Homeএখন খবরআবারও অবহেলা! শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে, বাঁচানো গেলনা করোনা আক্রান্ত খড়গপুর কমলা কেবিনের...

আবারও অবহেলা! শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে, বাঁচানো গেলনা করোনা আক্রান্ত খড়গপুর কমলা কেবিনের বাসিন্দাকে

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা আক্রান্ত হয়েছেন জানার ৮ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হল ৪৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহরের কমলা কেবিন সংলগ্ন ছেত্রী পাড়া এলাকায়। জানা গেছে জ্বর এবং পেট খারাপ নিয়ে বুধবার দুপুরে ওই ব্যক্তিকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ চিহ্নিত হয় তাঁর। এরপরই তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আইসোলেশনে। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে প্রায় ১২দিন আগে থেকেই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। যদিও হাসপাতালে যাননি তিনি। পরিবর্তে স্থানীয় হাতুড়েকে দেখানো হচ্ছিল কিন্তু তাতেও রোগের উপশম হচ্ছিলনা। বুধবার বেশ কয়েকবার পায়খানা ও পেটে ব্যাথা হতে থাকায় তাঁকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপরই আইসোলেশনে সরানো হয় তাঁকে। রাত্রি বেলায় মৃত্যু হয় তাঁর। বাড়ির লোক দেহ চাইলে হাসপাতাল দেহ দিতে অস্বীকার করে। পরিবারের লোকেরা স্থানীয় কাউন্সিলারের কাছে দ্বারস্থ হলে কাউন্সিলর খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে ওই ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত ছিলেন।

বিদায়ী কাউন্সিলর শ্যামল রায় জানিয়েছেন, ‘জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকদিন ধরেই শরীর খারাপ নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন। স্থানীয় ভাবেই পরিবার চিকিৎসা করাচ্ছিল। কিন্তু বাড়াবাড়ি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। নিয়ম অনুসারে তাই পুলিশ মৃতদেহ দেয়নি।” জানা গেছে কোভিড আক্রান্ত জানার পর আরও মুষড়ে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। একে শারীরিক দুর্বলতা তার ওপর মানসিক শক এই দুইয়ের ধকল নিতে না পেরেই হয়ত হার্ট আ্যটাক হয়ে গেছিল তাঁর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ইন্দায় অবস্থিত বিদ্যুৎ নিগম দপ্তরের অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে তিনি কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে আছে। ছেলেও একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। যেহেতু হাসপাতালে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাই বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেওয়া না হলেও খড়গপুর শহরের মন্দিরতলা শ্মশানে যেখানে করোনা আক্রান্ত মৃতদের দাহ করা হচ্ছে সেখানে পরিবারকে থাকার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক এই ঘটনাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়ে বলেন, মানুষকে বারবার সচেতন করা স্বত্তেও গুরুতর অসুস্থ হওয়া স্বত্ত্বেও কেন আগেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরামর্শ নিচ্ছেন না বুঝতে পারছিনা। যেখানে এই ব্যক্তির বাড়ি তার খুব কাছেই একটি পৌর স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। আগেই যদি ওখানে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হত তবে হয়ত এই মৃত্যু এড়ানো যেত।

RELATED ARTICLES

Most Popular