Homeরাজনীতিবিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বনধ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তুফানগঞ্জে! 

বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বনধ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তুফানগঞ্জে! 

অশ্লেষা চৌধুরী: তুফানগঞ্জ মহকুমায় বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল তুফানগঞ্জে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। বনধ সফল করার উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই তুফানগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকেই তুফানগঞ্জ ও বক্সিরহাট থানার পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় মোতায়ন করা হয়। তবে বেলা যতই বাড়তে থাকে ততই চড়তে থাকে রাজনৈতিক পারদ অশান্তির খবর আসতে থাকে তুফানগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় থেকে।

জানা গিয়েছে, সকাল থেকে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে মিশ্র প্রভাব পরেছে। সরকারি বাস রাস্তায় দেখা গেলেও বন্ধ থাকে দোকানপাট ও বেসরকারি যাত্রী পরিবহন। তবে, এলাকায় কিছু দোকান খোলা থাকলে সেগুলো বন্ধ করতে যান বনধ সর্মথকেরা। সেই সময় পুলিশের সাথে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এরপর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা জমায়েত হন এবং মিছিল করেন। তুফানগঞ্জ শহর ও বলরাম পুর চৌপথী সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মিছিল করেন বিজেপির বনধ সমর্থকরা। চলে সরকারি বাস আটকে বিক্ষোভ। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই বনধ ঘিরে তুফানগঞ্জ মহকুমার জোড়াই মোড় এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা জামায়েত করলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। চলে পাথর বৃষ্টি। ঘটনায় মোট ৩ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। এরপর আবার বনধের সমর্থনে বাকলা এলাকায় লাঠি, বাঁশ হাতে বিজেপি সমর্থকরা একত্রিত হলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বনধ সমর্থককে আটকও করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে তুফানগঞ্জ মহকুমার নাককাটিগাছ গ্রাম পাঞ্চায়েতের উওর শিকারপুর এলাকায় স্থানীয় দুই ক্লাবের মধ্যে কালী পুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সংঘর্ষ থামাতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে পরে যান বিজেপির ৯/১৯৮ বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, আঘাত লেগে সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে যায় তাঁর । তারপর তাকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কালাচাঁদ কর্মকারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বুথ সম্পাদকের মৃত্যুর এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগতে খুব বেশি সময় অতিবাহিত হয় না। বিজেপির অভিযোগ, চক্রান্ত করেই কালাচাঁদ বাবুকে খুন করা হয়েছে, যাতে শাসক দলের মদত রয়েছে, তৃণমূলের দুষ্কৃতি বাহিনী এই কাজ করেছে। যদিও এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমুল নেতৃত্ব।

 

এরপরেই বিজেপি বুথ সম্পাদকের মৃত্যুর ঘটনায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে কোচবিহারে। বিজেপির বুথ সম্পাদককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে তুফানগঞ্জ বলরাম পুর চৌপথী এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এই অবরোধে সামিল হন বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। সেই সময় পুলিশের সাথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়, চলে ধড়পাকর। এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে তুফানগঞ্জ মহকুমা ১২ ঘন্টা বনধের ডাক দেয় জেলা বিজেপি।

 

আর আজ সেই বনধ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তুফানগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বজায় রয়েছে, সেই সাথে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

RELATED ARTICLES

Most Popular