Homeএখন খবরলকডাউনে বিপর্যস্ত আইআইটি খড়গপুরের দুঃস্থ কর্মীদের সাহায্য করতে প্রাক্তনীরা পাঠাচ্ছেন ৮ কোটি,...

লকডাউনে বিপর্যস্ত আইআইটি খড়গপুরের দুঃস্থ কর্মীদের সাহায্য করতে প্রাক্তনীরা পাঠাচ্ছেন ৮ কোটি, এখুনি আসছে ১কোটি ৮৫ লক্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্থায়ী কর্মচারী ছাড়াও আইআইটিতে অস্থায়ী ও ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেন হাজার হাজার মানুষ যাঁরা দৈনিক মজুরির ওপর নির্ভরশীল। লকডাউনে বিপর্যস্ত এঁরা। প্রায় ১০হাজার এরকম কর্মচারীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশ বিদেশের সফলতম প্রাক্তনীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ। সেই ডাকে সাড়া দিলেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে আসার পথে ১ কোটি ৮৫ লক্ষ ১৩ হাজার ২৪২ টাকা, যা তাঁরা ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করে ফেলেছেন। তাঁরা ঠিক করেছেন এই কঠিন সময়ে পরিবার গুলির পাশে দাঁড়ানোর জন্য ৮কোটি টাকা সংগ্রহ করে দেবেন যার বাকি অংশটা ধাপে ধাপে যেমন সংগ্রহ হবে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে আই আই টি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,”আই আই টি খড়্গপুরের উপর নির্ভরশীল, এখান থেকে বিভিন্ন ভাবে উপার্জন করে জীবন যাপন করেন এমন ১০হাজার ৫০০ জন লকডাউন পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে আগামী ৬ মাস সাহায্য করবে খড়্গপুর আই আই টি’র প্রাক্তনীরা। সোমবার থেকে খড়্গপুর খাদ্য সামগ্রী সহ নানা জিনিস তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।”
এই মহতী দানে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখ্য যোগ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত শিল্পোদ্যোক্তা বিনোদ গুপ্তা। গুপ্তা একাই ১লক্ষ মার্কিন ডলার প্রদান করেছেন। এখানকার ১৯৬৭ ব্যাচ বিনোদ গুপ্তা খড়্গপুর আই আই টি’তে ম্যানেজমেন্ট ও ল’ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিভিন্ন সময় সমাজের মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন।

আই আই টি খড়্গপুরের ডিরেক্টর বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি জানিয়েছেন, ‘গত ২২ বছর ধরে আমি বিনোদ গুপ্তা’কে চিনি। তাঁর এই মহান উদ্যোগের জন্য তাকে আন্ত্রিক ভাবে ধ্যন্যবাদ জানাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইআইটি খড়্গপুর ফাউণ্ডেশনের সভাপতি রনবীর গুপ্তাকে যিনি এই পরিস্থিতিতে খড়্গপুর ক্যাম্পাসের উপর নির্ভরশীল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিনোদ গুপ্তা, রনবীর গুপ্তা, অর্জুন মালহোত্রা, আর এন মুখিজা, রাকেশ গুপ্তা’দের মতো শতাধিক প্রাক্তনীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। এঁরা প্রত্যেকেই ১৯৫৯ থেকে ২০১৭ সালের ব্যাচের প্রাক্তনী।

প্রেস বিবৃতিতে ডিরেক্টর জানিয়েছেন, এই অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য ৮ কোটি টাকা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন তাঁরা।” অধ্যাপক তেওয়ারি তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, ” এক সময়ে আপনরা পড়াশুনা করছিলেন তখন বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন হস্টেল, মেস, নাইট ক্যান্টিন ইতাদিতে যারা আপনাদের সাহায্য করেছিল, এখন তাঁদের মুখে হাসি ফুটুক আপনাদের সাহায্য পেয়ে।” সত্যি সত্যি হাসি ফুটতে চলেছে তাঁদের মুখে।

RELATED ARTICLES

Most Popular