Homeএখন খবরদু'দিন ফাঁকা যাওয়ার পর খড়গপুরে আরও এক পজিটিভ ভবানীপুরেই, সবাই মাস্ক পরুন...

দু’দিন ফাঁকা যাওয়ার পর খড়গপুরে আরও এক পজিটিভ ভবানীপুরেই, সবাই মাস্ক পরুন হাসপাতাল থেকেই জানালেন হানিফ

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৫তম করোনা
আক্রান্তের সন্ধান মিলল খড়গপুর শহরে আর এবারেও সেই পাঁচবেড়িয়ার গা ঘেঁষেই ভবানীপুর এলাকায়। নব্বই জনেরও বেশি নমুনা সংগ্ৰহ হয়েছিল বৃহস্পতিবার। ৫টি নমুনা অমীমাংসিত এসেছিল তারমধ্যেই নতুন করা পরীক্ষায় আরও একজনের পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী। ডঃ মুখার্জী জানান, ‘শনিবারের পরীক্ষার ফল রবিবার গভীর রাত অবধি এসে পৌছায়নি তবে বৃহস্পতিবার অমীমাংসিত ৫টি ফলের মধ্যে একজনের পজিটিভ এসেছে। ৪৩ বছরের ওই ব্যক্তির বাড়ি ভবানীপুর বলেই জানা গেছে।’

টানা দু’দিন পরপর নেগেটিভ ফল আসার পর সামান্য স্বস্তি পেয়েছিল খড়গপুর কিন্তু রবিবার রাতের এই ফলাফল বলে দিল আশ্বস্ত হওয়ার মত জায়গাতে এখুনি যায়নি শহর বরং সেই পাঁচবেড়িয়া ও তার সংলগ্ন অঞ্চলেই বিপদ এখনও ওঁত পেতে রয়েছে। আর ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ড পেরিয়ে এবার আক্রান্তের সন্ধান মিলল ৬নম্বর ওয়ার্ডের অংশে। উল্লেখ্য এখনও অবধি এই এলাকাতেই সর্বাধিক আক্রান্তের পাশাপাশি সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

পরপর দুটি মৃত্যু ও মৃত্যু সহ ৫জনের আক্রান্ত হওয়ার পরেই ৫৫জনের নমুনা সংগ্রহর পরেই প্রাক্তন উপ পৌর প্রধান সেক হানিফ সহ একলপ্তেই ৩জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল এই এলাকাতেই আর তার পরেই কোয়ারেন্টাইনে চলে যায় খড়গপুর প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ও শনিবার করোনার অগ্নি পরীক্ষা দিয়ে করোনা নেগেটিভ হয়ে ফিরে আসার পর স্বস্তি মিলেছিল সাময়িক কিন্তু রবিবার রাতে সে স্বস্তি উধাও হয়ে গেল।
এদিকে নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই রবিবার শালবনীর করোনা হাসপাতাল থেকেই এক ভিডিও বার্তায় খড়গপুর বাসীকে মাস্ক পরার ও অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না বেরুনোর আবেদন জানিয়েছেন সেক হানিফ।

হানিফ বলেছেন মাস্ক না পরে কেউ বাড়ির বাইরে বের হবেননা। প্রত্যয়ের সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ফের শহরবাসীর পাশে দাঁড়াবেন তিনি। তাঁর এই বার্তাকে তাঁর কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ বোধ বলেই মনে করছেন অনেকেই। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিল মাস্ক না পরে শহর চষে বেড়ানোর। কার্যত তাঁর কাছাকাছি থাকার জন্যই কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছিল গোটা খড়গপুর প্রশাসনকে।

এদিকে খড়গপুর পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগে পাঁচবেড়িয়া, গোপালনগর, চিত্তরঞ্জন নগর এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সংক্রমনের গতি প্রকৃতি লক্ষ্য করার জন্য নিবিড় সমীক্ষা রবিবারও বহাল রয়েছে।

 

RELATED ARTICLES

Most Popular