Homeএখন খবরযত কান্ড খড়গপুরেই! জামিনে মুক্ত অভিযুক্ত ধর্ষককে অপহরন করে বিয়ের চেষ্টা,গ্রেপ্তার যুবতী...

যত কান্ড খড়গপুরেই! জামিনে মুক্ত অভিযুক্ত ধর্ষককে অপহরন করে বিয়ের চেষ্টা,গ্রেপ্তার যুবতী ও বাবা

নিজস্ব সংবাদদাতা: টলিউড এ ধরনের চিত্রনাট্য বানাতে পারবে কিনা সন্দেহ তবে বলিউড হয়ত লুফে নেবে সিনেমার জন্য এধরনের চিত্রনাট্য পেলে আর বোধহয় এ ধরনের ঘটনা খড়গপুরেই সম্ভব। ধর্ষিতা মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষককে মাঝ রাস্তা থেকে কিডন্যাপ করল বাবা তারপর তাকে নিয়ে সোজা চলল এক মন্দিরের দিকে। উদ্দেশ্য ধর্ষকের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে ধর্ষিতা মেয়ের একটা গতি করে দেওয়া। যদিও উদ্দেশ্য সফল হয়নি শেষ অবধি, খবর পেয়ে পুলিশ তাড়া করে ধরে ফেলে সেই গাড়িটিকে যেটা করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ছেলে কে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাবা ও মেয়েকে।

খড়গপুর গ্রামীন পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহর থেকে ২কিলোমিটার দুরে চৌরঙ্গীতে। প্রায় ৩ মাস পর ধর্ষণের মামলায় জামিন পাওয়ার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেয়ে মঙ্গলবার বাবার সঙ্গে নিজের বাড়ি খড়গপুর গ্রামীন থানার ধাড়িমাল গ্রামে ফিরছিল ২৪ বছরের আকাশ কাপড়ি। চৌরঙ্গীর কাছে তাঁদের বাইক আটকায় ওই মেয়ে এবং তার বাবা সহ ডজন খানেকের একটি দল। এরপর ওই দলটির সঙ্গে আকাশকে জোর করে একটি কালো টাটা সুমোতে গাড়ি রওনা দেয় কলকাতা অভিমুখে পাঠিয়ে দেয় মেয়েটির বাবা।

মেয়ের বাবা নিজে ফিরে আসে নিমপুরার বাড়িতে। ইতিমধ্যে পুলিশকে ফোন করে আকাশের বাবা দীপক। ফোন পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ প্রথমে অভিযান চালায় নিমপুরায় মেয়ের বাড়িতে, আটক করা হয় মেয়ের বাবাকে। তাকে নিয়ে আসা হয় চৌরঙ্গীতে। ওদিকে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে পরিকল্পনা বাতিল করে অপহরণকারী ২০ বছরের যুবতী ও দলটি। তারা ফিরে চলে আসে চৌরঙ্গীর একটি আস্তানায়। সেখান থেকেই যুবতীর কব্জায় থাকা আকাশ কে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় যুবতীকে।

বাবা ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে জকপুরের মনসা মন্দিরে যুবককে নিয়ে যাচ্ছিল যুবতী সেখানেই জোর করেই বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল আকাশকে। আকাশের বাবা দীপক কাপড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় মেয়ে ও বাবাকে। বুধবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়। পাশাপাশি ওই দিনই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার জবানবন্দি দেয় আকাশ।

পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীর যখন ১৭ বছর বয়স তখন থেকেই ২জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ তিনবছর বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েই মেয়েটির সঙ্গে সহবাস চালিয়ে গেছে আকাশ কিন্তু পরবর্তীতে সে সম্ভবত বিয়েতে অস্বীকার করে। এরপরেই গত মে মাসে আকাশের বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা দায়ের হয়, গ্রেপ্তার হয় আকাশ। যেহেতু মেয়েটির নাবালিকা অবস্থাতেই এই সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তাই পকসো আইনও প্রযোজ্য হয়। পরের দিনই গ্রেপ্তার হয় আকাশ। তিনদিন আগে জামিন পায় সে। এরপর প্রয়োজনীয় প্রকরণ মিটিয়ে মঙ্গলবার জেল থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরছিল সে। তক্কে তক্কে ছিল মেয়ের পরিবার।মাঝ রাস্তা থেকে আকাশকে অপহরনের ছক কষে ফেলে। যদিও শেষরক্ষা হলনা।

RELATED ARTICLES

Most Popular