Homeএখন খবরফের পৌরসভার কাজে বাধা রেলের, কেটে ফেলে দেওয়া হল বিদ্যুৎ স্তম্ভ, রেলকে...

ফের পৌরসভার কাজে বাধা রেলের, কেটে ফেলে দেওয়া হল বিদ্যুৎ স্তম্ভ, রেলকে হুঁশিয়ারি পুলিশের

কেটে ফেলা স্তম্ভ দেখছেন খড়গপুর টাউন থানার আধিকারিক রাজা মুখার্জী ও চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার 

নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর পৌরসভার অন্তর্গত ২৭নম্বর ওয়ার্ড যা কিনা রেল এলাকার মধ্যে অবস্থিত সেখানে পৌরসভার বসানো ১৫টিরও বেশি বাতিস্তম্ভ  কেটে ফেলে দিল রেল প্রশাসন। রেলের বস্তি এলাকায় বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই বসানো লোহার পাইপ নির্মিত ওই বিদ্যুৎস্তম্ভ গুলি কেটে ফেলায় রেলকে চরমপত্র দিয়েছে খড়গপুর পুলিশ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে দেশজুড়ে যে আন্দোলন চলছে তার অনেকটাই খেসারত দিতে হচ্ছে রেলকে। সেই পরিস্থিতিতে খড়গপুরের বুকে এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ জনতা নতুন করে রেলের বিরুদ্ধে গেলে তার দায় পুলিশ নেবেনা। খড়গপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা খড়গপুর শহরের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন,

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
” খড়গপুর রেল হাসপাতাল সংলগ্ন হাসপাতাল চক বস্তি এলাকায় কয়েকশত মানুষ বসবাস করেন যাঁদের রেল কোনও পরিষেবাই দেয়না। একদা এঁদের পুর্ব পুরুষ রেলকে পরিষেবা দিয়েছেন। এখন এঁরা বেকার, চরম দরিদ্র হওয়ায় বস্তি জীবন যাপন করেন। এঁদের পানীয় জল, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট কিছুই রেল দেয়না। পৌরসভা সেই ঘাটতি পূরন করার জন্যই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের কথা ভেবেছিল, পোঁতা হয়েছিল কয়েকটি স্তম্ভ কিন্তু রেল রাতের অন্ধকারে সেগুলি কেটে ফেলে দিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে পুলিশে আভিযোগ জানিয়েছি।”

এভাবেই কেটে ফেলা দেওয়া হয়েছে বাতিস্তম্ভ

 পৌরসভার কাছ থেকে আভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টা নিয়ে নড়েচড়ে বসে খড়গপুর পুলিশের উর্ধতন কর্তারা। তাঁদের নির্দেশেই খড়গপুর টাউন থানা খড়গপুর ডিআরএমকে একটি কড়া চিঠিতে জানিয়ে দেয় দেশজুড়ে বর্তমান (পড়ুন সংশোধিত নাগরিক আইন)পরিস্থিতিতে মানু্ষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ অনেক ক্ষেত্রেই রেলের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। তারমধ্যেই খড়গপুর রেল কর্তৃপক্ষর এই আচরন নতুন করে রেল বিরোধি আন্দোলনে ইন্ধন যোগালে তার দায় পুলিশ নেবেনা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্যদিকে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে খড়গপুর রেলের জন সংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী জানান, রেলের এলাকায় কোনও কাজ করতে হলে রেলের সঙ্গে আলোচনা ও অনুমতি প্রয়োজন। এটাই নিয়ম। পৌরসভা সে ধরনের কোনও পদ্ধতি ছাড়াই ওই স্তম্ভ পুঁতেছিল যা শুধু বেআইনি নয়, অনিরাপদও বটে। স্তম্ভ পোঁতার সময় নিরপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা হয়নি। তাই অপসারিত করা হয়েছে ওগুলি।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্যদিকে ডিআরএমকে পাঠানো পুলিশের চিঠির বিষয়টি তিনি এখনও জানেননা দাবি করে চৌধুরী বলেন, ” আমি জানিনা পুলিশ কি চিঠি দিয়েছে কিন্ত আইন শৃংখলাতো রাজ্যেরই বিষয়। নিজের ওপর ন্যস্ত করা দায়িত্ব কোনও সংস্থা অস্বীকার করতে পারে কি ? তাছাড়া দেশ জুড়ে যা চলছে আর এই স্থানীয় ইস্যুটা তো এক নয়।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও প্রশ্ন উঠেছে যে পৌরসভার কাজে রেলের বাধা দেওয়াটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও রেলের এলাকায় বাতিস্তম্ভ বসানো কিংবা পানীয় জলের জন্য বোরিং করার কাজে বাধা দিয়েছে রেল। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে রেল এলাকায় বসবাসকারী বস্তিবাসিদের পরিষেবা কে দেবে? বিষয়টি পৌর প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন ও রেলের বৈঠক চান পৌর প্রধান। আলোচনা হোক কিন্তু যেখানে রেলকে এড়িয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয় সেখানে বিদ্যুৎস্তম্ভগুলি পুঁতে পয়সা নষ্ট করার প্রয়োজন কি ছিল ? পৌরসভা কি জানতনা যে রেল এগুলো মানতে না ও পারে ? 

RELATED ARTICLES

Most Popular