Homeএখন খবরফের কম বয়সেই মৃত্যু খড়গপুরে, মৃতের পরিবারের ১২জনই পজিটিভ, ১৭ মৃত্যুর শহরে...

ফের কম বয়সেই মৃত্যু খড়গপুরে, মৃতের পরিবারের ১২জনই পজিটিভ, ১৭ মৃত্যুর শহরে ৭২ঘন্টার জন্য হাসপাতালে তালা ঝোলালো রেল

নিজস্ব সংবাদদাতা: সবার অলক্ষ্যেই মৃত্যু হয়ে গেল এক স্বল্প বয়সের রেল কর্মীর। রবিবার খড়গপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ীর মৃত্যু এই শহরের করোনা আক্রান্তের তালিকায় ১৬ নম্বর বলে জানিয়েছিল ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ কিন্তু তখনও আমরা জানতেই পারিনি যে প্রায় সবার অলক্ষ্যেই ১৬নম্বর মৃত্যুটি হয়ে গেছে শহরে। মৃত্যু হয়েছে এই শহরের করোনা আক্রান্ত এ যাবৎ কালের সর্ব কনিষ্ঠ ব্যক্তির যাঁর বয়স ৪৪ বছর হয়েছিল বলেই জানা গেছে। আর এই মৃত্যুকে ধরে শহরে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ তে।

শনিবার রাতে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই ব্যক্তিকে খড়গপুর রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল যার অনতি বিলম্বেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গেছে রেল ওয়ার্কশপে কর্মরত ছিলেন তিনি। কয়েকদিন ধরেই সামান্য অসুস্থ ছিলেন তিনি কিন্তু হাসপাতালে আসেননি। শনিবার বাড়াবাড়ি হওয়ার পরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রেলের হাসপাতালে যেখানে মারা যান তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মাত্র কিছুদিন আগেই ধ্যান সিং ময়দানের রেল আবাসন ছেড়ে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনিকেতনপল্লীতে। উদারমনস্ক যৌথ পরিবার প্রথায় আস্থাশীল দক্ষিন ভারতীয় ওই ব্যক্তি সঙ্গে নিজের স্ত্রী সন্তান ছাড়াও পরিবারের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন নতুন বাড়িতে।

পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তির মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। গোটা পরিবার কিংকর্তব্যবিমূঢ়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দাঁড়ায় পরিবারের পাশে। খড়গপুর এসডিপিও সুকোমল কান্তি দাস উদ্যোগ নিয়ে পরিবারের বাকি সদস্যদের আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেন খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই পরিবারের ১২জনের পজিটিভ ফলাফল আসে। শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউই বাদ পড়েননি করোনার থাবা থেকে।

এরপরই পুলিশের তরফে ওই বাড়িকে কন্টেনমেন্ট জোন করে দেওয়া হয়। স্যানেটাইজ করা হয়েছে ওই এলাকা। পরিবারে ঘুরে এসেছে একটি মেডিক্যাল টিম। পরিবারের সদস্যদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী জানিয়েছেন, ‘ মৃতের পরিবারের ১২জন পজিটিভ হওয়ার পর থেকেই আমাদের নজরদারিতে আছেন ওরা।’ শহরের মালঞ্চ এলাকায় কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছিল বছর পঁয়তাল্লিশের এক ব্যক্তির।

এদিকে একের পর এক সংক্রমনের মুখে দাঁড়িয়ে ফের আগামী তিন দিন বা ৭২ ঘন্টার জন্য হাসপাতাল বন্ধ করে দিল রেল। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অবধি হাসপাতাল বন্ধ রেখে পূর্ণাঙ্গ রূপে জীবানুমুক্ত করার কাজ চলবে রেল হাসপাতালের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে। এমনটাই জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। পুরোপুরি ফোম নির্ভর স্যানিটাইজ পদ্ধতিতে যেমন এর আগে ডিআরএম ভবন জীবাণুমুক্ত করা হয়েছিল তেমনটাই করা হবে। উল্লেখ্য এখনও অবধি রেলের ৬ জন চিকিৎসক সহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন এমন ২জন কর্তব্যরত রেল কর্মচারী সহ মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।

RELATED ARTICLES

Most Popular