Homeএখন খবরস্কুল ঘরে লুঙ্গি আর গামছা শুকায় ঠিকাদার, এক কক্ষেই গাদাগাদি করে পড়াশুনা...

স্কুল ঘরে লুঙ্গি আর গামছা শুকায় ঠিকাদার, এক কক্ষেই গাদাগাদি করে পড়াশুনা করে কেশিয়াড়ির ডম্বুরকোলার শৈশব

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত প্রায় ১বছর ধরেই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের তিনটি কক্ষের ২টি কক্ষই দখল করে রখেছে ঠিকাদারের লোকজন আর একটা কক্ষেই চলছে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেনী অবধি পড়ুয়াদের পঠন পাঠন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, আশেপাশের যত গ্রাম আছে আর গোটা ব্লক জুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা আর নির্মল বাংলা মিশনের শৌচাগার তৈরির জন্য নির্ধারিত ঠিকাদারের দল দখল করে রেখেছে দুটি কামরা ফলে লাটে উঠেছে শিশুদের পড়াশুনা।

 

পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়াড়ি ব্লকের নছিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ডম্বুরকোলা গ্রামের বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসকের কাছে দরবার করেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি শুধুই পড়াশুনার ব্যাঘাত নয়, ওই কক্ষ দুটিতে ঠিকাদারের লোকজন থাকছে , রান্না বান্না করছেন , জামা কাপড় লুঙ্গি শুকোচ্ছে। পাশাপাশি স্কুলের বারান্দায় ডাঁই করে রাখা হয়েছে নির্মান সামগ্রী ও অন্যান্য মালপত্র। আর এরফলে নোংরা , অপরিচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে স্কুলের পরিবেশ। একটা ঘরে গাদাগাদি করে পড়াশুনা করতে হচ্ছে ৩০টির মত শিশুকে।”

 

জেলা শাসকের কাছে এই আবেদন পৌঁছানো মাত্র তাঁর দপ্তর থেকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয় নছিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। যদিও বিষয়টি নিয়ে তাদের কিছুই করার নেই বলেই জানিয়েছেন সংশিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। প্রধান মামনি দণ্ডপাট জানিয়েছেন, ” নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের কাজ পঞ্চায়েত সমিতির তত্বাবধানে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে করা হয়ে থাকে। কিন্তু যেহেতু কেশিয়াড়িতে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করাই হয়নি। তাই পুরো কাজটাই বিডিও অফিসের আধিকারিকরাই করে থাকেন।”

 

  • উল্লেখ্য বিজেপির আভিযোগ যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়িতে বিজেপির নির্বাচিত সদস্যর পরিমান বেশি তাই এই পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করেনি সরকার। আর সেই সুযোগ নিয়ে শাসকদলের সদস্যরা আধিকারিকদের সাহায্য নিয়ে ঠিকাদার রাজ কায়েম করেছে কেশিয়াড়িতে। আর নিজেদের কাটমানি অক্ষুন্ন রাখতেই বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতেই জনস্বার্থ ক্ষুন্ন করে এই সব বেআইনি কাজ করা হচ্ছে।
    উল্লেখ্য সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতটিও বিজেপি পরিচালিত। এখানে বিজেপির ৯জন ও তৃণমূলের ৪জন সদস্য রয়েছে। আর যে গ্রামে এই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি রয়েছে সেখানকার সদস্য ঘটনাক্রমে তৃনমূল থেকেই নির্বাচিত। অবশ্য গত দু’দিন করোনা সতর্কতায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি ছুটি ঘোষনা করায় রেহাই পেয়েছে শিশুরা।
RELATED ARTICLES

Most Popular