Homeএখন খবরতৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে ইংরেজিতে অভিযোগ করে বাংলায় প্রত্যাহার করে নিলেন ব্যক্তি

তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে ইংরেজিতে অভিযোগ করে বাংলায় প্রত্যাহার করে নিলেন ব্যক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা: অভিযোগটা করে ছিলেন ইংরেজি ভাষায়। সেই অভিযোগ তুলে নিলেন বাংলায়! খড়গপুরের দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিসের রিসিভিং বিভাগে একটা অভিযোগে গ্রামীন খড়গপুরের এক কৃষক জানিয়েছিলেন, খড়গপুরের বর্ষীয়ান তৃনমূল নেতা জহর পাল তাঁকে দিয়ে ৫ জনের কাছ থেকে টাকা আদায় করিয়েছিলেন চাকরি করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে। সেই ৫ জনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিলেন অভিযোগকারী স্বপন কুমার দোয়া নিজে এবং সেই টাকা তিনি তুলে দেন জহর পালের হাতে। পরবর্তীকালে সেই চাকরি হয়নি এবং টাকাও ফেরৎ পাওয়া যায়নি। তাই তিনি জহর পালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ২১শে জুলাই। অভিযোগে তৃনমূল নেতার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল এক মহিলার নাম। বলা হয়েছিল ওই মহিলার ফ্ল্যাটে গিয়ে দুজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় টাকা। টাকার পরিমান লক্ষাধিক।অভিযোগে এটা পরিষ্কার করে বলা হয় যে, ৫ জনের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে আগাম বাবদ ওই টাকা তুলে দেওয়া হয় তৃনমূল নেতাকে সঙ্গে ওই মহিলাও টাকা নিয়েছেন। প্রশ্ন হল জহর পাল না হয় নেতা কিন্তু ওই মহিলার কী এমন প্রতিপত্তি যে তিনি টাকা নেবেন? অভিযোগে বলা হয়নি যে মহিলার উপস্থিতিতে টাকা নেওয়া হয়েছে, বলা হয়েছে মহিলাও টাকা নিয়েছেন অর্থাৎ মহিলাও তৃনমূল নেতার মতই চাকরি করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন।

অভিযোগ ২১শে জুলাই হলেও কেউ জানতে পারেনি। হয়ত কেউ জানতে পারতনা যদি না মাঝখানে একটি ঘটনা ঘটে যেত। আগষ্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই বর্ষীয়ান নেতা ফেসবুকে পর পর দু’দিন দুটো পোষ্ট করেন। যে পোষ্ট গুলিতে তিনি গর্জে ওঠে বলেন, “দলের মধ্যে যারা দল বিরোধী কথা ও কাজ করেন দলে তারাই গুরুত্ব পায়। যারা রক্ত জল করা পরিশ্রম করে দলে তাঁদের গুরুত্ব নেই। লিখেছিলেন, অনেক হয়েছে, আর না।” সম্ভবত এরপরই অভিযোগটি বেরিয়ে আসে। দেখা যায় অভিযোগটি মারাত্মক কিন্তু পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। জানা গেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের টেবিল অবধি পৌঁছায়নি। জহর পাল গোটা ঘটনার পেছনে দলের এক শ্রেণীর বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন।

এরপর ১৪ই আগষ্ট, শুক্রবার অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন স্বপন কুমার দোয়া। না, এবার আর ইংরেজিতে নয়, ঝরঝরে বাংলায়। সেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের রিসিভিং বিভাগেই অভিযোগ প্রত্যাহার পত্রে লিখেছেন, যে ৫ জনের কথা বলেছিলাম তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম ৫ব্যক্তির টাকা দেওয়ার বর্ননা সঠিক নয়! বোঝ কান্ড! আগের অভিযোগে বলা হল গুনে গুনে ১লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা আর এখন বলা হচ্ছে টাকার বর্ননা সঠিক নয়!

অভিযোগ করা হয়েছিল ইংরেজিতে কিন্তু প্রত্যাহার করা হল বাংলাতে,কেন? স্বপন কুমার দোয়া বলছেন, আগেরটা অন্যজন লিখেছিলেন আর এটা আমি নিজে লিখেছি। তার মানে অন্যরা তাঁকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন? জহর পাল বলছেন, “আমি তো আগেই বলেছি এ কাজ করানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে শক্তি সক্রিয় তারাই করিয়েছে।” কিন্তু তারা কারা? পালের উত্তর, “তারা কারা দলকে বলেছি। দল দেখুক, না হলে আমি নিশ্চই বলব।”

RELATED ARTICLES

Most Popular