Homeএখন খবরপি কে র ফর্মুলায় কেশপুরে শিউলি ফুটল, সরানো হল সঞ্জয়কে, গোষ্ঠী সংঘর্ষ...

পি কে র ফর্মুলায় কেশপুরে শিউলি ফুটল, সরানো হল সঞ্জয়কে, গোষ্ঠী সংঘর্ষ তীব্র হওয়ার আশংকা

নিজস্ব সংবাদদা: শেষ অবধি সরিয়ে দেওয়া হল কেশপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় পানকে। ব্যাপক দুর্নীতি, গোষ্ঠী দ্বন্দে মদত দেওয়া, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানো, মেদিনীপুর শহরে প্রাসাদোপম বাড়ি আর সর্বোপরি দলের বিধায়ককে কোনঠাসা করা সহ এক গুচ্ছ আভিযোগ দলের কাছে জমা হয়েছিল এই দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতার বিরুদ্ধে। আর এসবই বরদাস্ত করতে পারেননি পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তাঁরই প্রত্যক্ষ সুপারিশে মূখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমূল হাই কমান্ড সীলমোহর দেওয়ার পরই সঞ্জয়কে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

তৃণমূলের এক জেলা নেতা জানিয়েছেন, ”সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তীব্র হওয়ার কারনেই এলাকায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হচ্ছিল। দলেরই এক শ্রেনীর সমর্থক ঝাঁকে ঝাঁকে ঝুঁকে পড়ছিলেন বিজেপির দিকে। সম্প্রতি একটা উদ্যোগ শুরু হয়েছিল তাঁদের ফিরিয়ে আনার। বেশকিছু মানুষ ফিরতেও শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি ছিল সঞ্জয়ের ডানা ছাঁটাই করতে হবে। তাঁদেরকে সেই বার্তা দিতেই সরানো হল সঞ্জয়কে। এরফলে আরও মানুষ দলের প্রতি আস্থা ফিরে পাবেন। দল শক্তিশালী হবে।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দলীয় সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে ফিরে আসার ব্যাপারে বিধায়ক শিউলি সাহার গোষ্টি উদ্যোগী হয়েছিল। তাঁরা যে সফল এটা উচ্চ নেতৃত্বকে বোঝাতে সক্ষম হন আর এর ফলেই শিউলির পুনর্বাসন নিয়ে উদ্যোগী হয় শুভেন্দু ও মমতা ব্যানার্জী।

অন্যদিকে এ ব্যাপারে মমতা ব্যানার্জীকে টিম পিকেও যথেষ্টই প্রভাবিত করেছে। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের আবর্জনা সরিয়ে দিতে চায় টিম পিকে। তৃণমূলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে তাই ব্লকে ব্লকে বিশেষ করে সমস্যা দীর্ণ এলাকাগুলিতে তাদের নজরদারি চলছে। আর তাদেরও সুপারিশ ছিল সঞ্জয়কে সরানো। সঞ্জয়কে সরিয়ে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন যুব সভাপতি উত্তম ত্রিপাটিকে। সঞ্জয়কে অন্যতম জেলা সম্পাদকের পদে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে এই ঘটনার পর সঞ্জয়ের গোষ্টি চুপ করে থাকবে বলে মনে হয়না। সঞ্জয়ের অনুগতরা কেশপুরের মাটিতে সহজে শিউলি ফুটতে দেবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে যথেষ্ট রয়েছে। গত ৬বছর ধরে গেড়ে বসা কায়েমীয়ানা সহজে ছেড়ে দেবেনা। তাই নতুন করে আবারও কেশপুরে গোষ্ঠী দ্বন্দ শুরু হওয়ার আশংকা রয়েই যাচ্ছে। যদিও জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, সঞ্জয় নিজেই অব্যহতি চেয়েছিলেন তাই রাজ্যের অনুমতি ক্রমেই সঞ্জয়কে জেলায় আনা হয়েছে। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবেনা। 

RELATED ARTICLES

Most Popular