Homeএখন খবরখড়গপুরেই ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধাদের জন্য পৃথক হাসপাতাল গড়তে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা...

খড়গপুরেই ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধাদের জন্য পৃথক হাসপাতাল গড়তে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধাদের জন্য একটা পৃথক হাসপাতাল খুবই জরুরি হয়ে পড়েছিল এবার সেই কাজ শুরু করে দিতে চলেছে জেলা প্রশাসন। খুব দ্রুতই এই বিশেষ হাসপাতাল হতে চেলেছে খড়গপুর শহরের গা ঘেঁষে। পুলিশ,স্বাস্থ্যকর্মী,প্রশাসনিক অধিকর্তা, দমকল, সাংবাদিক ইত্যাদি যাঁরা সামনে থেকে করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে করোনা সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন তাঁদের জন্য এই ডেডিকেটেড হাসপাতাল বলে জানা গেছে।

ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিডিও, ওসি, জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী, চিকিৎসক, নার্স ইত্যাদি একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এতদিন প্রয়োজন হলে তাঁদের শালবনী করোনা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। শালবনী করোনা হাসপাতালে বর্তমানে জেলার সমস্ত বহুল উপসর্গ যুক্ত, কো-মর্বিডিটি বা বয়স্ক মানুষকে ভর্তি করা হচ্ছে। ২০২ শয্যার এই হাসপাতালে আক্রান্তের ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ফ্রন্ট লাইন করোনা যোদ্ধারাদের সেখানে যেতে হলে চাপ আরও বাড়বে এটা মাথায় রেখেই একটি পৃথক হাসপাতালের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।

শুধু তাই নয়। আক্রান্ত ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের যেমন বিডিও, ওসি, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, স্বাস্থ্যকর্তা ইত্যাদিরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেলে পরিষেবা ও পরিচালনায় ঘাটতি না হয়ে যায় তাই হাসপাতালে উন্নত মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি যাতে ওয়ার্ক ফর্ম হাসপাতাল করতে পারা যায়। হাসপাতালে ভর্তি বা চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিয়মিত চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা পাওয়ার জন্য টেলিমেডিসিন সহায়ক ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য বেশ কয়েকটি এলইডি টিভিও বসানো হবে। অক্সিজেন অক্সিমিটার ইত্যাদি পরিষেবার পাশাপাশি মনিটরিং মেশিনও বসানো হচ্ছে কয়েকটি পৃথক কেবিনে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে ৪০টি শয্যা থাকছে থাকছে অফিসের কাজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় পৃথক সুবিধা।

প্রথমে ঠিক হয়েছিল জেলা সদর মেদিনীপুর শহরেই একটি বর্তমান পরিকাঠামোকে ঘিরেই এই হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। এজন্য একটি বেসরকারি হাসপাতাল বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানকার সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার পর স্বাস্থ্যকর্তারা বুঝতে পারেন অন্ততঃ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাবে ওই হাসপাতালের কাঠামোকেই সরিয়ে তুলতে। হাসপাতালটির বিভিন্ন অংশ ফেটে পড়েছে, বর্ষায় ছাদের জল ছুঁইয়ে পড়ে। এরপরই ওই হাসপাতাল ছেড়ে খড়গপুরের নিমপুরায় অবস্থিত ৬নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে পথের সাথীকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল পথের সাথীকে খড়গপুর ১ ব্লকের সেফহোম করা হবে। কিন্তু আপাতত সেই পরিকল্পনা বাতিল করে ফ্রন্ট লাইন করোনা যোদ্ধাদের জন্য হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত পাকা করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular