Homeএখন খবরজোড়া খুনের তদন্তে ভরসা নেই কোতোয়ালির ওপর, পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ পরিবার

জোড়া খুনের তদন্তে ভরসা নেই কোতোয়ালির ওপর, পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা: দুটি সামর্থ্যবান যুবককে একটা মানুষই খুন করেছে এমনটা মানতে নারাজ খুন হয়ে যাওয়া দুই যুবকের পরিবার। তাদের ধারনা খুনের পেছনে আরও ব্যক্তি রয়েছে কিন্তু পুলিশ একজনকেই ধরে বসে রয়েছে। তদন্ত ঠিক হচ্ছেনা এমনটাই দাবি তুলে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন মৃত দুই যুবকের পরিবার ও আত্মীয়রা। বুধবার জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খুন হয়ে যাওয়া যুবকদের পরিবার এমনকি দাবি করেছেন পুলিশ তাঁদের শোকগ্রস্ত অবস্থায় তাঁদেরকে দিয়ে যে অভিযোগ লিখিয়ে নিয়েছিল তাতে অসঙ্গতি রয়েছে।

উল্লেখ্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভোরে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন কেরানিচটির খাসজঙ্গল এলাকার একটি বন্ধ দোকানের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় দুই যুবকের রক্তাক্ত লাশ। ওই দিন ভোরে স্থানীয় বাপ্পা নায়েক নামে এক যুবক কোতোয়ালি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে পুলিশকে জানায় গত রাতে একটি ফুলের দোকানের ভিতর সে তার দুই বন্ধুকে কুপিয়ে খুন করে ফেলে রেখে এসেছে। এরপরই পুলিশ গিয়ে বন্ধ দোকানের ভেতর থেকে তন্ময় মল্লিক ও রাজেশ দাস নামে দুই যুবকের উদ্ধার করে।

আত্মসমর্পন কারি যুবকের দাবি ছিল বন্ধ দোকানের ভেতর তিন বন্ধু মিলে মদের আসর বসিয়েছিল এবং তর্ক বিতর্ক থেকে দুই বন্ধুকে সে কুপিয়ে খুন করেছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছিল। পুলিশ জানায় রাজেশ দাস একজন ফুলের ব্যবসায়ী। তন্ময় ও বাপ্পা তার সঙ্গে ব্যবসা করত। রাত্রে দোকানে মদ খাওয়ার নাম করে আসরে তর্ক বিতর্ক থেকে খুনের ঘটনা ঘটে।

কিন্তু বুধবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে মৃত রাজেশের বাবা বিভূতি দাস দাবি করেন, “আমার ছেলেকে একা বাপ্পা নায়েক খুন করেনি, সঙ্গে এলাকার আরো এক যুবক জড়িত রয়েছে। বাপ্পা একা দুজনকে খুন করতে পারে না।অপর জড়িত ব্যক্তি আগেই খুনের হুমকি দিয়েছিল।তার নাম পুলিশকে বলার পরেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা কোতোয়ালি থানার পুলিশের এই উদাসীনতার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছি। উপযুক্ত তদন্ত ও সঠিক দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করছে আমরা।”

বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয় রাজেশ ও তনময় মল্লিক এর পরিবারের লোকজন সহ পাড়ার লোকজন। ঘটনার সঠিক তদন্তের লিখিত দাবি করা হয়েছে পুলিশ সুপারের কাছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অবশ্য তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পুনরায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular