Homeএখন খবরখড়গপুরের পথের সাথী নিল স্বাস্থ্যদপ্তর, বাড়তি সংক্রমনের মুখে আরও ১৫ সেফ হোম...

খড়গপুরের পথের সাথী নিল স্বাস্থ্যদপ্তর, বাড়তি সংক্রমনের মুখে আরও ১৫ সেফ হোম চালু হচ্ছে জেলায়

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা সংক্রমন বাড়ছে এবং যার ৯৫ শতাংশই মৃদু অথবা উপসর্গ হীন। উপসর্গ যুক্ত অথবা রোগগ্রস্থ, দুর্বল করোনা যুক্ত মানুষদের জন্য প্রয়োজন যথাযথ পরিকাঠামো যুক্ত হাসপাতাল যা শুধুমাত্র করোনা হাসপাতালই দিতে পারে কিন্তু বাড়তি সংক্রমনের মুখে দাঁড়িয়ে উপসর্গ হীনদেরও আয়ুস বা শালবনী করোনা হাসপাতালে জায়গা দিতে গিয়ে বিপদে পড়ে যাচ্ছেন উপসর্গযুক্ত, সঙ্কটাপন্ন রোগীরা। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে আরও ১৫টি সেফ হোম খুলতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর।

বুধবার জেলার বন্যা এবং করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক রশ্মি কমলের নেতৃত্বে ঠিক হয়েছে জেলার ২১টি ব্লকেই একটি করে সেফ হোম খোলা হবে। ইতিমধ্যেই ৬ টি ব্লকে সেফ হোম রয়েছে তাই অবশিষ্ট ১৫টি ব্লকেই খোলা হচ্ছে। সেই মত বৃহস্পতিবার থেকেই কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ব্লকগুলিতে যে সমস্ত স্থায়ী সরকারি অথবা বেসরকারি ইমারত রয়েছে সেগুলিকেই কাজে লাগানো হবে সেফ হোম হিসাবে। সেই মত বৃহস্পতিবার ১৫ টি ভবনের তালিকা করে ফেলা হয়েছে।সেই তালিকার মধ্যেই রাখা হয়েছে খড়গপুর নিমপুরাতে অবস্থিত হাওড়া-মুম্বাই ৬নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর অবস্থিত পথের সাথীকে। বৃহস্পতিবার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মাবলী সেরে পথের সাথী নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।

স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গেছে খড়গপুর শহরের মতই সংক্রমন বাড়ছে গ্রামীন এলাকাতেও। গ্রামীন এলাকা ছাড়াও প্রচুর শিল্পাঞ্চল ও কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা দপ্তর, সালুয়া ইএফআর সদর দপ্তরের মত জায়গাতেও সংক্রমন ছড়াচ্ছে। সেই জায়গায় খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের ৫০ শয্যার সেফ হোমে গ্রামীন ও শহর দু’জায়গার স্থান সঙ্কুলান অসম্ভব তাই খড়গপুর গ্রামীনের জন্য আগেই পথের সাথীকে ভেবে রাখা হয়েছিল। এবার দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করে চালু করা হবে। আগষ্টের মধ্যেই চালু করে দেওয়া হবে সেই সেফ হোম।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর সারেঙ্গি জানিয়েছেন, “আমরা চাইছি যে উপসর্গহীনরা বাড়িতেই থাকুন কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে জেলার ৭৪% পরিবার রয়েছেন যাঁদের পরিবারের সবাইকে একটিই বাথরুম ব্যবহার করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বাড়িতে রাখাটা পরিবারের সংক্রমনহীন সদস্যদের জন্য নিরাপদ নয়। তাই তাঁদের জন্য সেফ হোম করা হচ্ছে।” পাশাপাশি এদিন জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এবার থেকে উপসর্গ হীন বা মৃদ্যু উপসর্গযুক্তদের কোনও মতেই শালবনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবেনা।

RELATED ARTICLES

Most Popular