Homeএখন খবরকরোনার ভয়াবহ দাপট! ফের বন্ধ হচ্ছে স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; জারি...

করোনার ভয়াবহ দাপট! ফের বন্ধ হচ্ছে স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; জারি হচ্ছে পূর্ণ লকডাউন

অশ্লেষা চৌধুরী: রাজ্যে ফের বন্ধ হতে চলেছে স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জারি হচ্ছে পূর্ণ লকডাউন। শুধুমাত্র খোলা থাকবে জরুরি পরিষেবা। মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায় এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু হচ্ছে সোমবার সন্ধ্যা থেকে। আর অমরাবতীতে লকডাউন ঘোষণার পর পরেই পুণে জেলা প্রশাসনও ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল ও কোচিং সেন্টার বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জেলার করোনা পরিস্থিতি যাচাই করতে উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলাতেও ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির ওপর বিচার বিবেচনা করে সরকার এক সপ্তাহের জন্য জেলা জুড়ে লকডাউন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী যশোমতি ঠাকুর বলেছেন, সোমবার সন্ধ্যা থেকে এই লকডাউন পর্ব শুরু হবে। সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কঠোর সাত দিনের লকডাউনের সময় কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিই সকলের জন্য খোলা থাকবে। এও জানানো হয়েছে যে, জনসাধারন যদি সুরক্ষা বিধি মেনে না চলে তবে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে।

এর আগে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী বিজয় ওয়াদ্দেতিভর বলেছিলেন যে তারা নাইট কারফিউ বিবেচনা করছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সভাপতিত্বে হওয়া বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজয় ওয়াদ্দেতিভর আরও বলেছিলেন, করোনা ভাইরাস মামলার ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নাগপুর, অ্যাকোলা, অমরাবতী, যবত্মাল, মুম্বাই এবং পুনেতে সর্বোচ্চ হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা জেলা প্রশাসনকে সমস্ত পরিস্থিতির মূল্যায়ণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানাবো।

মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনার নতুন কেস ৬,৯৭১ এবং ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল মুম্বাই থেকে ৯২১ টি মামলা সামনে এসেছে। প্রায় ২৪১৭ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পর করোনার কেসগুলি বেশি করে প্রকাশ্যে আসছে। মহারাষ্ট্রের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের সদস্য ডঃ শশাঙ্ক যোশী সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, করোনার ২,৪০ টি নতুন স্ট্রেইন সারা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যার দরুন গত সপ্তাহের পর থেকে সংক্রমণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলেছে।

সরকার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে সর্বপ্রথম ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরপরে এই টিকা ২৭ কোটি জনসাধারনদের প্রদান করা হবে যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি এবং যারা কো-মরবিডিটিসে ভুগছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular