Homeএখন খবরখড়গপুরের রথতলা থেকে গ্রেপ্তার ২ জনকে মুক্তির দাবি তে বিক্ষোভ খড়গপুর গ্রামীন...

খড়গপুরের রথতলা থেকে গ্রেপ্তার ২ জনকে মুক্তির দাবি তে বিক্ষোভ খড়গপুর গ্রামীন থানায়

নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবার পুলিশ আর জনতার মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে ও লকডাউন ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ২ জনের মুক্তির দাবিতে খড়গপুর গ্রামীন থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন শতাধিক নারী পুরুষ। বৃহস্পতিবার সকালে এই বিক্ষোভে অংশ নেন খড়গপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন যাঁরা নিজেদের বিভিন্ন হিন্দুত্ব সংগঠনের সদস্য সমর্থক হিসাবে দাবি করেছেন।

বিক্ষোভকারী দের দাবি, বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পূজন উপলক্ষ্যে তালবাগিচা সংলগ্ন রথতলা এলাকায় সাধারন রামভক্তরা পুজোর আয়োজন করেছিল যেখানে পুলিশ নির্বিচার লাঠি চালিয়ে নারী পুরুষ নির্বিশেষে পিটিয়েছে। পুলিশ ঘরে ঢুকেও অনেকে মেরেছে। তারপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে তুলে আনে এবং গ্রামীন থানায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। এরমধ্যে থেকে বাছাই করে পুলিশ একজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে সরিয়ে আলাদা জায়গায় রাখে। পরে সবাইকে ছেড়ে দিলেও ওই দুজনকে আটকেই রাখে পুলিশ। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর মামলা দিয়ে তাঁদের আদালতে চালান করে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ শহরের তালবাগিচা ছাড়াও কৌশল্যা নিমপুরা মালঞ্চ বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু নারী পুরুষ ইন্দা এলাকায় অবস্থিত গ্রামীন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা শ্লোগান দেন, “রামভক্ত অনুগামীদের অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হল কেন এসডিপিও জবাব দাও।” বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নন্দিনী শঙ্কর নামে এক যুবতী দাবি করেন, ‘ পুলিশ আমাদের অন্যায় ভেবে মেরেছে, বাড়িতে ঢুকে পুরুষ পুলিশ মহিলাদের মারধর করে। বাদ যায়নি এক প্রতিবন্ধী যুবকও। এরপর পুলিশ আমাদের ধরে আনে। পরে সবাইকে ছেড়ে দিলেও রুপা কর্মকার ও সুরজিৎ ভট্টাচার্য নামে ২জনকে ছাড়েনি। শুনেছি তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে চালান করা হয়েছে।”

পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, পুজো করার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে লকডাউন ভাঙার জন্য। তারপরেও সবাইকেই পার্সোনাল বন্ডে ছেড়ে দেওয়া হলেও ২ জনকে নির্দিষ্ট মামলা দেওয়া হয়েছে পুলিশের ওপর আক্রমনের জন্য। গতকাল বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইটে স্বয়ং এসডিপিও ও আরেক আধিকারিক জখম হয়েছিলেন।

খড়গপুর শহরের বিজেপি নেতা তথা দলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক তুষার মুখার্জী বলেন, আজকের বিক্ষোভে বিজেপি ছিলনা শহরের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন ছিল। পুলিশ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে মানুষের সঙ্গে প্রথমে সবাইকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেও ২জনকে জেলে পাঠালো। শুনেছি ১০ তারিখের আগে জামিন হবেনা ওঁদের।

RELATED ARTICLES

Most Popular