Homeএখন খবরআগুনের কবলে খড়গপুর ভান্ডারী শো-রুম, দমকলের তৎপরতায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষা...

আগুনের কবলে খড়গপুর ভান্ডারী শো-রুম, দমকলের তৎপরতায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল আবাসনের বাসিন্দারা

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভয়াবহ আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা পেল খড়গপুর শহরের বুলবুলচটি ঝাপেটাপুর এলাকার একটি আবাসনের বাসিন্দারা। সঠিক সময়ে দমকল তৎপর না হলে ঘটে যেতে পারত ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দমকলের তৎপরতায় এদিন রক্ষা পেয়েছে শহরের অন্যতম বিলাসবহুল গাড়ির শো-রুমটি। কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির যেমন রক্ষা পেয়েছে তেমনি রবিবার হওয়ার কারনে হতাহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেনি।

রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহরের কৌশল্যা থেকে সামান্য পূর্বে বুলবুলচটি ও ঝাপেটাপুর সংলগ্ন ভাণ্ডারি শোরুম কাম ওয়ার্কশপে। মূলতঃ পুরানো দুর্ঘটনাগ্রস্থ কিংবা ব্রেকডাউন হয়ে পড়া চারচাকা গুলির মেরামত হয় এই কারখানায়। পাশাপাশি শো-রুম থাকায় বেশ কিছু নতুন ও পুরানো গাড়ি থাকে এই জায়গায়। যদিও রবিবার থাকার কারনে এদিন শো-রুম বন্ধ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘ বেলা সাড়ে চারটা নাগাদ এই শোরুমটির ডান দিকে যেখানে ব্রেক ডাউন হয়ে যাওয়া গাড়ি গুলি মেরামত হয় সেদিকেই আগুন লাগে। এই দিকটা হিট পেইন্ট চেম্বার রয়েছে। নিমেষের মধ্যেই প্রথমে গলগল করে ধোঁয়া এবং পরক্ষণেই আগুন বের হতে শুরু করে। এই অংশটির গায়েই রয়েছে একটি বহুতল আবাসন যেখানে প্রায় চল্লিশটি মত ফ্ল্যাট রয়েছে। গলগল করে ধোঁয়া ঢুকতে শুরু করে সেদিকে। কালো ধোঁয়া আবাসনের ঘর গুলিতে ঢুকতে থাকে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আবাসনের বাসিন্দারা।

ধোঁয়ায় পুরো আবাসন এলাকা ঢেকে যাওয়ায় আগুনের উৎস প্রথমে বুঝতে পারেননি। তাঁরা কোনদিকে যাবেন বুঝতে পারছিলেন না। অনেকেই ফ্ল্যাট থেকে নিচের দিকে নামার চেষ্টা করেন। পরে অবশ্য আবাসনের বাসিন্দারা বুঝতে পারেন আগুন লেগেছে কিন্তু তাতে আবার আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন ফ্ল্যাটের পশ্চিম অংশের বাসিন্দারা কারন শো-রুমের হিট পেইন্টার চেম্বারটি ওদিক ঘেঁষেই। রীতিমত আগুনের তাপ পৌঁছে যায় সেখানে। অবশ্য খবর পাওয়া মাত্রই মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ১কিলোমিটার দূরত্বে থাকা খড়গপুর দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা ২টি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেন। ৪৫মিনিটের মধ্যেই আগুন কব্জায় চলে আসে।

ভান্ডারি শো-রুমের এক কর্তা জানিয়েছেন, ঘটনা চক্রে আজ রবিবার থাকায় আমাদের শো-রুম বন্ধ ছিল আর সেকারনেই ক্রেতার ভিড় ছিলনা এবং কর্মীও কম ছিল। গাড়িরও ভিড় ছিলনা। এতে যেমন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি তেমনই দমকলের কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। কী কারণে এই আগুন লেগেছে তা এখনও বোঝা যায়নি তবে সময়মত দমকল কাজ শুরু করে দেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অত্যন্ত কম হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি ঠিক কতটা হয়েছে তা সোমবারই পরিমাপ করা যাবে। বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন সম্পুর্ন নিভে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular