Homeএখন খবরখড়গপুর রেলের কারখানায় ভয়াবহ আগুন, কোটি টাকার সম্পত্তি পুড়ে ছাই

খড়গপুর রেলের কারখানায় ভয়াবহ আগুন, কোটি টাকার সম্পত্তি পুড়ে ছাই

নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবার ভোর রাতে লাগা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল খড়গপুর রেল কারখানার ক্যারেজ শপের বহু সামগ্রী। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কোটি টাকা ছুঁয়ে যাবে বলেই মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৮ ঘন্টা ধরে চলা এই আগুনকে নিয়ন্ত্রনের আনতে হিমশিম খেতে হয়েছে দমকলের ৫টি ইঞ্জিনকে। ভোর রাতে লাগা এই আগুনের কারন কী তা খোঁজার চেষ্টা করছে খড়গপুর রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও শুধুই রেল নয় পাশাপাশি বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে একটি ঠিকাদার সংস্থাকেও।

রেল সূত্রে জানা গেছে আনুমানিক ভোর চারটে নাগাদ আগুন লাগে ওই ক্যারেজ শপে। উল্লেখ্য এই ক্যারেজ শপের যাত্রীবাহী ইএমইউ, প্যাসেঞ্জার এমনকি এয়ার কন্ডিশনার কামরাগুলির সারানো হয়ে থাকে। কামরার কাঠের কিংবা প্লাইয়ের দেওয়াল, বসার গদি থেকে শুরু করে কামরার নিচের অংশের ট্রলি গিয়ার ইত্যাদি সব কিছুই মেরামত করা হয়ে থাকে। ফলে গোডাউনে মজুত থাকে প্রচুর কাঠের তক্তা, কাঠের বাটাম, প্লাইউড, রেকসিন এবং রঙ, বার্নিশ, ফেভিকল জাতীয় আঠা সব মিলিয়ে ক্যারেজ শপ কার্যত জতুগৃহ বলা যেতে পারে। এখানে রেলের নিজস্ব গোডাউন ছাড়াও একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থা তাদের মালপত্র রাখত এবং মূলত তাদেরই ক্ষতির পরিমান বেশি বলে জানা গেছে।

রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “লকডাউনের কারনে ক্যারেজ শপের কাজ বন্ধ রয়েছে প্রায় ৫০ দিন এবং আগামীকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তা খোলার কথা ছিল তার আগেই এই ভয়াবহ আগুন কাজ শুরুর প্রক্রিয়াকে আরও সমস্যায় ফেলে দিল।”যেহেতু কারখানা বন্ধ ছিল তাই আগুন প্রথম দিকে কারও নজরে পড়েনি। কারখানার ভেতরে ঘন্টা খানেকরও হয়ত বেশি সময় আগুন জ্বলার পর যখন আগুনের লেলিহান শিখা ফাঁক ফোকর দিয়ে বাইরে এলে তা নজরে পড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের ততক্ষণে আগুন দাবানলের চেহারা নেয়।

খবর পেয়েই ছুটে আসেন ক্যারেজশপের দায়িত্বে থাকা চার্জম্যান ফোরম্যানরা। রেলের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক একটি ইঞ্জিন ছাড়াও, কলাইকুন্ডা বায়ুসেনার একটি ও রাজ্য সরকারের তিনটি ইঞ্জিন ছুটে আসে এবং টানা বেলা ১২টা অবধি লড়াই করে আগুনকে নিয়ন্ত্রনে আনে যদিও পুরোপুরি আগুন নেভাতে আরও বেশ কিছুক্ষন সময় লেগে যায়।

দক্ষিনপূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের রেল কারখানার সর্বোচ্চ আধিকারিক চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার এস.কে. চৌধুরী জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান খুবই বেশি কিন্ত বর্তমানে তার অঙ্ক নিরুপন করার মত অবস্থায় আমরা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পরই ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারন অনুসন্ধান করা হবে। রাজ্য দমকলের এক অধিকর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, ” সম্ভবত শট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে থাকবে।” উল্লেখ্য প্রায় এক দশক আগেও এরকমই আগুন লেগেছিল রেলের কারখানায় যা কয়েকদিন ধরে জ্বলেছিল আর ক্ষতির পরিমান ছিল কয়েক কোটি।

RELATED ARTICLES

Most Popular