Homeএখন খবরস্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানি শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস পালনে মেদিনীপুর ডট ইন

স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানি শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস পালনে মেদিনীপুর ডট ইন

               
অরুন কুমার সাউ: মঙ্গলবার ভারতের ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বল নক্ষত্র বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ১৩১ তম জন্মদিবস সাড়ম্বরে পালন করল মেদিনীপুর ডট ইন। বীর সেনানিদের শ্রদ্ধায় স্মরনে এই মেদিনীপুর ডট ইন বরাবরই নতুন পথের সন্ধানি। উদ্দেশ্য, নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁদের নতুন করে হাজির করা। এবারেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মেদিনীপুরের মাটিতে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসাবে হাজির ছিলেন সোহনলাল আজাদ। কৃষক সন্তান প্রৌঢ় আজাদ মুজফফরপুর শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্য এবং সারা দেশ ঘুরে বেড়ান শহিদের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলি দর্শনের পাশাপশি সেগুলি সংরক্ষনের জন্য সচেষ্ট। তাই মেদিনীপুর ডট ইন তাই এই মানুষটিকে বেছে নিয়েছিলেন প্রধান অতিথি হিসাবে। আজাদ ৬০০ কিঃমিঃ সাইকেল চালিয়ে মুজাফফরপুর থেকে মেদিনীপুর পৌঁছেছিলেন ২৯শে নভেম্বর।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কার্যত ওই দিন থেকেই শুরু হয়েছিল এই দিনটির প্রস্তুতি। এরমধ্যেই শুরু হয়েছিল মেদিনীপুর ডট ইন এর আমন্ত্রণে মাঝের কয়েকটা দিন চলছিল ক্ষুদিরামের চিতাভূমির মাটি দিয়ে গাছ লাগানো।     মেদিনীপুর শহরবাসি হয়ত জানতেনইনা যে শুধু মেদিনীপুর শহরেই ৭টি মূর্তি রয়েছে শহীদ ক্ষুদিরামের।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সোমবার সকাল থেকেই মেদিনীপুর ইন এর সদস্যরা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করেছিলেন শহরে অবস্থিত ক্ষুদিরামের ৭ টি মূর্তি। মঙ্গলবার  ভোরবেলায়  মাল্যদান করা হয় ঐ ৭ টি মূর্তিতে। তাঁর জন্মভিটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়  সকাল ৯ টার সময়। প্রথমেই এক হাঁড়ি রসগোল্লা ও পায়েস দিয়ে পুজো দেওয়া হয় সিদ্ধেশ্বেরী মায়ের মন্দিরে। সেই পায়েস ও মিষ্টি আনা হয় ক্ষুদিরামের মূর্তির সামনে। প্রথমেই ধুপ, প্রদীপ দিয়ে সাজানো বরণডালা দিয়ে বরণ করা হয় ক্ষুদিরামের মূর্তিকে ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
চলতে থাকে শঙ্খধ্বনি, জয়োধ্বনি ও রঙ্গিন কাগজ ওড়ানো। এরপর দেওয়া হয় চন্দনের টিকা। তারপর খোয়ানো হয় পায়েস ও মিষ্টি, সবশেষে মাল্যদান করা হয়।  এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া একে একে করেন হরিপদ মন্ডল (কলিজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক), রঙ্গনাথ চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক, মুজাফ্ফরপুর), দিননারায়ণ ঘোষ (মহকুমা শাসক), ইয়াসিন পাঠান (রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপক) এবং উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ক্ষুদিরামের মূর্তির সামনে সাজান হয় কেক, জ্বালা হয় ১৩১ টি মোমবাতি। কেক কাটেন হরিপদ মন্ডল (কলিজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক), উপস্থিত সকলেই ক্ষুদিরামের মুখে কেক তুলে দেন। ক্ষুদিরামের উদ্দেশ্যে কবিতা পাঠ করেন দেবব্রত দাস, শিবদেব মিত্র ও শুক্লা মুখাৰ্জী।

RELATED ARTICLES

Most Popular