Homeএখন খবরআরও এক মৃত্যু নিয়ে খড়গপুরে আক্রান্ত ১৪, এবার মারা গেলেন পাঁচবেড়িয়ার মহিলা

আরও এক মৃত্যু নিয়ে খড়গপুরে আক্রান্ত ১৪, এবার মারা গেলেন পাঁচবেড়িয়ার মহিলা

নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার খড়গপুর শহরের এক চিকিৎসকের মৃত্যুর পর পরই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। যদিও তখনই জানা যায়নি যে ওই মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে। মঙ্গলবার তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল আসার পরই জানা যায় যে ওই মহিলা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে মৃতা করোনা আক্রান্ত হলেও মূলত কো-মর্বিডিটির কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মাত্র ৪৯ বছর বয়সী ওই মহিলার অনেক রকম উপসর্গ ছিল।  খড়গপুরের পাঁচবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ নানা উপসর্গ নিয়ে সরাসরি ভর্তি হয়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।

পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, লিভারের সমস্যার পাশাপাশি পেটে জল জমে যাওয়া, প্রেসার, সুগার ইত্যাদি নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন মহিলা। রবিবার বাড়ির লোকেরা তাঁকে সরাসরি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন। সোমবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর। এদিন সকালেই নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল। মৃত্যুর পর মৃতদেহ রেখে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার ফলাফল বের হলে দেখা যায় মহিলা পজিটিভ। এরপরই বাড়ির লোকেদের জানিয়ে দেওয়া তাঁর মৃত্যুর কথা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এও জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের লোকেরা চাইলে তাঁকে শেষ দেখা দেখতে পারেন। সেই মত মঙ্গলবার মহিলার বাড়ির লোকেরা মেদিনীপুর শহরে গেছেন। ওই দিনই প্রশাসনের উদ্যোগে তাঁকে তাঁতিগেড়িয়ার কবরখানায় সমাহিত করা হবে।

এদিকে গত ২৪ঘন্টার হিসাবে খড়গপুুর শহরে রেল ও খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকা খড়গপুরের আরামবাটি এলাকার এক মহিলাকে ধরে নতুন করে ১৪জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এদিন রেল ও খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের নমুনায় দু’জায়গাতেই ৬ জন করে করোনা রোগি চিহ্নিত হয়েছেন। আক্রান্তদের সর্ব নিম্ন বয়স ৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৮২ বছর বয়সের। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৭ ও ৬৮ বছরের দুই বৃদ্ধ রয়েছেন। রয়েছেন ৫৫, ৫৯,৬০ এবং ৬২ বছর বয়সী চারজন। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৫০%য়ের বয়স ৫৫ এবং তার উর্দ্ধে বাকি ৭ জনের মধ্যে ৩ জন রয়েছেন ৪৩ এবং ৪৯ বছরের, ২৬ আর ৩১ বছরের দুজন রয়েছেন। ১৯ আর ৮বছরের ২জন। সব মিলিয়ে বলতে হয় আক্রান্তের অধিকাংশই ৫৫বছরের উর্দ্ধে।

এবার দেখা যাক খড়গপুর শহরের কোন কোন জায়গায় এদিন পজিটিভ পাওয়া গেল। রেল কলোনি বাদ দিলে আক্রান্ত মিলেছে। শহরের সাঁজোয়াল, দক্ষিন ইন্দা এবং বামুনপাড়া, বুলবুল চটি,সুভাসপল্লী , দেবলপুর, বারোরটিয়া, পুরানতন বাজার, আররামবাটি, বিধানপল্লী এলাকায়। বাদ বাকি সব রেলের সেটেলমেন্ট এলাকা।
আক্রান্তদের মধ্যে ৮ বছরের শিশুর করোনা পজিটিভ হয় কি করে যেখানে বাবা মা দুজনেই নেগেটিভ বলে জানা গেছে। ৮বছরের ওই শিশুর মা খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের নার্স। কীভাবে ওই শিশু আক্রান্ত হল সেটাই দেখার। বুধবার ফের ওই শিশুর বাবা মায়ের করোনা পরীক্ষা হবার কথা। শহরের বাদ বাকি আক্রান্তরা মোটামুটি ভাবেই নিজেদের কাছাকাছি কোনো আক্রান্তের দ্বারাই আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে সোমবারে ওই মহিলার মৃত্যুর ফলে শহরে মোট ১১জনের মৃত্যু হল যার মধ্যে পাঁচবেড়িয়া এলাকাতেই মৃত্যু হল ৩জনের। আর সোমবারে প্রয়াত চিকিৎসকের পজিটিভ রিপোর্ট ধরলে শহরে মোট আক্রান্ত দাঁড়াল ২৮৫ যার মধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। এই হিসাব প্রয়াত চিকিৎসকের একটি মাত্র আ্যন্টিজেন পরীক্ষা ও বাদবাকি আরটি/পিসিআর পরীক্ষা ধরে।

RELATED ARTICLES

Most Popular