Homeএখন খবরKharagpur Rail Block: খড়গপুর-হাওড়া শাখায় রেল অবরোধ, উত্তপ্ত চেঙ্গাইল! লোকাল ট্রেন চালানোর...

Kharagpur Rail Block: খড়গপুর-হাওড়া শাখায় রেল অবরোধ, উত্তপ্ত চেঙ্গাইল! লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে গন বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: শপিংমল, বিউটি পার্লার, বাজার-ঘাট, বাস চলবে আর লোকাল ট্রেন চালালেই দোষ? রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন জনতা। স্টাফ স্পেশাল নয়, চাই আমজনতার লোকাল ট্রেন! এই দাবিতে ঘন্টার পর ঘন্টা রেল অবরোধে উত্তপ্ত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেল শাখার চেঙ্গাইল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। এর জেরে আটকে পড়ে হাওড়া-খড়গপুরগামী আপ ও ডাউন ট্রেন। জনতার একটাই দাবি, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়াগামী সমস্ত ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দিতে হবে।

জানা গেছে এদিন সকাল ৯টার মধ্যেই চেঙ্গাইল এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। দু-দশ জন থেকে শ’খানেক এবং কিছু পরেই হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে নেমে পড়েন রেল লাইনের ওপর। বেশির ভাগই আম জনতা। ক্ষুব্ধ জনতা বলতে থাকেন, দিনের পর দিন লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় রুটি রুজি বন্ধ হয়ে গেছে তাঁদের। কাজে কিংবা ছোট খাটো ব্যবসার কাজে যেতে পারছেননা তাঁরা।

হাজার হাজার মানুষ যাঁরা দিনমজুরি, ঠিকাদারের অধীনে কিংবা ছোট খাটো ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন তাঁরা কাজে যেতে পারছেননা। ফলে বেতন বন্ধ, ওদিকে হাওড়া, কলকাতার মত পাইকারি বাজারে ট্রেনের অভাবে যেতে না পাতায় মারখাচ্ছে ব্যবসা। তারাই প্রশ্ন তোলেন সব কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। ধনীরা সমস্ত কিছুর সুযোগ নিতে পারছে। তাঁদের গাড়ি আছে, ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন,বেশি পয়সা দিয়ে স্পেশাল ট্রেনে যেতে পারে তখন গরিব মানুষ কী দোষ করল? কেন চালু করা হচ্ছেনা লোকাল ট্রেন?

উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে শহরতলি যাত্রী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গত মাসে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সোনারপুর, মল্লিকপুরে পরপর দু দিন ধরে ব্যস্ত সময়ে চলে অবরোধ। এর পরে অবরোধ হয় দমদম (ক্যান্টনমেন্টেও। এবার একই দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু হল দক্ষিণপূর্ব রেলের খড়গপুর-হাওড়া শাখায়। এদিন নিত্যযাত্রীদের মধ্যে মহিলা যাত্রীদেরও সামিল হতে দেখা গেছে। এর আগে পরপর অবরোধ ও জনতার দাবিরমুখে লোকাল ট্রেন চালু করতে চেয়ে একাধিকবার রাজ্যের কাছে আবেদন জানায় রেল। কিন্তু রাজ্য তা নাকচ করে। উলটে রাজ্যের পরামর্শ, স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চড়তে দেওয়া হোক। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি তাতেও। রোজ রোজ ভিড় বেড়েছে যাত্রীদের। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিক্ষোভও।

মঙ্গলবার অবরোধকারী যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে জানিয়েছেন, সমস্ত বিধিনিষেধ যেন সাধারণ মানুষের জন্যই। দিনের পর দিন লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখায় নিজেদের পেশা এখন বিপন্ন। যখন সব খুলে দেওয়া হয়েছে তখন লোকাল ট্রেনও চালু করায় বাধা দিয়ে গরিবদের পেটে লাথি মারছে রাজ্য। স্টাফ স্পেশ্যাল আর প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি, তাঁদের অভিযোগ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর ডিভিশনে যে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলে, তার সংখ্যাও খুবই কম। তাও সব কটি ট্রেন হাওড়া পর্যন্ত যায় না। মাত্র ৫টি ট্রেনকে হাওড়া পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। তাও যাত্রী সংখ্যার তুলনায় অনেক কম। এদিন দীর্ঘক্ষণ ধরে যাত্রীরা রেলট্র্যাকে নেমে বিক্ষোভ দেখান। শেষে রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ হঠিয়ে দেয়। তবে ইঙ্গিত মিলেছে লোকাল ট্রেন অবিলম্বে চালু না হলে বিক্ষোভের বাঁধ ভাঙবে। যদিও রেলের তরফে জানানো হয়েছে লোকাল ট্রেন চালাতে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে আছেন তাঁরা। রাজ্যের সবুজ সংকেত পেলেই চলবে ট্রেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular