Homeএখন খবরদিন ভর চরম হেনস্থা, ধৈর্য্যর বাঁধ ভাঙল যাত্রীদের, তুমুল বিক্ষোভ খড়গপুর স্টেশনে

দিন ভর চরম হেনস্থা, ধৈর্য্যর বাঁধ ভাঙল যাত্রীদের, তুমুল বিক্ষোভ খড়গপুর স্টেশনে

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত দু’দিন ধরে চরম নৈরাজ্য দেখেছে রাজ্য, এমনকি বাদ যায়নি রবিবারও। নাগরিক সংশোধনি আইনের বিরোধিতা করার নামে রাজ্য জুড়ে যে নৈরাজ্যর আন্দোলন চলেছে তার চরম ভুক্তভোগী হয়েছে পেশা কিংবা জরুরি কাজে রাস্তায় নামতে আর তারও মধ্যে অবস্থা খারাপ হয়েছে ট্রেন যাত্রীদের। রবিবার সেই হেনস্থা, যন্ত্রনাই যেন ক্ষোভ হয়ে আছড়ে পড়ল খড়গপুর স্টেশনে। সমস্যা শুরু হয়েছিল আন্দোলনের জেরে বাতিল হয়ে যাওয়া বেশকিছু দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল সংক্রান্ত কিছু ঘোষনাকে কেন্দ্র করে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ক্ষুব্ধ যাত্রীদের আভিযোগ রবিবার সকালেই হাওড়া স্টেশনে ঘোষনা করা হয় ইস্পাত এক্সপ্রেস ছাড়া হবে খড়গপুর থেকে।  তড়িঘড়ি করে যাত্রীরা হাওড়া থেকে খড়গপুর এসে পৌঁছালে স্টেশন মাস্টারের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই ট্রেনটি ছাড়বে টাটা থেকে।  ফলে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে যায়। একে রাতভর হাওড়ায় আটকে থাকা তারপর সকালে তড়িঘড়ি করে ছুটে এসে যখন তাঁরা জানতে পারে যে ট্রেন খড়গপুর নয় ছাড়বে টাটা বা জমশেদপুর থেকে তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঠিক একই ভাবে হাওড়াতে ঘোষনা করা হয় যে খড়গপুর ফলকনামা ছাড়বে। যাত্রীদের বলা হয় লোকাল ট্রেন চেপে খড়গপুরে পৌঁছাতে। অথচ সেই ট্রেন যখন খড়গপুরে এসে পৌঁছান ততক্ষনে ফলকনামা ছেড়ে চলে গেছে।

এরপরই যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন । ক্ষুব্ধ যাত্রীরা  রীতিমত স্টেশন মাস্টারের অফিসে ঢুকে স্টেশন মাস্টারকে হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ। উত্তপ্ত , ক্রুদ্ধ যাত্রীদের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরপিএফ জিআরপি টিম তাদের সামনেই স্টেশন মাস্টারকে হেনস্তা করে যাত্রীরা বলে আভিযোগ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুধু তাই নয় এদিন রেলের গাফিলতি ধরা পড়েছে খড়গপুর স্টেশনের ডিসপ্লে বোর্ডে । যেসব ট্রেন টাটা এবং খড়গপুর থেকে ছেড়েছিল সেগুলিকেও ডিসপ্লে বোর্ডে বাতিল বলে ঘোষণা করা হচ্ছে ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পরে অবশ্য ইস্পাত এক্সপ্রেসের যাত্রীদের জন্য একটি লোকাল ট্রেন চালানো হয় । সেই ট্রেনে ভিড়ে ঠাসা বহু সংখ্যক যাত্রীদের ওই ট্রেনে জমশেদপুর অবধি নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অন্য একটি ট্রেন ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেসের একটি  আলাদা বগি জুড়ে দিয়ে যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।  

RELATED ARTICLES

Most Popular