Homeএখন খবরখড়গপুরের আর ১ বাকি! তিন মাসেই ১০০পূরন শহরের, গতি পাচ্ছে করোনা চক্র

খড়গপুরের আর ১ বাকি! তিন মাসেই ১০০পূরন শহরের, গতি পাচ্ছে করোনা চক্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: শেষ অবধি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই ফেলল বলা যায় খড়গপুর শহর! করোনা সচিন তেন্ডুলকার নয় যে ৯৯ তে এসেও আটকে যাবে বরং বলা ভাল এই প্রতিবেদন লেখার সময় হয়ত ১০০জন আক্রান্ত হয়েই গেছে শহরে কারন এখনও অবধি কোনও ক্লান্তি নেই করোনার আর নেই বলেই শনিবারও ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে করোনা। এদিন রাতে পাওয়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ৬জন আক্রান্ত হয়েছেন শহরে। তবে এদিনের খবরে একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় যে এদিন আক্রান্তদের ৬জনই রেল এলাকার এবং রেলের কর্মচারী ব্যতিক্রম খালি একজন বৃদ্ধা।

এদিন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন একজন ৫২ বছর বয়সী মহিলা যিনি রেল হাসপাতালের মহিলা আ্যটেডন্ট । তিনি দিন ১৫আগে হাসপাতালের এক আক্রান্ত চিকিৎসকের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। সংক্রমনের কারনে রেলের হাসপাতাল বন্ধ থাকলেও কিছু কাজ করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান। শুক্রবারও তিনি কাজ করেছেন। সামান্য অসুস্থতা বোধ করায় ওই দিনই নমুনা দিয়েছিলেন যা শনিবার পজিটিভ আসে বর্তমানে তিনি রেলের হাসপাতালেই ভর্তি।
রেলের চাঁদমারি ময়দান সংলগ্ন আবাসনের বাসিন্দা ২জন রানিং স্টাফ এদিন আক্রান্ত হয়েছেন। এঁরা গার্ড বলেই জানা গেছে। মোট তিনজন মিলে একটি কোয়ার্টারে থাকতেন মেস বাড়ির মত। এই তিনজনের একজন আগেই পজিটিভ আসায় এঁদেরও নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। শনিবার ২ জনই পজিটিভ আসে।

এদিনই রেলের বাণিজ্যিক বিভাগের দুই করনিক এদিন আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে যার মধ্যে একজন মহিলা। ৩৪ বছরের ওই যুবতী এবং ৩৩বছরের যুবক ডিআরএম ভবনেই কাজ করেন। রেলের যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকলেও পণ্য পরিবহন সচল রয়েছে। ফলে যাবতীয় লেনদেনের হিসাব, কোম্পানি গুলির কর্মচারীদের যাতায়ত লেগেই থাকে। সেই সূত্রে এঁরা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।
ষষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তি একজন ৭০বছরের বৃদ্ধা। রেলের গোলবাজারে আবাসনের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। জ্বর ও কাশি বন্ধ না হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নুমনা পরীক্ষার পর তাঁর করোনা পজিটিভ আসায় শালবনী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাবে বারবেটিয়ার যে ২জনকে গ্রামীন এলাকার বাসিন্দা দেখানো হয়েছিল তারা আসলে খড়গপুর পৌর এলাকার ২৫নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেই জানা গেছে। ওই দুজন ছাড়াও শুক্রবার শহরের আরও আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। সেই হিসাব ধরে শুক্রবার শহরের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ জনে পৌঁছে ছিল। শনিবারের ৬ আক্রান্ত মিলিয়ে শহরের মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৯৯ জনে। ইতিমধ্যে শহরে করোনা আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ৭০ জন।

শহরে এপ্রিলের ১৪তারিখ দিল্লি থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ফিরেছিলেন প্রায় ২ডজন আরপিএফ জওয়ানের একটি দল। দিল্লি ও রাজস্থান থেকে বাহিনীর জন্য অস্ত্র আনতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ফিরে এসে তাঁদেরই কয়েকজন প্রথম আক্রান্ত হন। এপ্রিলের সেই মধ্যভাগ থেকে শুরু করলে তিন মাসে সংখ্যাটা ৯৯য়ে দাঁড়ালো অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১জনেরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ৯৮জনের একের তিনভাগ আক্রান্ত হয়েছেন প্রথম দু মাসে বাকিরা শেষ ১মাসে।

সেই হিসাব ধরলে শেষ ১মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬জন, গড়ে ২জনের বেশি। ফলে করোনা পরিস্থিতি শহরে ভাল ভাবেই গতি বাড়াচ্ছে বলার অপেক্ষা রাখেনা। এদিকে রবিবার থেকে সময় পরিবর্তন করে বেলা ৬টা থেকে ২টা অবধি দোকানপাট, বাজার ইত্যাদি খোলা রাখার সীমা চুড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি সময় লকডাউন থাকছে শহর।

RELATED ARTICLES

Most Popular