Homeএখন খবরপাঁচ বছরেই ডিউসের মিডিয়ায় পেস সামলে তাক লাগাচ্ছে খড়গপুরের শুভজিৎ

পাঁচ বছরেই ডিউসের মিডিয়ায় পেস সামলে তাক লাগাচ্ছে খড়গপুরের শুভজিৎ

নিজস্ব সংবাদদাতা: ৬ মাস বয়সে অন্নপ্রাশনের সময় বাবা একটা ডিউস  বল উপহার দিয়েছিল শুভজিৎকে। পরিবার এবং প্রতিবেশীরা অবাক এমনকি বিরক্তও হয়েছিল বাবা হিমাংশুর এই আদিখ্যেতা দেখে।আজ সেই প্রতিবেশিরাই শুধু নয়, আশেপাশের গ্রাম ভিড় করে শুভজিৎয়ের প্র্যাকটিস দেখার জন্য। প্রায় ৭ লাখ খরচ করে বাবা হিমাংশু দলুই ছেলের জন্য বানিয়েছেন, প্র্যাকটিস নেট, পীচ আর রাতের আলোতে খেলার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য মিনিমাস আলো।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খড়গপুর শহর থেকে ৭কিলোমিটার দুরে জকপুর রেল স্টেশনের গা ঘেঁষে গ্রামীন খড়গপুর থানার রাধানগর গ্রামে রাত ৯টা নাগাদ পৌঁছে গেলে আপনিও দেখতে পারেন শুভজিৎয়ের প্র্যাকটিস। কী অবলীলায় শিশুটি সামলে নিচ্ছে লেগ কিংবা অফ কাটার, স্পিন, স্পেস এমন কি ১২০ থেকে ১২৯কিমি বেগের মিডিয়াম ফাস্ট বোলিং!

বাবা হিমাংশু দোলুইয়ের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়েছিল  দারিদ্র। অল্প বয়সেই কাজ নিতে হয়েছিল সোনার দোকানে। সেই উপার্জন থেকেই একটু একটু করে টাকা জমিয়েছেন ছেলেকে বিরাট কোহলির মত ক্রিকেটার করার। ভাইয়ের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে বিয়ে করেননি হিমাংশুর দাদা সমাজসেবী নান্টু দোলুই। আকৃতদার নান্টু স্থানীয় লছমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভজিৎয়ের জেঠুও সাধ্যমত পাশে দাঁড়িয়েছেন।
  আড়াইবছর বয়সে শুভজিৎ ভাল করে দাঁড়াতে পারার আগেই শুরু হয়েছিল প্র্যাকটিস। বল করেন বাবাই। নিয়ম করে প্রতিদিনই ২ থেকে আড়াই ঘন্টার প্র্যাকটিস দিনে এবং রাতে। হিমাংশু বলেন, ”ক্রিকেট এখন দিনরাতের খেলা হয়ে গেছে তাই দুটো বেলাই বেছে নিয়েছি।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হিমাংশু নিজেও বোলিংয়ের জন্য রীতিমত চর্চা করেন। নিয়মিত বিখ্যাত বোলারদের বল দেখে শিখে নিয়েছেন স্পিন, পেসের পাশাপাশি গুগলি, ইয়র্কার। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম শরীরে বল লাগলে কেঁদে উঠত ছেলে। ওর মা ঠাকুমা ছুটে আসত। আমাকে বকত, বলত ছেড়ে দাও এই খেলা। এখন আর সেসব হয়না। ১০০টার মধ্যে কখনও কখনও বড় জোর ২ টি মিস হয়। একদিন ভুল করে একটা ইনস্যুইং ডেলিভারি করে খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম, যদি লেগে যায়! কিন্ত দেখলাম সামলে নিল ও । তারপর থেকে আর ভয় পাইনি। তবে এখনও বাউনসার দেইনি। ওটা আরও কিছুদিন পরে শুরু করব। আরও একটু হাইট বাড়ুক । ”

হিমাংশু যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন লক্ষীরতন শুক্লার সঙ্গে। হাওড়াতে শুক্লার ক্রিকেট এ্যাকাডেমিতে ছেলেকে প্র্যাকটিসের জন্য ভর্তি করার। মা সুপ্রিয়া সাধারন খাওয়া দাওয়ার পাশাপশি অতিরিক্ত খাবার হিসাবে মুসম্বি লেবু, হরলিক্স ইত্যাদি দেন। তিনিও স্বপ্ন দেখেন ছেলে একদিন কোহলির মতই দেশের হয়ে খেলবে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জেঠু নান্টু বলেন, কম বয়সে টেনিস বল খেলে কয়েক জন প্রচারের আলোয় এসেছে ঠিকই কিন্ত এত কম বয়সে ডিউসে কেউ খেলেছে বলে শুনিনি। এই প্রতিভাকে বাঁচিয়ে রাখতে আরও বড় করে তুলতে হবে যাতে আমাদের দেশ একজন ভাল ক্রিকেটার পায়। সেই চেষ্টাই করছি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খড়গপুর ভারতীয় ক্রিকেটের গর্ব। মহেন্দ্র সিং ধোনি এই খড়গপুরের মাটিতে প্র্যাকটিস করেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটে অনুর্ধ ১৯ য়ে এখন ভারতের মুখ,  অল রাউণ্ডর করনলাল এই খড়গপুরেরই ছেলে। সেই খড়গপুরের মাটি থেকেই কি আরেক তারকা উঠে আসতে চলেছে তবে? 

RELATED ARTICLES

Most Popular