Homeএখন খবরঘূর্ণিঝড় যশ দুর্গতদের সহায়তা সাঙ্গ করল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইক্লোন ভলান্টিয়ার, লকডাউনে দুর্দশাগ্রস্তদের...

ঘূর্ণিঝড় যশ দুর্গতদের সহায়তা সাঙ্গ করল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইক্লোন ভলান্টিয়ার, লকডাউনে দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্যে নামল খড়গপুর ইয়ুথ ইউনাইটেড

One group finished and the other started. The joint initiative of various voluntary organizations in Kharagpur extended a helping hand to those who were affected by the cyclone 'Yash' in the city of Kharagpur. Cyclone Volunteer was created. The program was continued for two days under the leadership of the Balaji Temple Committee at Old Settlement in Kharagpur town. That program ended on Thursday. On the other hand, Kharagpur Youth United, a youth organization of the city, decided to stand by the needy people in the face of the second phase of lockdown in the state on the same day.

বিভূ কানুনগো: একদল শেষ করল তো অন্যদল করল শুরু। খড়গপুর শহরে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’য়ের কবলে যাঁরা দুর্দশার কবলে পড়েছিলেন তাঁদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন খড়গপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনগুলির মিলিত উদ্যোগ। দুদিন ধরেই এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুর শহরের ওল্ড স্টেলেমেন্টে অবস্থিত বালাজি মন্দির কমিটির নেতৃত্বে। বৃহস্পতিবার সেই কর্মসূচি শেষ করা হয়। অন্যদিকে এদিনই রাজ্যে দ্বিতীয় দফা লকডাউন শুরু হওয়ার মুখেই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ানোর সংকল্প গ্রহণ করলেন শহরের কিছু তরুণদের মিলিত সংগঠন খড়গপুর ইয়ুথ ইউনাইটেড।

উল্লেখ্য ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে এমন খবর পাওয়ার পরই খড়গপুর শহরের বিভিন্ন সংগঠনের একটি মিলিত প্রচেষ্টায় শুরু হয় ‘সাইক্লোন ভলান্টিয়ার’। একটি হেল্পলাইন নম্বর দিয়ে শহরবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হয় কোথাও কোনও ব্যক্তি কোনও বিপদে পড়লেই যেন তাঁরা যোগাযোগ করেন। খাদ্য এবং ওষুধের পাশাপাশি উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য তাঁরা তৈরি আছেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন বস্তি, পথ আশ্রয় ইত্যাদি জায়গায় পৌঁছে যান তাঁরা খাবারের প্যাকেট নিয়ে। বস্তি থেকে কিছু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে নিয়ে এসে রাখা হয় আশ্রয় শিবিরে।

আশ্রয় শিবিরে সকাল বিকেল রান্না করা খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি বস্তিতে থেকে যাওয়া পরিবার গুলিকে ৫০০ খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়। খড়গপুর গুরদুয়ারা থেকে রুটি বানিয়ে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে রাতে খাবার পরিবেশন করার মধ্যে দিয়ে এই ত্রাণকার্য সমাপ্ত করা হয়। এই কাজে এগিয়ে এসেছে পিএনকের সম্পাদক সুরিন্দর রেড্ডী ,বালাজী মন্দিরের সম্পাদক আর কিশোর , হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভাপতি অমিত মিশ্র , রাহুল শর্মা ,চরণ ও বালাজী মন্দিরের সদস্যারা ।

এদিকে বৃহস্পতিবারই দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে আগামী ১৬ই জুন অবধি ফের সবকিছু বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে খড়গপুর শহরের দুঃস্থ মানুষগুলির পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন শহরের কিছু তরুণ ছেলে। যখন প্রায়ই এই অভিযোগ করা হয় তরুণরা দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে পড়ছে তখনই এই উদ্যোগ রীতিমতো স্যালুট জানানোর মতই। খড়গপুর শহরের আমরেন্দ্র, বিকাশ, আমন, সায়ন্তন , নেমি ভাই, অভিষেক (টাপুই), রাজশেখররা নিজেদের পকেট মানি বাঁচিয়েই নেমে পড়েছেন রাস্তায়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিলি করেছেন বিস্কুট, কেক, ফলের রসের প্যাকেট। তাঁরা জানিয়েছেন, এবার থেকে সাধ্যমত ক্ষমতা নিয়েই শহরের রাস্তায় নামতে চলেছে খড়গপুর ইয়ুথ ইউনাইটেড।

RELATED ARTICLES

Most Popular