ওয়েব ডেস্ক : বুধবার থেকে ফের কড়া লকডাউন রাজ্যে।এদিন থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের বড় শহরগুলিতে কড়া লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। কলকাতা সহ জলপাইগুড়ি, মালদহ, কোচবিহার, রায়গঞ্জ এবং শিলিগুড়িতেও কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতেও লকডাউনের মেয়াদ আরও ৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে লকডাউন। এর আগেও শহর কলকাতায় লকডাউনের আগে ছোটো ছোটো পুর এলাকাগুলিতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ তবে কি ফের গোটা রাজ্যে পুরোপুরি লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে নবান্ন?
প্রতিদিন রাজ্যে বাড়ছে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে মাত্র ৭ দিনের জন্য কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্য সরকার। সেই হিসাবের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সেই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আগেই গত মঙ্গলবার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফের ৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন।
রাজ্যের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় সংক্রমণের মাত্রা প্রবল। এপর্যন্ত রাজ্যে যতজন চিকিৎসাধীন তার অধিকাংশই কলকাতার বাসিন্দা৷ তবে বিগত দিনের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে মঙ্গলবার। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র কলকাতা শহরেই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৪ জন। যা এতদিনে সর্বাধিক। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, কলকাতায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১০ হাজার ৫৫০। তবে শুধুমাত্র আক্রান্ত নয় মৃত্যুর দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের। সুতরাং এই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫১৬। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪১১৩ জন।
গোটা রাজ্যে গত একদিনে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত ১৩৯০ জন। যা গত কয়েকদিন থেকে সামান্য কম। রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট সংক্রমিত ৩২ হাজার ৮৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মারা গিয়েছেন ২৪ জন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৮০।