Homeএখন খবরপাবজিতে মত্ত থাকায় পুলিশ কর্মী বাবার বকুনিতে আত্মহত্যা খড়গপুর সিলভার জুবিলীর একাদশ...

পাবজিতে মত্ত থাকায় পুলিশ কর্মী বাবার বকুনিতে আত্মহত্যা খড়গপুর সিলভার জুবিলীর একাদশ শ্রেনীর ছাত্রের

নিজস্ব সংবাদদাতা: নাওয়া খাওয়া ভুলে সারাদিনই পাবজির গেমে বুঁদ হয়ে থাকা। সেই কারনেই বাবা বকাবকি করায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল এক একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। বৃহস্পতিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের কৌশল্যা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত কিশোরের নাম রাহুল কলা। স্থানীয় সিলভার জুবিলী উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের একাদশ শ্রেনীর কলা বিভাগের ছাত্র ছিল রাহুল। শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে কিশোরের।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রাহুলের বাবা সনাতন কলা পুলিশে চাকরি করেন, কর্মসূত্রে পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। বাড়িতে দিদি আর মা। কথা শুনতে চায়না কারও। সপ্তাহান্তিক ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন বাবা। বৃহস্পতিবারই ফিরে যাবেন। দুপুরে খেতে বসে বকাবকি করে বলেছিলেন, “এত মোবাইলে গেম খেললে মোবাইল নিয়ে চলে যাব।” ছেলে রাগ করে খাওয়ার টেবিলের ওপরেই মোবাইল রেখে চলে যায় ওপরে, দোতলায়। এরপর বাবাও বেরিয়ে যান পূর্ব মেদিনীপুর পটাশপুরে, নিজের থানার উদ্দেশ্যে। বাবা বেরিয়ে যাওয়ার পর দুপুরে মা একটু গড়িয়ে নিতে নিজের ঘরে। দিদিও তাই।
খড়গপুর শহরের ২৫নম্বর ওয়ার্ডের কৌশল্যা এলাকার পরিবার। ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর বেলারানী অধিকারী জানান, “বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ সম্বিৎ ফেরে ছেলে নামেনি ওপর থেকে। মা গিয়ে ছেলের ঘরের দরজা নেড়ে সাড়া পাননি। দরজায় ধাক্কা দেন। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এরপর প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে কিশোর গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। তাড়াহুড়ো করে ১৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে কিন্তু ততক্ষনে সব শেষ। চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করেন কিশোরকে।”
জানা গেছে সনাতন বাবুর আদি বাড়ি নারায়নগড় থানা এলাকায়। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা শহরের স্কুলে করানোর জন্য শহরে এসে বাড়ি বানিয়েছিলেন। এরপর নিজের চাকরি সূত্রে তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে চলে গেলেও পরিবারকে রেখে যান ওই পড়াশুনার কারনে। মাধ্যমিক পাশ করার পর ছেলেকে মোবাইল কিনে দেন। আর সেখান থেকেই মোবাইল গেমে আসক্তি। শেষের দিকে গেম মাথায় উঠেছিল। মা দিদি বকাবকি করলে, মোবাইল কেড়ে নিতে চাইলে বলত অনলাইন ক্লাশ শুরু হবে। যদি সিলভার জুবিলী উচ্চমাধ্যমিকের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, সায়েন্সের জন্য কিছু কিছু টাস্ক হোয়াটস্যাপে পাঠানো হলেও আর্টসে কিছু করা হয়নি। দিন ১৫ আগেই শালবনীতে পাবজি খেলায় মত্ত এক একাদশ শ্রেনীর ছাত্রের প্রান গিয়েছিল হাতির আক্রমনে। খেলায় মশগুল ছাত্রটি জানতেই পারেনি কখন পেছনে এসে দাঁড়িয়েছিল হাতি। দেশজুড়ে প্রতিনিয়ত এই মারনাসক্ত খেলায় মৃত্যু ঘটেই চেলেছে তবুও রাশ টানা হচ্ছে কই?

RELATED ARTICLES

Most Popular