Homeএখন খবরপঞ্চমীর আগেই পড়শির ঘরে ঘরে উৎসবের খুশি পৌছে দিল ভগৎ সিং শত...

পঞ্চমীর আগেই পড়শির ঘরে ঘরে উৎসবের খুশি পৌছে দিল ভগৎ সিং শত বার্ষিকী কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউন কেড়ে নিয়েছে সমস্ত আনন্দ। সারা দেশ কিংবা রাজ্যের মতই খড়গপুর শহরতলির ঘরে ঘরেই কর্মহীনতার বিপন্নতা, নিরন্নতা আশঙ্কা ক্রমশ গ্রাস করছে আশেপাশের গ্রাম গুলিতে। এমন পরিস্থিতিতে উৎসব তো দুরের কথা উৎসবের স্বপ্ন দেখাই যেন বিলাসিতা। কিন্তু তবুও উৎসব থাকে, উৎসব হয় অন্য কোথাও, অন্য কোন খানে। আর সেই উৎসবের বাতাস এসে লাগে নিরন্ন বিপন্ন মানুষের গায়েও।

খড়গপুর শহরের ভগৎ সিং জন্ম শতবার্ষিকী কমিটি লক ডাউনের বিপন্ন এই মরশুমে হাজারেরও বেশি পরিবারে পৌঁছে দিয়েছিল রেশন। করোনা আক্রান্ত পরিবার গুলিতেও পৌঁছে দিয়েছিল প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এবার তাঁদের উদ্যোগ ছিল ওই পরিবারবার গুলির বাড়িতে বাড়িতে উৎসবের খুশি পৌঁছে দিতে।

মঙ্গলবার ভগৎ সিং শতবার্ষিকী কমিটির উদ্যোগে, তালবাগিচা বাজারে নিজেদের কার্যালয়ের কাছে আয়োজন করেছিল সেই খুশি বিলির ক্ষুদ্র অথচ মহতি এক কর্মসূচির। আশেপাশের তালবাগিচা, দীনেশনগর, রবীন্দ্রপল্লী, আঁধারকুলি, চল্লাডাঙ্গা, ঘাগরা, শোলাডহর, কুচলাচাটি, পালঝাড়ি, শাকপাড়া, কুমারডুবি, আম্বাশোল প্রভৃতি ১০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ৩৫০টি পরিবারে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি নিয়েছিলেন তাঁরা।

উপস্থিত মানুষদের অধিকাংশই IIT-Kharagpur ক্যাম্পাস কিংবা অন্য সামর্থ্যবান পরিবারে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন যা লকডাউনের কারনে বন্ধ হয়ে গেছে। কারও পরিবারে ছোট খাটো ব্যবসা, কোনও পরিবারের কর্তা চালাতেন রিকশা। লকডাউনের কারনে এই সব পরিবারের আয় গত ৭ মাস ধরে শুন্য।

ভগৎ সিং শতবার্ষিকী কমিটির সম্পাদক প্রদ্যোৎ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, ” আমরা জানি আমরা সেই অর্থে কিছুই করতে পারিনি কারন লকডাউনে বিপন্ন পরিবারের সংখ্যা অনেক বেশি। তবুও আমরা আমাদের সাধ্য মত চেষ্টা করেছি। অনেক মানুষ আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই। কারন দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ধরে আমরা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আর মানুষ আমাদের ফেরাননি। মানুষেরই সহমর্মিতা আর সহযোগিতা আমরা মাধ্যম হয়ে মানুষের কাছেই পৌঁছে দিয়েছি মাত্র।”
প্রায় ৭৬হাজার টাকার বস্ত্র বিতরন করা হয়েছে এদিন যাতে উপস্থিত ছিলেন আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক সিদ্ধার্থ সেন, অধ্যাপক মানস লাহা, খড়গপুর শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী অনিল দাস প্রমুখরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular