবর্তীকালে গ্রাহক যন্ত্র বা রিসিভার আজকের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত মূল্যবান আবিষ্কার।

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু অলিভার লজের  লেখা ‘হার্ৎসীয় বিদ্যুৎ তরঙ্গ’ বইটি পড়ে অনুপ্রাণিত  হন এবং তিনি বুঝতে পারেন যে অদৃশ্য   বিদ্যুৎ তরঙ্গ যে আলো তরঙ্গের অনুবর্তী এটা প্রমাণ করতে  গেলে অনেক ছোট বিদ্যুৎ তরঙ্গ  উৎপাদন করতে হবে তাঁকে। তিনি কাজ শুরু করেন তাঁর  নতুন ল্যাবরেটরিতে নিজস্ব পদ্ধতিতে,  নিজস্ব তৈরী যন্ত্র ও  যন্ত্রাংশ নিয়ে। তাঁর  গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ ধর্ম এবং আলোর সংশ্লেষ। আশ্চর্য ক্ষমতাবলে তিনি সৃষ্টি করলেন তাঁর মাইক্রোওয়েভ। সেদিনের ঘটনাস্থল হলো কলকাতার  টাউনহল। তরুণ বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র  আজ থেকে প্রায় ১২৪ বছর  আগে ১৮৯৫ সালে এক অদ্ভুত বিচিত্র কাণ্ড প্রদর্শনী করেছিলেন। এই প্রদর্শনী স্থল টাউনহলটি ছিল
জনারণ্যে ভর্তি। এই বিজ্ঞানী ডায়াসে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, সঙ্গে ছিল অদ্ভুত বিচিত্র সব
যন্ত্রপাতি। তাঁর প্রায় মুখোমুখি বসে তন্ময় হয়ে বক্তৃতা শুনছেন গভর্নর স্যার উইলিয়াম ম্যাকেঞ্জি।
বক্তৃতা দিতে দিতেই একটি আশ্চর্য ঘটনা ঘটালেন। একটি পিস্তলের গুলির  আওয়াজের সাথে সাথেই
প্রায় পঁচাত্তর ফুট  দূরে একটি তালাবন্ধ ঘরের মধ্যে বারুদের স্তূপে বিস্ফোরণ ঘটে। সামনে বসে থাকা গভর্নর স্যার উইলিয়াম ম্যাকেঞ্জির বিশালাকার দেহ ও তিনটি দেওয়াল  ভেদ করে এই বিদ্যুৎ তরঙ্গ একটি বিস্ফোরণ ঘটায়, যেখানে পিস্তলের সেই গুলির আওয়াজের সাথে সেই আবদ্ধ তালাবন্ধ ঘরের বারুদস্তূপের কোনোরকমই যোগাযোগ ছিল না।

আচার্য জগদীশচন্দ্র এই  অদ্ভুত ব্যাপারের মধ্যেই তাঁর একটি অমূল্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের বার্তা  দিলেন যা ছিল বিনা তারে বার্তা প্রেরণ করার সূত্র। তিনি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিলেন তাঁর ডায়াসের সামনে যে অদ্ভুত যন্ত্রটি রয়েছে তার ভেতর থেকে বিদ্যুৎ তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে আবদ্ধ  ঘরটাতে  বিস্ফোরণ ঘটায়। টাউন হলে এই বিস্ময়কর
এক্সপেরিমেন্ট জনসমক্ষে দেখানোর  আগে জগদীশচন্দ্র প্রেসিডেন্সি  কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার লাফোঁ ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের কাছে তাঁর মাইক্রোওয়েভ ও তাঁর ধৰ্ম প্ৰদর্শন করেন। পরে ফাদার লাফোঁ এক চিঠিতে
লিখেছিলেন: ‘প্রিয় জগদীশ,  তুমিই যে মার্কনির আগে বেতারে বার্তা প্রেরণে সমর্থ হয়েছ, তা আমি সকলকে জানাতে চাই।’

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো যে ভারতীয়দের প্রতি  তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ  ও আর্থিক সহায়তার অভাবে আচার্য  জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর আবিষ্কারকে বিশ্বজনসমক্ষে যথা সময়ে তুলে ধরতে না পারায় ইতালীয় বিজ্ঞানী মার্কনি সাড়ে তিন কিমি দূরে বিনা তারে  বার্তা পাঠিয়ে নোবেল পুরস্কারের বিজয়মুকুট মাথায় পরেন। ১৯০৯ খ্রী মার্কনি সাহেব নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মার্কনি সাহেব যে মর্স সিগন্যাল পাঠিয়ে সারা পৃথিবীতে আলোড়ন তুলেছিলেন খুব সম্ভবত তিনি আচার্য জগদীশচন্দ্রের বেতার গ্রহণ যন্ত্র এবং টেসলার এর বেতার প্রেরণ যন্ত্রের সাহায্য নিয়েছিলেন। অথচ এই মার্কনি সাহেব কৃতজ্ঞতা বশত একবারও এই দুজনের নাম উচ্চারণ পর্যন্ত করেন নি।যে বিজয়মাল্য আচার্য জগদীশচন্দ্র
বসুর প্রাপ্য ছিল তা চলে গেল ইতালীয় আবিস্কারক মার্কনি সাহেবের হাতে।মার্কনি সাহেব
বুঝেছিলেন যে বেতারে মর্স সিগন্যাল পাঠাতে পারলে সেই বার্তা প্রেরণ ও বার্তা গ্রহণ সৃষ্টি করবে এক অসাধারণ যুগের, তাঁর উদ্দেশ্য কেবল একমুখী ছিল তা হল বেতার বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ।

মার্কনি সাহেবের ছিল অসাধারণ বিপণন দক্ষতা (marketing skill)  অপর দিকে আচার্য জগদীশচন্দ্র একজন অনবদ্য প্রকৃত পদার্থবিদ হিসেবে ম্যাক্সওয়েলের তথ্যের যথার্থতা  প্রমাণেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন। সেই সাথে তিনি পেটেন্ট গ্রহণের বিরোধী ছিলেন। বিখ্যাত Telegraph Company  আচার্যের কাছে তাঁর মেধাস্বত্ব কিনতে চাইলে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। অথচ সেদিন বেতার যন্ত্র তৈরির কৌশল যদি পেটেন্ট  নিয়ে বিক্রি করতেন তাহলে হয়ত  আজ বাঙালির এই আবিষ্কারের ইতিহাস অন্যভাবেই লেখা হত। আচার্য বিশ্বাস করতেন, ”জ্ঞান দেবতার  দান, তাহা অর্থ লাভের উপায় নহে।”

তাঁর মতে জীবনের সার্থকতা  শুধু অর্থ উপার্জনে নয়, খ্যাতি প্রতিপত্তিতে নয়,সাধুবাদ বা  ভোগে নয়,  সার্থকতা আছে শুধু গভীরভাবে উপলব্ধিতে। আচার্যের বক্তৃতার পর (তাঁর রয়েল ইনস্টিটিউশনে)  এক পত্রিকা বিস্ময় প্রকাশ করে লেখেন যে জগদীশচন্দ্র তাঁর আবিষ্কারের পেটেন্ট না করেই তাঁর আবিষ্কারের যান্ত্রিক খুঁটিনাটি প্রকাশ করে দিয়েছেন। এই পত্রিকাটি আরো লেখে যে, ”It has been open to all the world to adopt it for practical and possibly money making purposes.”-আচার্য জগদীশচন্দ্র এই সাবধান বাণীতে কর্ণপাত না করে কোনো পেটেন্টও করেননি। ১৯৭৭ সালে  Physics এ নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক স্যার নেভিল মটন্স মন্তব্য করেছিলেন জগদীশ্চন্দ্ৰ তাঁর সময়ের চেয়ে অন্তত ষাট বছর এগিয়েছিলেন ।বিজ্ঞানী আইনস্টাইন জগদীশচন্দ্রের অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার দেখে বলেছিলেন,  ”জগদীশচন্দ্রের প্রত্যেকটি  আবিষ্কার বিজ্ঞান জগতে এক একটি বিজয়স্তম্ভ।” আবার রম্যা রলাঁ বলেন, ”জগদীশচন্দ্র হলেন Revealer of a new world.”

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে এই তরুণ বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্রের এক অদ্ভুত দৃঢ় সখ্যতা ছিল। তাই বিশ্বকবি বিজ্ঞানী বন্ধুর উদ্যেশ্যে লেখেন,                                                        ”বিজ্ঞান লক্ষীর প্রিয় পশ্চিম মন্দিরে                                       দূর সিন্ধু তীরে হে বন্ধু গিয়েছ তুমি,                                            জয়মাল্য খানি সেথা হতে আনি,                                দীনহীনা জননীর লজ্জানত শিরে পরায়েছ ধীরে।”      আচার্য জগদীশচন্দ্রের আর এক অমূল্য আবিষ্কার প্রায় অগোচরে রয়েছে অধিকাংশ জনের।
তিনি তরঙ্গের এক গ্রাহক যন্ত্র তৈরী করেন লেড সালফাইড বা ‘গ্যালেনা’ কেলাসের (Crystal) এর সাহায্যে। জগদীশচন্দ্র  ১৮৯৮-৯৯ সাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের Crystal বা কেলাস নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা  করেন এবং সেই Crystal গুলির বিদ্যুৎ পরিবাহিতার উপর গবেষনা করে সেগুলি পরে লিপিবদ্ধ করেন। তিনি ‘গ্যালেনা’ রিসিভারকে অদৃশ্য চক্ষু নাম দেন। জগদীশ্চন্দ্রের Crystal Receiver  বহুদিন পর্যন্ত রেডিও তৈরীতে ব্যবহৃত হয়েছে। Semi conductor (সেমি-কন্ডাকটর) আজকের আধুনিক প্রযুক্তি যার উপর দাঁড়িয়ে আছে তাঁর প্রথম আবিষ্কারক হলেন তিনি।

আচার্য ছিলেন একজন সৎ, নির্লোভ ও দৃঢ় চরিত্রের মানুষ। তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা আরো বেশি করে ফুটে ওঠে নোবেল পুরস্কার না পাওয়ার পর। কোনো রকম আক্ষেপ না করেই আচার্য তাঁর জীবনের বিজ্ঞান সাধনায় এক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেন। বিজ্ঞানের সাফল্যের  শীর্ষ স্পর্শ না করে ফিরে আসার যে মানসিক যন্ত্রণা  তা ভুলে  থাকার জন্যে তিনি সম্পূর্ণ অজানা বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। আচার্য জগদীশচন্দ্র যদি কেবলমাত্র পদার্থবিদ্যার গবেষণাতে লেগে থাকতেন তাহলে  হয়তবা খ্যাতির পথ আরো অনেক সহজ হত। কিন্তু আচার্য নিজেই এই অতি দুর্গম পথকেই গবেষণার বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নিলেন এক্সপেরিমেন্টাল  ফিজিক্স (experimental physics) নিয়ে উদ্ভিদের জগতে প্রবেশ  করে এক বিরাট  মাপের পথপ্রদর্শক হয়ে রইলেন।                                  ——————————–

রচনা সূত্র (Reference):
আধুনিক জীবপদার্থবিদ্যার জনক আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু , শিব শংকর সেনাপতি, প্রতিফলন পাবলিকেশন, সংস্করণ:২৩শে অক্টোবর ২০১৪।
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীরা (Heroes of Science), সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, পাতা সংখ্যা ৩৮৬-৩৯০, সংস্করণ:কলকাতা বইমেলা,২০১৩।
জগদীশচন্দ্রের বিজ্ঞান ভাবনা, দেবীপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিচিত্র, দৈনিক স্টেটসম্যান, সংস্করণ: ১৭ই মে ২০০৯।
বাংলা সাহিত্যে জগদীশচন্দ্রের অমিত অবদান, পার্থসারথি চক্রবর্তী, বিচিত্র, দৈনিক স্টেটসম্যান, ১৭ই মে ২০০৯।
বুকের মাঝে বিশ্বলোকের সারা, বিকাশ সিংহ, রবিবাসরীয়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৪ই জুন ২০০৯।
ডারউইন, জগদীশ্চন্দ্র আর মুসাভি: তিন শতাব্দীর গল্প, রতনলাল ব্রম্ভচারী, কিশোর বিজ্ঞানী, ISSN 2455-7382, পাতা সংখ্যা ১০-১১।
নিবেদিতার মূল্যায়ন-একটি সমীক্ষা, অভিজিৎ মজুমদার, পাতা সংখ্যা ১৪-১৮, জনবিজ্ঞানের ইস্তাহার, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, মার্চ ২০১৯।
মনীষী-বচন-নির্ঝর, ড.পার্শ্বনাথ রায় চৌধুরী, সাহিত্য ভারতী পাবলিকেশনস্ লিমিটেড, সংস্করণ:৮ই জুলাই,২০০৫।
আমরা বাঙালি, শ্রী হরিসাধন চট্টোপাধ্যায়, এ, মুখার্জী এন্ড ব্রাদার্স, পাতা সংখ্যা: ১৮৫-১৮৬।
ছবি:আন্তর্জাল (Internet) থেকে সংগৃহীত।

RELATED ARTICLES

Most Popular