Homeএখন খবরখড়গপুরে পজিটিভ হয়েই হাপিস করোনা আক্রান্ত! সারা দিন হন্যে হয়ে খুঁজেও পাওয়া...

খড়গপুরে পজিটিভ হয়েই হাপিস করোনা আক্রান্ত! সারা দিন হন্যে হয়ে খুঁজেও পাওয়া গেলনা টিকি, পেট খারাপ থেকে করোনা পজিটিভ বৃদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার দিনভর করোনা রোগির সন্ধানে তোলপাড় করল খড়গপুর পুলিশ কিন্তু দিনের শেষে খালি হাতেই ফিরতে হল পুলিশকে। শনিবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তালিকায় খড়গপুর শহরে মোট ৫জন নতুন আক্রান্তের নাম ছিল কিন্তু ১ জনের কোনও হদিস না মেলায় দুশ্চিন্তায় পুলিশ। করোনা সংক্রমিত অবস্থায় হাসপাতাল কিংবা সেফ হোমের বাইরে থাকলে সে করোনা ছড়িয়ে বেড়াবে!

জানা গেছে ২৫বছর বয়সী ওই যুবকের নামের পাশে ঠিকানা লেখা ছিল ঝাপেটাপুর। খড়গপুর শহরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত এই এলাকাটি খড়গপুর পৌরসভা দপ্তরের লাগোয়া। রবিবার সকালেই পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়িটিকে চিহ্নিত করে কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা ও ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ঝাপেটাপুর আসার আগে প্রথমে নমুনা প্রদানের সময়ে যে ফর্ম পূরণ করতে দেওয়া হয় সেই ফর্মে যুবকের দেওয়া ফোন নম্বরে কল করা হয়। বারংবার চেষ্টা করে বোঝা যায় ফোন নম্বরটি অবৈধ। এরপর পুলিশের একটি দল এলাকায় চলে যায় নাম ধরে যুবককে খুঁজতে। কিন্তু কোথাও ওই নাম পদবি বয়স ইত্যাদি মিলিয়ে যুবকের খোঁজ মেলেনি।

এরপর আসরে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের এক আধিকারিক ভোটার লিস্ট যোগাড় করে তন্ন তন্ন করে খুঁজে কয়েকটি নাম পায়। পরে ওই নাম ধরে কয়েকটি বাড়িতে যাওয়া হয় কিন্তু তারা জানায় যে করোনা পরীক্ষার জন্য তারা কোনো নমুনা দেয়নি। এই সময় ঝাপেটাপুরের নিচের অংশ তলঝুলি এলাকায় গুঞ্জন ছড়ায় যে পদবি আলাদা হলেও ওই নাম ও বয়সের এক যুবক করোনা আক্রান্ত বলে নাকি যুবকের মা জানিয়েছে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে তারও কোনও সারবত্তা পায়নি। ফলে খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে।

মাত্র ৪দিনের মধ্যে খড়গপুরে এটা দ্বিতীয় ঘটনা যেখানে করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেও রুগিকে পাওয়া গেলনা। সেবার ভাইজ্যাগ থেকে আসা এক ১৬ বছরের কিশোরী নমুনা দিয়েই পরিবারের সাথে শহর ছেড়ে যাওয়ায় তারও খোঁজ পায়নি পুলিশ। ওই কিশোরীরও দুদিন পরে পজিটিভ আসে। সমস্যা এড়ানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে নমুনা সংগ্রহের সময় যেন আধারকার্ড বা ঠিকানার যথাযথ বিচার ও ফোন নম্বর যাচাই করে নেওয়া হয়।

এদিকে রবিবার খড়গপুর শহরের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর যে এদিন শহরে মাত্র ২টি পজিটিভ মামলা পাওয়া গেছে যার মধ্যে একজন ৭৫ বছর বয়সী অবসর প্রাপ্ত রেল কর্মী ও একজন ৪০ বছর বয়সী লোকোমেটিভ কন্ট্রোলে কর্মরত রেলকর্মী রয়েছেন। কর্মরত বর্তমান রেলকর্মী মথুরাকাটি রেল আবাসনের বাসিন্দা। অন্যদিকে ছোট আয়মার বাসিন্দা  ৭৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বর্তমানে পেটের অসুখ নিয়ে রেলের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পেট খারাপও যে করোনার উপসর্গ হতে পারে তা ফের বোঝা গেল এই ঘটনায় । এর আগের ইন্দা রামকৃষ্ণপল্লী এলাকায় এক পুলিশ আধিকারিকের ক্ষেত্রেও পেট খারাপ থেকেই করোনা উপসর্গ পাওয়া গেছিল। এদিন শহরের বেশকিছু অমীমাংসিত ফলাফল এসেছে যা থেকে হয়ত সোমবার কিছু পজিটিভ আসতে পারে।

RELATED ARTICLES

Most Popular