Homeএখন খবরঅজুহাতকে সবক শেখালো কোতোয়ালির পুলিশ,হাত ক্ষমা চাইল 'অধ্যাপক'ও, কালোবাজারি রুখতে রাস্তায় নামলেন...

অজুহাতকে সবক শেখালো কোতোয়ালির পুলিশ,হাত ক্ষমা চাইল ‘অধ্যাপক’ও, কালোবাজারি রুখতে রাস্তায় নামলেন মহকুমা শাসক

নিজস্ব সংবাদদাতা: পেশায় অধ্যাপক, মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরে বিলাস বহুল বাড়ি। ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান বিতরন করেন কিন্তু লক ডাউনের অর্থ বোঝেন না! স্ত্রী আর শিশু সন্তানকে বেরিয়েছেন রাস্তায়। যেন মর্নিং শো দেখতে বেরিয়েছেন! মেদিনীপুর শহরের দেওয়ানবাবার চকের কাছে পুলিশের মুখোমুখি পড়তেই খুব স্মার্ট ভাবেই জানালেন, বাড়িতে বাজার শেষ তাই সবজি কিনতে বেরিয়েছেন। পুলিশ পাল্টা প্রশ্ন করল, ‘ আপনি কি বউ বাচ্চা সঙ্গে নিয়েই প্রতিদিন বাজার করেন ?’ এবার স্মার্টনেস ঘুচে গিয়ে আমতা আমতা শুরু। ক্ষুব্ধ পুলিশ লাঠি তুলতেই লোকটির মুখ থেকে বেরিয়ে এল, ” স্যার আমি একজন অধ্যাপক।” এবার এগিয়ে এসে এক পুলিশ আধিকারিক প্রশ্ন করলেন, অধ্যাপক ! আপনি লক ডাউনের মানে বোঝেন না ! চলুন থানায়।’ এবার অবস্থা আরও খারাপ অধ্যাপকের। বউ বাচ্চার সামনে হাত জড়ো করে ক্ষমা চেয়ে এবারকার মত ছাড়া পেলেন। হ্যাঁ, সারাদিন ধরে শিক্ষিত অশিক্ষিত সমস্ত স্তরের মানু্ষেরই অজুহাতকে লাঠি উঁচিয়ে সবক শেখাতে বাধ্য হল মেদিনীপুর কোতওয়ালি থানার পুলিশ।

সোমবার বিকালে নেমেছিল পুলিশ আর মঙ্গলবার সাত সকাল থেকেই মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় লাঠি হাতে বের হল-পুলিশ বাহিনী। মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলা থেকে শরৎপল্লী এলাকায় ঢুকে বাড়িতে বাড়িতে সাধারণ মানুষকে বাড়িতে থাকার আবেদন করার পাশপাশি মোড়ে মোড়ে থাকা জটলা কে ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।
এদিন মেদিনীপুর শহরের প্রায় ২৫বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য রাস্তায় কোতোয়ালি থানার পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বাহিনী টহল দিয়েছে। সোমবার বিকালে পুলিশের রুদ্ররূপ দেখার পরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেশিরভাগ দোকান বাজার বন্ধ ছিল। সবজি বাজার ঔষধ দোকান খোলা থাকলেও ভিড় ছিল কম। যদিও বেআদপি যায়নি কিছু মানু্ষের। কোনও না কোনও অজুহাতে কিছু মানুষকে দেখা গেছে বাইরে বেরুতে। এমন কি বাইকে তিনজন চেপে ফাঁকা শহরের মজা লুটতেও রাস্তায় নামতে দেখা গেছে। যেক্ষেত্রে যোগ্য জবাব মিলেছে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু সন্তুষ্ট না হলে পিঠে পড়েছে লাঠির বাড়ি।

এদিকে লকডাউন পরিস্থিতিতে মুদি দোকানসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের দোকানের আড়তদাররা কালোবাজারি করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অভিযানে নামলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর মহকুমা শাসক দীননারায়ণ ঘোষ। মঙ্গলবার দুপুর দুটোর পর মেদিনীপুর শহরে থাকা বিভিন্ন বড় মুদি সামগ্রীর আড়ত্ গুলিতে বিভাগীয় আধিকারিকদের নিয়ে ঢুকে তাদের স্টক দেখেন। বিভিন্ন সামগ্রীর মূল্য কি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে তাও মিলিয়ে নেন। সেই সঙ্গে তাদের হুঁশিয়ারি দেন কোনভাবে কালোবাজারি বা চড়া দামে জিনিসপত্র যেন না বিক্রি করা হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular