Homeএখন খবরকরোনা আবহে আদৌ কী হবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক! ধন্দে শিক্ষক-শিক্ষার্থী‌রা

করোনা আবহে আদৌ কী হবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক! ধন্দে শিক্ষক-শিক্ষার্থী‌রা

ওয়েব ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো, যা দুদিন আগেই শেষ হয়েছে। এবারে পালা কালী পুজো ও ভাইফোঁটার। কিন্তু এবছর করোনার বিষ নজরে মাটি হয়ে গিয়েছে সবটাই। তবে কেবল উৎসব-আনন্দে যে ভাটা পড়েছে তা নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও। অন্যান্য বছর ভাইফোঁটা পার হলেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয় যায় স্কুলগুলিতে। কিন্তু এবার তা কবে হবে, বা আদৌ হবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা।

আর শুধু টেস্টই নয়, আগামী বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সময়মতো হবে কিনা তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় পাঠ্যক্রম কমানো নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলেই বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ। অনলাইনে কিছু কিছু ক্লাস হলেও গ্রামেগঞ্জে ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল এবং অনেকের স্মার্টফোন নেই, তাই অনেকেই সেই ক্লাস করতে পারেনি। অতএব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম কমানো হবে কি? কমানো হলে কতটা কমানো হবে? সকলের মনে এই প্রশ্নগুলি ঘুরপাক খাচ্ছে।

দুই পরীক্ষার টেস্ট একেবারে দোরগোড়ায়। অভিভাবক ও পড়ুয়াদের ইচ্ছা, এ বার যদি টেস্ট ছাড়াই সকলকে আগামী বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বসতে দেওয়া হয়, তা হলে শিক্ষা দফতর সেটা দ্রুত জানিয়ে দিক।

প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিছু দিন আগে জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম কী হবে, রাজ্য সরকারের পাঠ্যক্রম কমিটি সেটা খতিয়ে দেখছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং টেস্ট কবে হবে, সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ। কিন্তু অভিভাবক ও পড়ুয়াদের প্রশ্ন, টেস্টের পাঠ্যক্রম ও সময়সূচি যদি অবিলম্বে জানানো না-হয়, তা হলে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি চালানো যাবে কীভাবে?

কলকাতার স্কুলগুলিতে অনলাইন ক্লাস তুলনায় ভাল হলেও পরীক্ষা নিয়ে শহরের পড়ুয়া-অভিভাবকেরাও উদ্বিগ্ন। হিন্দু স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “রাস্তাঘাটে দেখা হলে বা ফোনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একটাই প্রশ্ন, ‘পরীক্ষা আদৌ হবে তো বা সিলেবাসেরই কী হবে।”

শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, সব চেয়ে বেশি অনিশ্চয়তায় ভুগছে গ্রামগঞ্জ বা মফস্‌সলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার-ঝাঁপবেড়িয়া হাইস্কুলের এক শিক্ষকের কথায়, টেস্ট যদি না-হয়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের তরফে সেটাও জানিয়ে দেওয়া উচিৎ। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের ঘোষডিহা হাইস্কুলের এক শিক্ষক জানান, গ্রামের স্কুলে অনলাইন ক্লাসও ঠিকমতো হয়নি। অনেক পরীক্ষার্থী বাড়ীতে বসে নিজেদের মতো প্রস্তুতি চালিয়েছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বেগ কাটাতে শিক্ষা দফতর অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করুক, এই দাবী জানিয়েছেন ওই শিক্ষক।

RELATED ARTICLES

Most Popular