Homeএখন খবরচোখে চোখে কি কথা বলে গেলেন মুকুল রায়? মুকুল অনুগামী যা...

চোখে চোখে কি কথা বলে গেলেন মুকুল রায়? মুকুল অনুগামী যা জানালেন

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেড় বেলার প্রচারে একজন নেতা কি করতে পারেন? দুটো পদযাত্রায় একজন নেতা কি পাহাড় উল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন? একটা রাত হোটেলে থেকে অনেক রাত অবধি জেগে থেকে একজন নেতাকি বদলে দিতে পারেন একটা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে ? তবে ? এই তবেতেই আটকে তৃনমূল। না, সাধারন তৃনমূল নেতারা নন, ভাবনা টা আরও উঁচু স্তরের নেতাদের মধ্যে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
টেলিফোন ট্যাপ হচ্ছে তার এমন অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আর সেটা যে ভিত্তিহীন নয় সেতো ভাইরাল হওয়া ‘মুকুল-কৈলাশ’ কথোপকথনেই স্পষ্ট হয়েছিল। তাই চোখে চোখেই কথা বলে গেলেন মুকুল। রবিবার ও সোমবার দুটি পদযাত্রা ও দুটি জনসভা করেছেন। স্ট্র্যাটেজিক্যালি দেখতে গেলে একদমই বেছে নেওয়া জায়গায়। ‘রুট’ দলের নয়, নিজের তৈরি করা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মুকুল পদযাত্রা করেছেন সাহাচক থেকে খরিদা ! তারপর খরিদা থেকে ইন্দা। মুকুল সভা করেছেন তালবাগিচা সহ ২টি জায়গায়। এই ছিল মুকুল রায়ের প্রথম পর্বের সংক্ষিপ্ত কর্মসূচী। আর হ্যাঁ মুকুল একটি বিনিদ্র দীর্ঘ রাত যাপন করেছেন। দ্বিতীয় দফায় মুকুলের ২২তারিখ আসার কথা। যদি তিনি খুব প্রয়োজন মনে করেন তবেই  আসবেন নয়ত নয়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কেন মুকুল এসেছিলেন? এর উত্তরে এক মুকুল অনুগামীর কথায়, ”যদি শুধুই মুকুলদার ফোন ট্যাপ হত তাহলেও মুকুলদার আসার দরকার হতনা কারন আমাদের মত যাদের ফোন এখনও পুলিশ ট্যাপ করতে শুরু করেনি তাদের ফোনেই কাজ করতে পারতেন দাদা। সমস্যা হচ্ছে খড়গপুর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মেদিনীপুর ও খড়গপুরের  অনেক তৃনমূল নেতারও ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। যে কারনে মুকুলদা কথা বলতে এসেছিলেন। সরাসরি ও চোখে চোখে সে কথা হয়ে গেছে। খরিদার পদযাত্রায় ও তালবাগিচার সভায় চোখে চোখে কথা হয়েছে আর হোটেলে কথা হয়েছে সরাসরি।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মুকুল অনুগামী ওই নেতার কথায়, ” দাদার লক্ষ্য ২০২১। তার আগেই বিজেপির মধ্যেই নিজস্ব বিজেপি গড়ে তুলছেন দাদা। খড়গপুর মেদিনীপুরের একটি বড় অংশের তৃনমূল নেতৃত্ব তাকিয়ে আছে। আগামী বছর জুলাই মাসে দল ছাড়ছে এঁরা। দাদার হাত ধরেই এঁরা বিজেপিতে আসবেন।” অবাক হওয়ার মত ঘটনা ! এত কথা যখন হয়েই আছে তখন কষ্ট করে আসার দরকার কি ?

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এতক্ষনে ঝেড়ে কাশলেন মুকুল অনুগামী। বললেন, ‘তৃণমূলের ওই অংশকে এই নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন দাদা। কিন্ত মেদিনীপুর ও খড়গপুরের ওই নেতারা নির্বাচনে কাজ করছেন এমন খবর ছিল। দাদা সেটাই খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন।” কি দেখলেন ?
” ধুর মশাই সেটা আপনাকে বলব কেন?” এড়িয়ে যেতে চাইলেন মুকুল অনুগামী।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
একটু ইঙ্গিত দিন অন্ততঃ অনুরোধ করলে মুকুল অনুগামী জানালেন, ” দাদা দেখলেন, নেতারা কাজ করছে কিন্তু তাঁদের অনুগতরা হয় চুপচাপ আছে আর নয়ত কাজের ভান করছে প্রচারের জন্য বরাদ্দ উড়তে থাকা টাকা ধরার  জন্য।” আর কারা কারা অত রাতে হোটেলে এসেছিল ? ” না, আর বলবনা।” একটু ইঙ্গিত দিন। ” জানিনা যান, আমি বললে ওই এমএলএ আর সামনের বার টিকিট পাবে ?” বলেই জিহ্ব কাটলেন তিনি। 

RELATED ARTICLES

Most Popular