Homeএখন খবরঅবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী খুনের ঘটনায় পরিচিতকেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ , বাবা খুনি ভাবতেই...

অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী খুনের ঘটনায় পরিচিতকেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ , বাবা খুনি ভাবতেই পারছেনা উচ্চ শিক্ষিত ছেলে

নিজস্ব সংবাদদাতা: ৬৪বছরের অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী খুনের ঘটনায় সেই পরিচিত জনের খোঁজ পেল পুলিশ। খড়গপুর শহরের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় খুন হওয়া অকৃতদার বৃদ্ধ জে বি সুব্রহ্মণ্যমের আবাসনের পেছনেই বাড়ি খুনের মূল অভিযুক্ত ৫৩বছরের অস্থায়ী পুরকর্মী ধৃত সুধীর দাসের। খুনের ঘটনায় ধৃত আরেক ব্যক্তি টি.শংকরও খড়গপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী বলেই জানা গেছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে সুধীর দাসের গ্রেপ্তারের ঘটনায় হতবাক তার পরিবার। সুধীরের এক ছেলে বেসরকারি কোম্পানীর কর্মচারী, অন্য ছেলে উচ্চ শিক্ষায় পাঠ নিচ্ছে। গোটা ঘটনায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছেলে বললেন, ” আমাদের কোনও অভাব নেই। তবুও বাবা এটা কেন করল বুঝতেই পারছিনা।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে বছর পাঁচেক আগেও সুধীর নানা দুষ্কর্ম করেছে এবং কয়েকটি মামলাও আছে তার নামে। তবে ইদানিং সে শুধরে নিয়েছিল। এক ঠিকাদারের অধিনে পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগে কাজ করছিল সে।
খড়গপুর টাউন পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ” পুরোনো পেশা থেকে সরে এলেও লোভ ত্যাগ করতে পারেনি সুধীর। ওই বৃদ্ধ অবসর জীবনে সোনা বন্ধকের কারবার করতেন ও নিজেও প্রচুর সোনার গহনা ব্যবহার করতেন। সুধীর তার পরিচিত টি.শংকরকে যোগাড় করে এবং দুজনে মিলে লুটের পরিকল্পনা করে। তারা আরও চারজনকে এই কাজে যুক্ত করেছিল। প্রথম দিকে শুধুই লুটের উদ্দেশ্য থাকলেও বৃদ্ধ সুধীরকে চিনতে পারায় তাঁকে একেবারেই সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুধীর।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানিয়েছেন, ” লুটের সোনা বিক্রি করা হয়েছিল যে ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছি আমরা উদ্ধার হয়েছে লুট হওয়া বেশ কিছু গহনাও। বাকি চারজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি আমরা।”বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও খুনের এলাকায় এসেছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। সংগ্রহ করেছে আঙুলের ও পায়ের ছাপ। পাওয়া গেছে খুনিদের কারও জামার বোতাম সহ নানা জিনিস। উদ্ধার হয়েছে দুটি মানি পার্স এবং লুট হওয়া গহনার খালি বাক্সও।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খুনের তিনদিনের মাথায় খুনের কিনারা করার পর পুলিশের কাছে এসেছে একটি নতুন তথ্যও। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুধীর জানিয়েছে ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে ৫লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল এক রেলকর্মী যে কিনা সুধীরের ঘনিষ্ট বন্ধু। সেই বন্ধু সুধীরকে বলেছিল যে সেই টাকা শোধ না করায় ওই বৃদ্ধ তাঁকে জালাচ্ছে এই রাগেই সে বৃদ্ধকে মেরেছে। পুলিশের প্রশ্ন ওই রেলকর্মী কি তবে সুধীরকে খুনের জন্য সুপারি দিয়েছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ১০দিনের জন্য নিজস্ব হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

RELATED ARTICLES

Most Popular