Homeএখন খবরজেল থেকে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে মৃত্যু খড়গপুর ব্যবসায়ীর, হাসপাতালে পরীক্ষা করাতেই...

জেল থেকে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে মৃত্যু খড়গপুর ব্যবসায়ীর, হাসপাতালে পরীক্ষা করাতেই এল করোনা পজিটিভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: জাতীয় পতাকাতে ব্যবহৃত তিনটি রঙের সম্মিলিত মাস্ক বিক্রি করতে গিয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন খড়গপুর গেট বাজারের ব্যবসায়ী। সেই অভিযোগে জেলেও গিয়েছিলেন তিনি। কয়েকদিন জেলে কাটানোর পর বাড়ি ফিরেছিলেন তাঁর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর সোমবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করা হলে পজিটিভ ধরা পড়ে। বাড়ির লোকের ধারনা জেলেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।

খড়গপুর পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি শহরের একদা মিলনি সিনেমা হলের লাগোয়া। গেটবাজারের চৌমাথার মোড়ে খুবই জনপ্রিয় স্টেশনারি বা মনোহরি দোকানের মালিক ছিলেন তিনি। মহিলাদের সাজসজ্জার সরঞ্জামের পাশাপাশি চলতি ফ্যাশানের বিভিন্ন সামগ্রী রাখতেন তিনি যার মধ্যে আধুনিকতম সংযোজন ছিল হাল আমলের মাস্ক।

ম্যাচিং মাস্কের পাশাপাশি জাতীয়তাবাদের আবেগ বিক্রি করার জন্য কোম্পানিগুলি তৈরি করেছিল জাতীয় পতাকার আদলে তিন রঙা মাস্ক। কেন্দ্র বা রাজ্য উভয় স্তরে এই মাস্ককে বেআইনি বলে ঘোষণা করে। বলে দেওয়া হয় মানুষের বর্জ্র ধারনকারী মাস্ক কখনোই জাতীয় পতাকার ধাঁচে হতে পারেনা। এতে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়। জেলার বিভিন্ন পুলিশের মতই খড়গপুর পুলিশও এই মাস্ক বাজার থেকে তুলে নিতে অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার হন ডজন খানেক মানুষ যার মধ্যে এই ব্যক্তিও ছিলেন।

অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ তাই চালান করা হয় আদালতে। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠান। দিন কয়েক জেলে থাকার পর জামিন পেয়ে যান তিনি। এরপর বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাস কষ্ট বাড়তে থাকে। পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেখানো হচ্ছিল। রবিবার বিকেল থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে এবং রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

পরিবারের লোকেরা প্রথমে দেহ দাহ করার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের পরামর্শ মেনে তাঁরা খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং জানিয়ে দেন যে তাঁরা মৃতের কোভিড টেষ্ট করাতে চান। কেস হিস্ট্রি জানার পর হাসপাতালের পক্ষেও সেই মতামতকে স্বাগত জানানো হয়। সোমবার হাসপাতালে দেহ নিয়ে আসা হয়। আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করা হলে পজিটিভ হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী। এরপরই দেহ চলে আসে প্রশাসনের আওতায় যা নিয়ম মাফিক সরকারি উদ্যোগে মন্দির তলার বৈদ্যুতিক চুল্লিতে সোমবার রাতে দাহ হওয়ার কথা।

শহরের এই ১৬ তম করোনা আক্রান্তর মৃত ব্যক্তি জেল থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলেই পরিবারের দাবি। তাঁদের মতে জেলে যাওয়ার আগে তাঁর কোনও উপসর্গ ছিলনা
। বহাল তবিয়তে দোকান করেছিলেন তিনি। যদিও এটা প্রমান করা এখন শক্ত যে দোকান নাকি পুলিশের লক আপ নাকি জেলে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে জেল সূত্রে খবর যে জেলের ভেতরে কিছু বন্দি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular