Homeএখন খবরলুকিয়ে করোনার দেহ পোড়ানো নিয়ে ধুন্ধুমার পূর্ব বর্ধমানের কমলনগর, বিক্ষোভ স্থানীয়দের

লুকিয়ে করোনার দেহ পোড়ানো নিয়ে ধুন্ধুমার পূর্ব বর্ধমানের কমলনগর, বিক্ষোভ স্থানীয়দের

ওয়েব ডেস্ক : ফের করোনা রোগী পোড়ানো নিয়ে ধুন্ধুমার পূর্ব বর্ধমানের কমলনগর গ্রামে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন যাবত রাতের অন্ধকারে নদীর ধারে খোলা জায়গায় করোনা রোগীর মৃতদেহ লুকিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই শনিবার বিকেলে পুলিশকে ঘেরাও করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এর জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এলাকারবাসীর দাবি, বাইরে থেকে করোনায় মৃতদের দেহ এনে তাদের এলাকায় কোনোভাবেই সৎকার করা যাবে না। এর আগে বহুবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় করোনায় সংক্রমিত দেহ পোড়ানো নিয়ে নানা অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে দু’দিন আগেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কোথাও পোড়াতে না দিলে আমার বডির মধ্যে চুল্লি বানিয়ে নিন।”

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার কমলনগর গ্রামের কাছে গঙ্গানদীর ধারে ফাঁকা জায়গায় একটি দেহ সৎকার ঘিরেই ঘটনার সূত্রপাত। এদিন সকালে নদীর ধারে একটি আধ পোড়া দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহটি দেখেই স্থানীয়দের সন্দেহ হয় রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে করোনায় সংক্রমিত কোনো দেহ এনে এখানে পোড়ানো হয়েছে। তারপর থেকেই এলাকার বাসিন্দারা নদীর ধারের জায়গাটি লুকিয়ে নজর রাখতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, শুক্রবারের পর ফের শনিবার রাত বাড়তেই নদীর ধারের জায়গাটিতে একটি পুলিশের একটি গাড়ি ঢোকে। সেইসময় লোকজন জড়ো হতে শুরু করে।

এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাবলু মন্ডল জানান, “যেখানে দেহটি পোড়ানো হয় সেখানে একটি পানীয় জলপ্রকল্প রয়েছে। নদীর জল গ্রামবাসীরা ব্যবহার করি। তাই এখানে করোনায় মৃতদেহ পোড়ালে আমাদের পক্ষে ঝুঁকির। তাই গ্রামবাসীরা আপত্তি করছেন।” তার দাবি, “দেহটি আধপোড়া অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়। এদিন ফের সন্ধ্যার মুখে পুলিশ এখানে এসেছিল। হয়তো আবার কোনও দেহ এনে পোড়ানোর পরিকল্পনা চলছিল। সেই সন্দেহ থেকেই আমাদের গ্রামের লোকজন পুলিশকে তখন ঘেরাও করে।”

প্রসঙ্গত, এই ঘটনা প্রথম নয়, করোনায় আক্রান্ত মৃত দেহের দাহ করা নিয়ে ক্রমশ অশান্তি লেগেই রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে৷ শ্মশানে বা অন্য কোনো জায়গায় করোনা রোগী পোড়ানো হচ্ছে জানতে পারলেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে৷ শুরু হচ্ছে বিক্ষোভ। এমনকি এলাকার স্কুল কিংবা ফাঁকা বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। একই চিত্র রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়৷ এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই কোথায় করোনার দেহগুলি পোড়ানো হবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। সে কারণে ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে করোনা দেহ পোড়ানো নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular