Homeএখন খবরআপনার যা কিছু দরকার, 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার'! অস্তে আস্তে সবার ঘর বানিয়ে...

আপনার যা কিছু দরকার, ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’! অস্তে আস্তে সবার ঘর বানিয়ে দেব, খাটিয়ায় বসে বললেন মূখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘাড়ের ওপর নির্বাচন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। মেরে কেটে ৬ মাসের মধ্যেই সরকার টিকিয়ে রাখার লড়াই তার আগে জনতার মন জোগাতে এবার নতুন প্রকল্প গ্রহন করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় সভায় এসে সেই নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষনা করলেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে দুয়ারে দুয়ারে সরকার। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ এখনও অনেকে পাননি তাঁদের কাছে সেই সব সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।

এদিন বাঁকুড়া সফরে এই নতুন প্রকল্পের সূচনা করতে গিয়ে মূখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘এবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ক্যাম্প করে পৌঁছে দেওয়া হবে সরকারি সুবিধা। এখনও যাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য অথচ পাননি, তাঁরা যেমন আবেদন জানাতে পারবেন ওই সব ক্যাম্প থেকে, তেমনই নতুন কোনও দাবিদাওয়া থাকলেও জানাতে পারবেন তাঁরা।’ জানা গেছে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা,স্বাস্থ্য সাথী সহ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে যা এখনও বহু মানুষ পাননি। বহু মানুষের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারনে অনেকেই এই সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন। ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করে সরকার সেই সব মানুষকে সরাসরি সরকারের দুয়ারে আনার উদ্যোগ নিয়েছে।

মূখ্যমন্ত্রী এ দিন প্রশাসনিক সভা থেকে মোট ৩২টি সরকারি প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেন যার আর্থিক মূল্য ৩৫৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া এই মঞ্চ থেকেই বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত ১২০০ জনের মধ্যে ২১ জনকে প্রতীকী পরিষেবা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা বাকি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সেই সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। ডিসেম্বর মাস থেকেই এই ক্যাম্প চালু হয়ে যাবে বলে জানা গেছে।

সোমবার বাঁকুড়া জেলার খাতড়ায় সরকারি অনুষ্ঠানে যাবার পথে খাতড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেঁকিয়া গ্রামে সর্দার পাড়ায় যান মূখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পেতে দেওয়া খাটিয়ায় বসে মূখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা! ‘মূখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা এসসি/এসটি পেনশন, রেশন ইত্যাদি পাচ্ছেন তো। আপনাদের এখানে করোনার প্রকোপ কম কিন্তু আমাদের ওখানে বেশি। বিনা পয়সায় সরকার করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে যার একেকটা ইনজেকশনের দামই ২৫হাজার টাকা।” এলাকার মানুষরা জানান, অনেকেরই সরকারি আবাস যোজনায় ঘর নেই। মূখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আস্তে আস্তে আপনাদের সবার ঘর বানিয়ে দেব।

RELATED ARTICLES

Most Popular