Homeএখন খবর২২ সালের আগে বিদ্যুৎ দুর্দশা ঘুচবেনা খড়গপুর শহরের! কোটি টাকা খসিয়েও শহর...

২২ সালের আগে বিদ্যুৎ দুর্দশা ঘুচবেনা খড়গপুর শহরের! কোটি টাকা খসিয়েও শহর জুড়ে ব্যর্থ ‘কেবল’ পরিকল্পনা

In the city of Kharagpur, the only real disturbance is the line drawn on the long concrete poles. Those poles can't handle the load of 11,000 heavy line cables. They are hanging somewhere. Somewhere again the line is burning due to short circuit as the contractor is not using the right quality cable. So the plan is to just take the line through the ground floor instead of the poles. Power officials said a global tender had been called for the project, which is set to open in June. Then the work will start. It is expected that the work of all the wards of Kharagpur will be completed by the beginning of next year. However, excluding the railway area and the IIT campus because they have their own arrangements. As a result, the city dwellers will have to go through such problems for a few months.

নিজস্ব সংবাদদাতা: আকাশে মেঘ উঠলেই নাকি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুত সরবরাহ কিংবা জোরে বাতাস দিলেই ঝপ করে চলে যাচ্ছে বাড়ির আলো। ফেসবুক খুললেই নেটিজেনদের এই ‘খোরাক’ এখন হজম করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তরকে। গত একমাস ধরেই এমন অবস্থা চলছে খড়গপুর শহরের একাংশ এবং সংলগ্ন গ্রামীন এলাকায় চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। প্রথম দিকে মনে করা হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় যশ কিংবা লাগাতার ঝড়বৃষ্টিই এর কারণ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে গলদ রয়েছে গোড়াতেই।

জানা গেছে সম্প্রতি লম্বা কংক্রিটের খুঁটির ওপর দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া কেবল লাইন মারফৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছিল তার গোড়াতেই রয়েছে আসল গলদ। ভারী ১১হাজার লাইনের কেবলগুলির ভার সামলাতে পারছেনা ওই খুঁটি গুলি। কোথাও কোথাও ঝুলে পড়ছে সেগুলি। কোথাও আবার ঠিকাদার সঠিক মানের কেবল ব্যবহার না করায় শটসার্কিট হয়ে জ্বলে যাচ্ছে লাইন। অবস্থা এতটাই করুন যে খড়গপুর শহরের ওপর দিয়ে কলাইকুন্ডা ও সন্নিহিত এলাকায় যাওয়া প্রায় ১০০মিটার কেবল লাইন কেটে বাদ দিয়ে নতুন করে খোলা তার লাগাতে হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে।

খড়গপুর শহরের সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন শহরের দক্ষিণ প্রান্ত অর্থাৎ তালবাগিচা, ডিভিসি-মায়াপুর, রবীন্দ্রপল্লী, হিজলী সোসাইটি, প্রেমবাজার এলাকার মানুষজন। সম্প্রতি এই এলাকার মানুষদের দুর্দশার কথা জানিয়ে খড়গপুর এলাকার বিদ্যুতের সদর দপ্তর ইন্দায় অবস্থিত শক্তিভবনে একটি ডেপুটেশন প্রদান করা হয় সিপিএমের খড়গপুর শহর দক্ষিণ এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে। এরিয়া কমিটির সম্পাদক অমিতাভ দাস জানিয়েছেন, ” এক বিরামবিহীন যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। একে এই প্রচন্ড গরম তার ওপর এই ঘন ঘন লোডশেডিং নাজেহাল করে দিচ্ছে জীবনযাত্রা। এই অবস্থায় অতিমারি আক্রান্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগী, অসুস্থ মানুষ, বৃদ্ধবৃদ্ধাদের জীবন যেন নরক হয়ে উঠেছে। অনলাইনে পড়াশুনাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

দাস জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি আমরা দ্বারস্থ হয়েছিলাম বিদ্যুৎ দপ্তরের খড়গপুর ডিভিশনাল ম্যানেজারের কাছে। সেখানেই আমরা জানতে পারি যে শহরের মূল বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন যা কিনা ১১হাজার ভোল্ট কেবল মারফৎ সরবরাহ করা হচ্ছে তাতে গলদ রয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর বলেছে তারা ওই গলদ সরানোর জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” গলদ সরানোর কাজ মানে ওই ১০০ মিটার জায়গা জুড়ে কেবল লাইন ফেলে দিয়ে ফের খোলা তার লাগানোর ‘পুন: মুষিক ভব’ পন্থা।

বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে ডিভিসি পাওয়ায় হাউস সংলগ্ন রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিগমের যে লাইনটি রবীন্দ্রপল্লীর ওপর দিয়ে গ্রামীন খড়গপুরের হিরাডিহি, কেশিয়াশোল হয়ে কলাইকুন্ডা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মাত্র কয়েকমাস আগেই গলদ ধরা পড়েছে তাতে। যদিও সমস্যাটা শুধুই এখানকার নয়। গোটা শহর জুড়েই এই লম্বা কংক্রিটের ওপর দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া লাইনই এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ কর্তাদের কারও কারও মতে গোটা পরিকল্পনাটাই এখন জলে যাওয়ার জোগাড়, কার্যত ব্যার্থ।

তাহলে উপায়? উপায় একটাই তাহল খুঁটির পরিবর্তে মাটির তলা দিয়ে কেবল লাইন নিয়ে যাওয়া। এই পরিকল্পনা অবশ্য অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি বড় শহরের মধ্যে খড়গপুরও রয়েছে যেখানে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন এর জন্য গ্লোবাল টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে যা এই জুন মাসেই খোলার কথা। তারপরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আগামী বছরের গোড়ায় আশা করা যাচ্ছে খড়গপুরের সমস্ত ওয়ার্ডের কাজই শেষ হয়ে যাবে। অবশ্য রেল এলাকা এবং আইআইটি ক্যাম্পাস বাদ দিয়ে কারন এদের নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে এই কয়েকমাস এই ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে শহরবাসীকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular