Homeএখন খবরকরোনার জের, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বন্ধ করে দিল রেলের খড়গপুর ওয়ার্কশপ

করোনার জের, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বন্ধ করে দিল রেলের খড়গপুর ওয়ার্কশপ

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতে এখনও অবধি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯। করোনাতে মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও দেশ জুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি সতর্ক রাজ্য সরকার গুলিও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে, বাতাসে নয় করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়ায় বস্তুগত সংস্পর্শে, জামা কাপড় , দরজা , বাসের হাতল ইত্যাদির মাধ্যমে। আর সেই কারনে সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা হিসাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতের কর্মচারীদের উপস্থিতি নথিভুক্ত করার পদ্ধতি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল দক্ষিনপূর্ব রেলের খড়গপুর ওয়ার্কশপে। রবিবার কারখানার অর্ধদিবস ছুটি ছিল।

এদিনও বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গ্রহন করা হয়েছে। তবে আপাতত এটাই শেষবার। সোমবার এমনিতেই কারখানা বন্ধ থাকে, মঙ্গলবার দোলের ছুটি। বুধবার কারখানা খুলবে আর সেদিন থেকে বায়োমেট্রিকের বদলে কাগজেই কারখানায় ঢোকা এবং বেরুনোর জাগায় সময় উল্লেখ করে সই করবেন কারখানার কর্মচারীরা।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে একসময় এশিয়ার বৃহত্তম এই কারখানায় কাজ করতেন ২৫হাজার শ্রমিক। এখন তা কমে হয়েছে ৮ হাজার ৩৩২। শ্রমিকদের উপস্থিতি নথি ভুক্ত করতে রেলের পুরোনো পদ্ধতি ছিল কার্ড পাঞ্চ। শ্রমিকের নামে বরাদ্দ কার্ড শ্রমিক একটি পাঞ্চ মেশিনে ঢুকিয়ে দিয়ে তাঁর কারখানায় প্রবেশ এবং বেরুনোর সময় নথিভুক্ত করত।

আভিযোগ এখানে বহু গরমিল হওয়ার সুযোগ ছিল। একজনের কার্ড অন্যজন পাঞ্চ করে দিতেন। ফলে দেরিতে এসে কিংবা না এসেও উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হত অনেক সময়। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতেই ২০১৯য়ের অক্টোবর মাস থেকে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হয়। কিন্তু ৫মাসের মাথায় সেই পদ্ধতিতে ব্যাঘাত ঘটাল করোনা ভীতি। যেহেতু আঙুল ছুঁয়েই বায়োমেট্রিক করতে হয় তাই সংক্রমন এড়াতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হল বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিনপূর্ব রেলের মূখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ”দিল্লি থেকেই এই নির্দেশ এসেছে এবং আপাতত ৩০শে মার্চ অবধি বায়োমেট্রিক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” মনে করা হচ্ছে মার্চের মাঝামাঝি আবহাওয়া উত্তপ্ত হলে , তাপমাত্রা বাড়লে করোনা আপনা আপনি লুপ্ত হবে এই দিক লক্ষ্য রেখেই ৩০মার্চ অবধি দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। কারন ২৫ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কোভিড-১৯ বাঁচতে পারেনা।

রেলের এই উদ্যোগে খুশি শ্রমিকরা। সালিম আখতার নামে এক শ্রমিক বলেন, ” খুবই সময়মত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা নিজেকে নিরাপদ মনে করছি। একটা মেশিনে ২০০ থেকে ২৫০জন অবধি আঙুল রাখে। কার ভাইরাস সংক্রমন হয়েছে সে তো নিজেও জানেনা।”

দক্ষিনপূর্ব রেলের মেনস তৃণমূল কংগ্রেস ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক অজয় কর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, শুধুই কারখানায় নয়, রেলের অন্যান্য অফিস গুলোতেও আপাতত বায়োমেট্রিক স্থগিত রাখা হোক। আমরা রেলের আধিকারিকদের কাছে সমস্ত ক্ষেত্রেই এই উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।

RELATED ARTICLES

Most Popular